Thursday, October 1, 2020

নারীবাদীদের অতিরঞ্জিত শব্দ ধর্ষণঃ ইতিহাসের অপ্রত্যাশিত দ্বন্দ্ব

 নারীবাদীদের অতিরঞ্জিত শব্দ ধর্ষণঃ ইতিহাসের অপ্রত্যাশিত দ্বন্দ্ব

আত্মজ উপাধ্যায় (২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০)

উপরের ছবিটা একটা ওয়াটার পার্কের, ডেইলিমেল খবর মাধ্যম থেকে নেওয়া হয়েছে। 

এখানে দেখতে পাচ্ছেন, একটা বিশাল ডলফিন, একটি মেয়ের উপর ধর্ষণের জন্য চড়াও হয়েছে। প্রথমে মেয়েটি ভয় পেয়ে গেছিল, পরে হাসতে শুরু করেছে। ডলফিন মানুষের সাথে যৌনসংগম করতে পারে। এখানে ফ্যাক্ট হিসাবে ভুল নেই। 

১৯৬০ সালে নাসা একজন তরুণীর সাথে একটি ডলফিনের ইংলিশ ভাষা শেখাবার একটা প্রোগ্রাম করেছিল (NASA funded experiment in the 1960s) তরুণীর নাম Margaret Howe Lovatt, মহিলা তখন অল্প বয়সের। ডলফিনটি তার প্রেমে পড়ে যায়, ও তারা যৌনসংগম করে।

আরেকটি ঘটনা একটি মেয়ে ডলফিন, নাম ডলি, সে একজন পুরুষকে তার প্রতি আসক্ত করে পুরুষটির নাম Malcolm Brenner। তাদের প্রেম অনেকদিন টিঁকেছিল।

সুতরাং ওয়াটার পার্কে কোন ডলফিন কোন মহিলা দেখে ধর্ষণে উদ্যত হবেনা, এমন ভাবা যাবেনা। কারণ এরকম ডলফিনের রমণ ইচ্ছা মহিলাদের সাথে ইন্টারনেটে অনেক তথ্য আছে।

এবার ভাবুন কোন মহিলাকে এরকম ওয়াটার পার্কে ডলফিনের বদলে কোন যুবক বা পুরুষ যদি এরকম আচরণ মেয়েটির উপর করত তাহলে কি হত?

মেয়েটির থেকে অতি উৎসাহী/আগ্রহী ধারে কাছে থাকা লোকজনেরা বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠত। তারা তখন মজা করতনা। লাঠি সোটা চড় ঘুষি সহ অনবরত মার, প্রহার যুবকটির উপর পড়ত। হয়ত যুবকটি মারা যেত, না মারা গেলে তাকে জেলে নেওয়া হত। তাকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে রাজনীতি চলত। সকল পুরুষ জাতিকে দানব, শয়তান অভিহিত করা হত।

ধর্ষণ শব্দটা কি? কত ঠুনকো ভন্ড শব্দ?

একজন লোক তার বিবাহিত বৌয়ের সাথে সংগম করল, যোনিভেদ করা লোকটার লিংগকে স্বর্গ মনে করেছিল বৌটা, পরের দিন একই আচরণ কে বৌটা বলল, ধর্ষণ। এবং তা প্রকাশ করতেই, মহিলা থেকে মিডিয়া, মহিলা কমিশন আন্দোলনে নামল।বৈবাহিক ধর্ষণ বলে চ্যাঁচাতে লাগল।



 তাহলে ধর্ষণটা কি মহিলার ইচ্ছা ও খেয়াল খুশি? তাদের একচেটিয়া কথা ও আইন?

একজন মহিলাকে আমি খাওয়াব পরাব, তার সকল দায়িত্ব আমার মাথার উপর চাপাব, এবং সে আমার সাথে যৌনসংগম করবে, এই চুক্তি প্রতিশ্রুতি দেখেই আমি বিয়ে করেছি। এর খেলাপ হলে আমি স্ত্রী রাখবোনা। আমারও মানবাধিকার আছে, তাকে অস্বীকার করে কোন আইন আমাকে বাধ্য করতে পারেনা বা স্ত্রীর অধিকার আমার উপর ফলাতে পারেনা। 

টাকা উপায় যে করে, সে-ই ঘরের, সংসারের মাস্টার বা মাথা। তার কথা না শুনে চললে সে তার স্ত্রীকে কেন খাওয়াবে পরাবে? একজন সাধারণ মানুষ দান-ছত্র খুলে বসেনি যে, একজন মহিলাকে সে খাওয়াবে পরাবে এমনি এমনি! তার চেয়ে বরং আমি একজন কাজের লোক রেখে দেব মাইনে দিয়ে আর বেশ্যা বাড়িতে গিয়ে বা যে আমার সাথে যৌন সংগম করবে সেই মহিলার সাথে আমার যৌন ইচ্ছা মেটাব। বিয়ে করার কি দরকার?

পুরুষের যৌন সংগমের ইচ্ছা প্রবল। এটা তার জৈবিক দিক। একজন ব্যক্তির জৈবিক দিক তার অখন্ড মানবাধিকার। একে কেউ খন্ডন করতে পারেনা। পারা উচিত নয়। সমাজ বা সরকার যতদিন তার এই বিষয় নিয়ে সমাধান আনছে ততদিন সমাজে বৈধ অবৈধ যৌন আগ্রাসন থাকবেই। পুরুষকে বলি করে মহিলার সুরক্ষা অনৈতিক ও অমানবিক।

এই প্রসংগে, সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি বিচারক মার্কন্ডেয় কাটজু বলেছেন, (former Supreme Court Judge and former Chairman of Press Council of India, Justice Markandey Katju has released a statement in which he has blamed unemployment for the rise of rape cases.'sex is a natural urge in men' and when men don't receive sex from marriage, because no one wants to marry unemployed men, there is 'bound to be an increase in rape') যৌনতা পুরুষের প্রাকৃতিক আকুতি, চাহিদা। সামাজিক নিয়মে বিয়ে থেকে সে আশা করে।


  

প্রকৃত পক্ষে, মহিলারা তাদের যোনিকে অস্ত্র বানিয়ে সমাজ ও রাস্ট্র শাসন করতে চাইছে। 'যৌনসংগম', বিশেষ করে আমি এই শব্দটাই বলতে চাইছি, নারীর যোনিতে পুরুষের লিংগ প্রবেশ করে পুরুষ বা নারীর যে আনন্দ হয়। বিশেষ করে পুরুষের, তা কোন ক্ষতিকারক নয়। বংশ বৃদ্ধির একমাত্র প্রজনন ক্ষেত্র, লক্ষ লক্ষ বছরের অভ্যাস। বিবর্তনের ইতিহাস। যৌন সংগম করে লোকের মৃত্যু হয়েছে আমি শুনিনি। বা মহিলারা যৌন সংগম কামনা করেনা এটা শুধু একচেটিয়া পুরুষের, এমন কিছুও নয়। মহিলারা যৌন সংগমের জন্য অনেক অভিসার থেকে অপরাধ অবধি করে। বা ধর্ষণ মহিলারাও করেশিশু কিশোরদের সাথে বহু মহিলা যৌন কর্ম করে। এগুলি তো ঘটনা। ফলে এটাকে নিয়ে আলাদা করে দেখার জায়গা নেই। সুতরাং নারীরা যদি মনে করে তাদের যোনির বিনিময়ে তাদের আশা আকাঙ্খা পুরাবে, তা হলে ভুল করবে, আর যদি মনে করে যোনি বিনিময় না করে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা মেটাবে তা হলেও ভুল করবে। পুরুষের অধীন ছাড়া নারীর কোন গতি নেই। নারী জড় পদার্থবৎ অনেক ক্ষেত্রেই। 

 এখানে কোন প্রকার "যৌন শোষণ" sex exploitation  বা slavery/ দাসী শব্দের প্রয়োগ হতে পারেনা। আপনি যদি বিশ্বের মানুষে মানুষের সম্পর্ক, বা যোগাযোগের কারণ গুলি বিশ্লেষণ করেন দেখবেন আমরা সবাই কোননা কোনভাবে শোষিত হচ্ছি। নারী পুরুষ, নীচুতলা উপরিতলা। কোননা কোনভাবে দাসত্বের স্বীকার হচ্ছি। এবং শৃঙ্খলই জীবন। শৃঙ্খলের বাইরে কেউ নেই বা থাকতে পারেনা সামাজিক মানুষ।

 একজন ঘরের পুরুষকে, তার সংসারের কাছে দাসখৎ লিখে রাখতে হয়। নারী পুরুষ (স্বামী স্ত্রী) বাবা মা, ছেলে মেয়ে নিয়ে ৬ জনের পারিবারিক জীবন নির্বাহ একজন পুরুষকে দায় নিতে হচ্ছে। অদৃশ্য বাঁধনে সে হাঁফিয়ে উঠলেও পালিয়ে যেতে পারছেনা। সংসারের ৫ জন একটা পুরুষকে শোষণ করছেনা? পুরুষটা তার সখ আহ্লাদ ত্যাগ স্বীকার করে চুপ করে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছেনা? মহিলারা যদি মনে করে তারা ঘরের দায় নেবে, পুরুষ ঘরে থাকবে, ঘর সামলাবে তাহলে উত্তম। কিন্তু এই সাহস পৃথিবীতে মহিলারা দেখাচ্ছে কি?

একজন শ্রমিক, সারাদিন সে তার শরীর খাটিয়ে একটানা ১০/১২ ঘন্টা পরিশ্রম করে। তার শরীরকে শোষণ হচ্ছেনা? শরীর শোষণ আর যোনি শোষণ কি আলাদা? শরীর শোষণ না করে কে বাঁচতে পারে। যারা বুদ্ধিজীবি, তারাও শরীর খাটিয়ে টাকা উপায় করে। ফলে আপনি আলাদা ভাবে বলতে পারবেননা  যৌন শোষণ। বরং নারীরা যৌনশোষণকে তাদের পেশা হিসাবে হাসি মুখে বেছে নিয়েছে।  ৭৬০ কোটি নরনারীর পৃথিবীতে প্রায় ৬ কোটি পেশাদারি বেশ্যা,  প্রায় প্রতি ৬৪জন মহিলার ১ জন বেশ্যা বৃত্তি করে। এবং তারা হাসিমুখে করে। আপনি তাদের শ্রমের কাজ দিলে তারা করতে ইচ্ছুক নয়। যদিওবা করে, তারা বেশ্যা বৃত্তি ছাড়তে রাজি নয়। তাদের যোনি দিয়ে যা কামায় তা বিশাল অংকের। শ্রম দিয়ে তা অর্জন করা যাবেনা এছাড়া কোন পুরুষকে লুটে নেবার অস্ত্র মিষ্টি কথা বা যোনির টোপ দেওয়া। মাদক ও বেশ্যা বৃত্তিতে বিশাল টাকা দাও মারা যায়। আয় করা যায়। মহিলারা ৭০ শতাংশ স্বেচ্ছায় বেশ্যা বৃত্তিতে আসে। একটা সার্ভে করা হয়েছিল (At least 1,000 sex workers were surveyed under an ongoing reproductive and sexual health project, funded by AmplifyChange and South India AIDS Action Programme (SIAAP). সেখানে পরিস্কার বলেছে, অশিক্ষা দারিদ্রতা থেকে মহিলারা বেশ্যাবৃত্তিতে আসে। ভারতে, মহিলারাই অশিক্ষিত বা দরিদ্র নয়। পুরুষরাও। সূত্র ২০২০ ফেব্রুয়ারী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


 

কেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একজন বেশ্যা একরাতের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা রোজগার করে।


আপনি এরপরেও বলবেন এই বেশ্যাদের/ এসকর্ট মহিলাদের কেউ ক্রীতদাস বানিয়ে এখানে এনেছে? আর বেশ্যালয় চালায় একজন মহিলা। মহিলাদের কাছে যদি এই পেশা খারাপ হত, তা হলে মহিলারা বেশ্যালয়ের মালিক হতোনা।

Paid labour থেকে  Paid sex  মহিলাদের কাছে অনেক সুখের। নীচের ছবিটা দেখুন, একটা নর্দমার পাঁকে ডুবে একজন পুরুষ কাজ করছে। সে কাজ করে তার ঘরের মহিলাকে খাওয়াবার জন্য, পরাবার জন্য, আশ্রয় দেবার জন্য।কোন মহিলাকে দেখেছেন এমন কঠিন কাজ করতে? লোকটাকে সামাজিকভাবে, ব্যক্তিগত ভাবে, সবাই হেয় করে। আর এসব করে সে কত পয়সা পায়? তার চেয়ে মহিলারা বেশ্যা বৃত্তি কেন পছন্দ করে এবার বুঝুন।

বেশ্যাবৃত্তির ইতিবাচক বা নেতিবাচক আমি কিছুই বলছিনা। আমি শুধু আপনাকে তথ্য দেখাচ্ছি, যাতে আপনি সঠিক ভাবতে পারেন।

২০১৬র জুনে, টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসকর্ট সার্ভিস কোনভাবে সরকার বন্ধ করতে পারবেনা। নানা ধরণের ইন্টারনেট ব্যবহার করে এসকর্ট সার্ভিস চলছে। এবং তারা বিজ্ঞাপনগুলিতে কোন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেনা। তারা  'juicy lips'  'midnight princess'  'sterling bioscience' এসব বলে খদ্দের ডাকে। বা friendship' and 'company' বলে চালায়। দিল্লীতে এক দিন ব্যবসা ৫০ কোটি টাকার হয়, মুম্বাইতে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এসকর্টরা সাধারণতঃ স্বচ্ছল ঘরের থেকে আসে, কেউ মডেল বা কেউ অভিনেত্রী, তারা শুটিং করে ২ হাজার টাকা পায় আর এসকর্ট করে ২০, থেকে ৪০ হাজার টাকা উপায় করে। আর যারা খদ্দের তারা সমাজের ভি আই পি, তাদের সাথে যোগাযোগ তৈরি অন্যভাবে হতনা, এসকর্ট সার্ভিসের মাধ্যমে হয়ে তারা অনেক লাভবান।

এবার আপনি ভাবুন একদিনে ২০ হাজার হলে একমাসে সে কত রোজগার করে।

এসব পড়ার পর আপনি বলবেন, বেশ্যা বৃত্তি কষ্টের কাজ? ধনী গরীব সব জায়গায়তেই আছে। আপনি নিজের পেশার প্রতি যত যত্নবান হবেন তত ফেরত মুনাফা আসবে। অনেক মহিলা রাস্তায় বা এদিক ওদিক গলিতে অন্ধকারে লাভবান হয়না বলে বেশ্যা বৃত্তি মন্দ এমন ধারণা করার কারণ নেই। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ১০/১২ঘন্টা একটানা শ্রম দেয়, বেশ্যারা সারা সপ্তাহে বড়জোর ১০ ঘন্টা কাজকরে। আর মজুরী ও সাধারণ শ্রমের চেয়ে বেশি।

মুম্বাই, দিল্লী , চেন্নাই ও কলকাতায় উইকিপিডিয়া অনুসারে(The  United Nations Programme on HIV and AIDS (UNAIDS) রিপোর্টে, এই চার জায়গায় প্রায় ৭ লক্ষের বেশি বেশ্যা আছে, এছাড়া আছে এসকর্ট ও কলগার্ল।  রোগ থেকে সাবধানতা সবাই সচেতন ভাবে করে।

২০১৭ এর র‍য়টারের  খবর অনুযায়ী Of an estimated 20 million commercial prostitutes in India, 16 million women and girls are victims of sex trafficking, according to campaigners.  ভারতে আরো অন্যান্য খবর মাধ্যমে সংখ্যাটা ২ কোটি থেকে ৩ কোটি (বেশ্যা) হতে পারে। আপনি দূর থেকে ভাববেন বেশ্যারা খুব কষ্টে আছে। একদিনে সে অনেক খদ্দের ধরে, ৩ থেকে ৬ জনকে প্রতিদিন সে যৌন পরিষেবা দেয়। এটা তার কাছে পেশা।  তার কাছে  মনে হয়না সে বাধ্য হয়ে বেশ্যা বৃত্তিতে এসেছে। রাস্তায় মুটে মজুর সেজে বা সব্জীর দোকান সাজিয়ে, বা পরিচারিকার কাজ করে যথেষ্ট টাকা অর্জন করা যায়না।


ইউনাইটেড নেশন যৌন কর্মকে কর্ম বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইন্টার নেশনাল লেবার অর্গানাইজেশন স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে আপনি আমি কে যৌন কর্মকে দোষারোপ করার? একমাত্র কিছু মুষ্টিমেয় মহিলা যারা নিজেদের নারীবাদী জাহির করে সমাজে নারীদের নষ্টামি শেখায়, ভুল পথে চালিত করে কেবল তারাই যৌন কর্মের বিরোধী। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন, বড় বড় নারীবাদীরা ব্যক্তিগত জীবনে অসামাজিক। যেমন নারীবাদী   সিমোন দ্য বোভোয়ার, সেকেন্ড সেক্স গ্রন্থের বিখ্যাত লেখিকা, তার ব্যক্তিগত জীবনে সে একজন যৌনশোষণকারী। এর চেয়ে বড় প্রমাণ আপনি কোথাও পাবেননা। ভারতে
Flavia Agnes ফ্লেবিয়া অ্যাগনেস, মহিলা উকিল, নারীবাদী যার জীবন জটিল, ডিভোর্সী, আরেকজন হলেন বৃন্দা গ্রোভার Vrinda Grover, এরকম অনেক নারীবাদী উকিল/ বুদ্ধিজীবি প্রমুখ মহিলা নিরপেক্ষ আইন চাননা। তারা চান মহিলারা নয় শুধু পুরুষদের ধর্ষণ আইনে জেলে ভরতে হবে। কোন gender-neutral ধর্ষণ আইন পাশ করা যাবেনা। ফৌজদারী আইন ৩৭৫  সংশোধন করা যাবেনা। তারা পুরুষ কমিশন তৈরিতেও বাধা দিচ্ছে। তাহলে বুঝুন মহিলারা জানে তারা অপরাধী, নিরপেক্ষ আইনে ধর্ষণের জন্য তাদেরও ফাঁসী হবে। সূত্রঃ মার্চ ৭, ২০১৩, টাইমস অফ ইন্ডিয়া  


মহিলার অনুমতি নিয়ে তার সাথে যৌন সংগম করতে হবে। না মানে "না" এটা করতে হবে, এই ছিল বৃন্দা গ্রোভারের যুক্তি। সুপ্রীম কোর্ট নাকচ করে দিয়েছে। কারণ আবেগে অনেক মহিলাই হ্যা বলতে গিয়ে না বলে। এটা মহিলাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট।

 ভারতের আইন প্রণয়ন ব্যবস্থাও ঠিক নয়। সাধারণ মানুষের অনুমতি ছাড়াই কতিপয় লোক আইন্সভায় বসে আইন বানায়। তারা সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি নন। যেমন বৃন্দা গ্রোভার, ফ্লয়াবিয়া অ্যাগনেস, তারা নিজেদের স্বার্থ বা পেশার স্বার্থ হিসাবে উকালতি করেন। প্রয়োজনে তারা সাদাকে কালো, কালোকে সাদা দেখান।

লিংগ বৈষম্যহীন আইন উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার ৪টি দেশে চালু। ভারতে ১৮ বছর অবধি ছেলেদের পসকো আইনে আনা হয়েছে। সেই জন্য ভারত জেন্ডার নিউট্রাল রেপ আইন চালু করবেনা। কিন্তু অনেক আইনজ্ঞরা, বিশিষ্ট জনেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৮সালের জুলাই মাসের খবর, দ্য হিন্দু

আমার কাছে মনে হয়েছে, মহিলারা ধর্ষণ শব্দটার উপর অতিরঞ্জন, অতি ব্যবহার করে এটাকে বেলুনের মত ফাঁপা শব্দ বানিয়ে ফেলেছে। এবং একটা শ্রেণির মহিলা, (মহিলারা মানসিক স্তরে সবসময়ই বিবাদপ্রিয়, ফলে না বুঝেই, ঘটনার বাস্তবতা না স্বীকার করেই, নিজেকে ভিক্টিম বা বলি জাহির করে সহানুভূতি আদায় করতে চায়, ফলে নারীবাদী কথাটা- বিশেষ করে- নারী দুর্বল, বঞ্চিত, পুরুষের দ্বারা অত্যাচারিত ইত্যাদি গল্প বললে একবাক্যে সায় দেয় ) যারা নারীবাদী রাজনীতি করে, শহরে/আধাশহরে থাকে, কিছু পড়াশুনা জানে, ও নারীর অধিকার নিয়ে লড়াই করে, তারা তাদের পেশার স্বার্থে, একচেটিয়া বলতে বলতে ধর্ষণ শব্দটাকে দানব রূপ দিয়েছে। যেন তারা কোন বড় কোম্পানীর প্রোডাক্ট ক্যাম্পেন করে বিক্রী করছে।খবর কাগজে, টিভিতে, সেমিনারে, প্রদর্শনীতে, অ্যাটিচুড বা জিহ্বার ডগায় প্রকাশ করে পুরুষকে শয়তানের রুপ দিতে চাইছে। ভাবখানা এমন পুরুষহীন এক মহিলা জগত তারা তৈরি করবে।
কিন্তু বাস্তবিক, একজন মহিলারা শত্রু আরেকজন মহিলা, এবং সেই শত্রুকে নিকেশ করার জন্য মহিলাদের পুরুষ আশ্রয় অপরিহার্য। এই পৃথিবীর নির্মাতা ও তাকে সমস্ত কিছু সংরক্ষণ করা, সরবরাহ করা ইত্যাদি সবই পুরুষ করে। এই যে ঘরটিতে নারী নিরাপদে থাকে, ঘরটি পুরুষের তৈরি। এই যে খাবার সে খায়, শষ্য-দানা, এগুলি পুরুষের ঘাম ও শ্রম, এই যে কাপড়টি, অলঙ্কারগুলি এত সুন্দর সুন্দর নারী ব্যবহার করে তাকে সাজায় এগুলি পুরুষের তৈরি।সারাদিন পুরুষ প্রকৃতির বিরুদ্ধে পরিশ্রম করে অর্জন করে নারীর জন্য, এবং সে প্রত্যাশা করে নারী তাকে পরিশ্রমের ক্লান্ত দেহকে সেবা দেবে, তার যোনির অধিকার দেবে।
এই উপরোক্ত সত্যের বিকল্প নারীর কাছে কিছুই নেই।
পুরুষ বাস্তবিক, বংশ রক্ষার জন্য কিছুই ভাবেনি, ফলে তার নিজেকে আদিম কাল থেকে সেইভাবে বিকশিত করেনি, গর্ভাশয় তার পেটে তৈরি হয়নি। হয়েছে নারীর পেটে।
 বিবর্তন ধারার গোড়ায় যদি দেখি, যখন এককোষী প্রাণিরা নিজেদের দেহ ব্যবচ্ছেদ করে বংশ তৈরি করত, একটা নিশ্চিত সময় থেকে লিংগ বিকশিত হল।

ভারতে নারীরা বা পৃথিবীতে নারীরা প্রায় ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়সী, ৪৫%শতাংশ ধর্ষক। এবং তা রিপোর্ট হয়না। মেয়েদের মাসিকস্রাব শুরু হওয়ার অনেক আগেই তাদের যৌন সংগম সম্পর্কে জ্ঞান এসে যায়। এবং তারা ছোটবেলার পুতুল সংসার থেকেই বিশদ্‌ শেখে। রান্নাবাড়ি, বাচ্চা খাওয়ানো পরানো ইত্যাদি। ফলে তাদের যোনির অনুভূতি তাদের ছেলেদের সাথে বা বাপের বয়েসী লোকের সাথে চুপি চুপি সম্পর্ক করতে উৎসাহী হয়।

একবার reddit.com এ ২০১২ সালে একটা বিষয় বলা হয়েছিল "Men who have been raped by women: can you tell us about what led to the assault and what came after it?" তখন প্রচুর ঘটনা প্রকাশ হয়েছিল মহিলারা কখন কিভাবে পুরুষ ধর্ষণ করে।

 একটা মেয়ে লিখছে, তার মায়ের বন্ধু ১৮ বছরের এক মহিলা, তার মামার বয়স ১৫, তার মামার ঘরে বসে  তার মায়ের বন্ধু তার মামার শরীর ঘষাঘষি শুরু করেছে। তার মামা বাধা দিলে, সে তাকে ব্ল্যাক মেইল করা শুরু করল। বল, আমি যা বলি তা না করলে আমি এখুনি চিৎকার করে লোক ডাকব, বলব আমাকে রেপ করছে। তার মামা ভয় পেয়ে যায়। ও সেইমত কাজ করে। মহিলারা পুরুষকে এমন ভয় দেখিয়ে বাধ্য করে। আর সাধারণ সমাজ মহিলার কথা বিশ্বাস করে। এরকম ভিন্ন ভিন্ন প্রচুর ঘটনা প্রকাশ হয়েছিল।

 বাংলাদেশের ঢাকার একটি ঘটনা। এক রিক্সাচালক, ৬৫ বছর বয়েস, তাকে ১৩ বছরের এক মেয়ে নাছোর বান্দা বিয়ে করার জন্য পাগল। সংবাদ মাধ্যম নানা ভিডিও, টিভিতে হৈ হৈ পড়ে গেল। রিক্সা ওয়ালা বিয়ে করল। সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন ১৪ই মে, ২০২০

লন্ডনের গার্ডিয়ানের খবর ২০০৯ সালের। ৬৪ হাজার মহিলাশিশু যৌন নির্যাতন কারী।ভাবুন সারা পৃথিবীতে কেমন হবে সংখ্যাটা।

আমার এক বান্ধবী, তার প্রতিবেশি এক কলেজ ছাত্রীকে দেখেছে, তার.৭ শিশু পুত্রকে  একা ঘোরে বিছানায় শুয়ে বুকের স্তন খাওয়াচ্ছে। হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় ও কলেজ ছাত্রীটিকে বকাবকি করে।

২০১৭ সালের জুন মাসে, গাজীপুর জেলার শাদিয়াবাদ থানার এলাকায় একটি ১৫ বছরের মেয়ে  ৯ বছরের ছেলের সাথে শারিরীক সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি বলে ছেলেটির পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। ভাবুন এরকম ঘটনা সবসময় হয়, মিডিয়াতে খুব কম আসে। কারণ ছেলেদের কিছু হলে কোন প্রতিবাদ, মোম্বাতির মিছিল, মিডিয়া আগ্রহ পায়না। দেশটা নারীবাদী কিনা। কিন্তু এগুলি উত্তর না দিয়ে মহিলাদের উত্তর কিভাবে আশা করা যায়?

আমার রচনা আরো দীর্ঘায়িত করা যায়। কিন্তু আপনার কান আছেতো? 

 এতসব জেনে আমার মনে হয়েছে, ধর্ষণ নারীবাদীদের কাছে এক খেলা, যোনি রাজনীতি।  এর বাইরে কিছু নয় তাই এর প্রচার অতিরঞ্জিত করে, মিথ্যা গল্প বানিয়ে বানিয়ে সমাজকে তিক্ত করে দিয়েছে। নারীবাদ এক ধ্বংসাত্মক রাজনীতি।

 বহু এন জি ও আছে, যারা নারী ধর্ষণের গল্প লিখে, প্রচার করে টাকা পায়। তাই এই বিষয়ের প্রচার বেশি। পুরুষ ধর্ষণ হলে প্রচার হয়না।

No comments:

পুরুষ প্রলোভিত পোশাকে মহিলারা অন্য মহিলাদের ধর্ষণের শিকার বানানঃ একটা সমীক্ষা 'মহিলা সংস্কৃতি'

  আত্মজ উপাধ্যায়   ( ধর্ষণ সামাজিক অপরাধ, আরো অধিক অপরাধ তাদের যারা এই ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়। 'ধর্ষণ'- এ পুরুষ যতটুকু না দোষী, তার বহুগ...