আত্মজ উপাধ্যায়
ধর্ষণের জন্য পুরুষকে শাস্তি দেওয়া কতটা ন্যায়? একজন সাধারণ নাগরিকের বিচার ভাবনা থেকে রাস্ট্রেরবিচার বিভাগের পুনরায় বিচার প্রার্থনা করছি। কারণ আপনি দেখতে পাচ্ছেন, পুরুষ ধর্ষণ করেছে, কিন্তু তাকে কে প্ররোচিত করল? কেন সে জোর করে অন্য এক ব্যক্তির উপর আক্রমণ করল? নিশ্চয়ই পাগল না হলে সে সভ্য সমাজে অন্যকে আক্রমণ করতে যাবেনা। আর পাগল হলে তাকে ফাঁসীতে ঝুলালে সভ্যতার চরম অপমান। রাস্ট্রের লজ্জা।
আর পুরুষই শুধু ধর্ষণ করে মহিলারা করেনা? গত ৩ দশক জুড়ে পত্রপত্রিকা ও অপরাধ বিভাগের খোঁজ নিন।
মন্ট্রিয়ালের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সোশাল ওয়ার্কের সহযোগী অধ্যাপক মরিয়াম এস ডেনভ (Myriam S. Denov, an associate professor in the School of Social Work at Montreal’s McGill University, ) বলেছেন যে মহিলাদের সম্পর্কে সাংস্কৃতিক চিন্তাহীনভাবে বাঁধাধরা ভাবনা, স্টেরিওটাইপগুলি (cultural stereotypes ) মেয়েদের পুনঃপুনঃ সংঘটিত যৌন অপরাধের সম্পর্কে সচেতনতাকে অস্পষ্ট করে দিয়েছে। অর্থাৎ মেয়েদের সম্পর্কে এমন একটা বাতাবরণ করে রাখা হয়েছে, তাতে মানুষ চিন্তাভাবনা না করেই বাঁধা ছকে বলে ফেলে মেয়েরা নিরীহ। তারা ধর্ষণ জানেনা।
"যদিও পুরুষ যৌন অপরাধের হারের তুলনায় মহিলা যৌন অপরাধের সংখ্যা কম, তবুও প্রমাণ রয়েছে যে স্ত্রীলোকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকৃত।" তিনি তার একটি বইতে বলেছেন, "মহিলা লিঙ্গ সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি আপত্তিজনক: অস্বীকারের সংস্কৃতি ”(“Perspectives on Female Sex Offending: A Culture of Denial.”)
মেয়েরা জড়পদার্থ তো নয়। তাহলে সভ্যসমাজের আইন ধর্ষণে মেয়েদের অভিযুক্ত কেন করেনা? এটা একটা চরম লজ্জাজনক বিষয়, রাস্ট্রের আইন নিরপেক্ষ নয়। নারী পুরুষকে সমান চোখে না দেখলে, অপরাধ বাড়বেই। এর দায় সরকার নেয়না কেন?
বিশদ পড়ার জন্য কিছু সূত্র দিচ্ছি। পড়ুন ও দাবী করুন, আইন নিরপেক্ষ হোক।
শপলিফটিং shoplifting বলে একটা কথা আছে। জানেন কারা বেশি শপ লিফট করে? মহিলারা। ৩ভাগের ২ভাগ মহিলারা নানা দোকান থেকে চুরি করে।(Recent health initiatives have highlighted the importance of understanding gender differences. In clinical samples, approximately two-thirds of kleptomania patients are women) এই চুরি সমাজের সম্ভ্রান্ত ও ধনী মহিলারাই অভিযুক্ত। এই শপ লিফটিংকে বলে ক্লিপটোম্যানিয়া (Kleptomania)। গবেষকরা বলেছেন এ এক ব্যাধি, নানা মানসিক টানা পোড়েন থেকে এ ব্যাধির জন্ম নেয়। ঠিক ধর্ষণের মত। নিজেকে সংযত রাখা দায় হয়ে পড়ে। সংজ্ঞা হিসাবে বলা যায় "চুরি করবার প্রবণতাকে ইংরেজীতে বলে Kleptomania । এ হল,নিজের কোন তাড়না, তাগিদ - আর্থিক লাভ, স্বার্থ চরিতার্থ বা সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারিক বস্তু চুরি করার-- প্রতিরোধ করার অক্ষমতা। ১৮১৬ সালে প্রথমে বর্ণিত, ক্লিপটোম্যানিয়াকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এটি একটি মানসিক ব্যাধি, মানুষের কোন তাড়না অসংযত হয়ে পড়ে an impulse control disorder। "
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও National Center for Biotechnology Information, U.S. National Library of Medicine
গয়নার দোকানে বহু দামী বস্তু থাকে। বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা লিন্ডসে লোহান Lindsay Lohan , ২০১১ সালে এক গয়নার দোকান থেকে নেকলেস চুরি করে পালিয়ে গেছিল পরে ধরা পড়ে (Walked out of a jewelry store with a $2,500 necklace in 2011)।
২০১৪ সালে বাংলার এক অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী কানের দুল সিংগাপুরের এক দোকান থেকে চুরি করে লজ্জা দিলেন
এরকম অনেক উদাহরণ আছে। কারুর- কোন দোকানের আর্থিক ক্ষতি আর ধর্ষণের সাথে আপনি তুলনা করুন, কিভাবে করবেন? এবং এই ক্ষতির, দোকানে দামী জিনিস চুরি করে কারুর অলক্ষে আর্থিক ক্ষতির শাস্তি কি হওয়া উচিত? ভাবুন।
বিবাহিত বৌকে জোর করে ধর্ষণ করলে ভারতীয় আইনে বলে ধর্ষণ নয়। অথচ একই কাজ অন্যের সাথে করলে শাস্তি বিশাল। এটা কি ভন্ডামী নয়? ভাবুন। পার্থক্য হল একজন স্বামী, আরেকজন স্বামী নন- কিন্তু দুজন মহিলাকে একই ক্ষতি(?) বা বল প্রয়োগে দোষী অভিযুক্ত। আপনার কাছে আশ্চর্য লাগেনা?
আরো আশ্চর্য লাগবে, যখন কোন ব্যক্তি খুন হয়ে যায়, সেই খুনের চেয়ে ধর্ষণকে বড় করে দেখা হয়। ধর্ষণে কারোর জীবনহানি হয়না, খুনে হয়।
এবার আপনি বিচার করুন, কোনটা অধিক ক্ষতিগ্রস্থ বিষয়, এবং কোনটার উপর মানুষের অধিক ভাবনা স্থাপন দরকার। ইউনাইটেড নেশন ২০১৯ সালের রিপোর্টে বলেছে, ১০০ জন নরহত্যার মধ্যে ৮১জন পুরুষ হত্যা হয়, ১৯জন নারী। আপনি কি কখনো এই ৮১জন পুরুষের জন্য ভেবেছেন? ভাবেননি। আপনি শুধু ভেবেছেন মহিলাদের ধর্ষণ নিয়ে ধরাবাঁধা ছকে (cultural stereotypes)। তাহলে আপনি সাহস পান কি করে পুরুষের বিচার করতে?
ভারতের ধর্ষণের তুলনায় অন্যান্য রাস্ট্রঃ
ধর্ষণ একটা সামাজিক অপরাধ। নিঃসন্দেহে। কিন্তু সব অপরাধের মতো এটা ভাবা দরকার, এর উৎস কোথায়, শেষ কোথায়? একটা ধর্ষণ ঘটল, আর পুলিস তাকে ও তার সাথে সম্পর্কিত আরো কয়জনকে ধরে এনে কেস সাজিয়ে আদালতে তুলে দিল। বিচারক আইন অনুযায়ী জেল বা ফাঁসী দিল। এটাই কি সরকারের কাজ? একটা অসভ্য সমাজে এরকম বিচার চললে, বলা যায়, এরা অসভ্য তাই তাদের বিচার এমন।
আপনি দেখেছেন, যারা রিহাররসাল দেয়, চর্চা করে, তারা সাধারণের চেয়ে ভাল কাজ সম্পাদিন করে। যেমন যারা পাঁঠা কাটে, গরুমোষ কাটে, তারা যত তারাতারি সুন্দর মাংস কাটে সাধারণ মানুষ তা পারেনা। বা যারা ডোম, মৃতের মর্গে মড়া নাড়াচারা করে, সাধারণ মানুষ, ভয় পেয়ে মারাই যাবে। মেনহোলে নর্দমায় যারা কাজ করে একজন আমলা ব্যক্তি যেভাবে সত্যমিথ্যাকে নাড়াচাড়া করেন, সাজান, তিনি নর্দমায় নেমে মারা যাবেন। বা পুলিশ যেভাবে সাধারণ নাগরিককে অত্যাচার করে, খুন করে, ধর্ষণ করে লকয়াপে নিয়ে গিয়ে, এগুলির জন্য চর্চা বা পরিবেশ, বা সময়, এসব দরকার।
ধর্ষণ হয় নারী পুরুষের মধ্যে। বা দুজন মানুষের মধ্যে।এই দুজন জানেন, ধর্ষণ বা যৌন সহবাস কি, (অধিকাংশ ক্ষেত্রে)। ইচ্ছা করলে পাত্র পাত্রীরা ধর্ষণ এড়াতে পারতেন। কিন্তু তাদের অহংকার বোধ ও গোয়ার্তুমি, জিদ বা প্রবল তাড়না অপরাধ ঘটাতে সাহায্য করে।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলির ধর্ষণের তুলনাঃ
ভারতের জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি। প্রতিদিন ৯০ টি গড়ে ধর্ষণের ঘটনা, ২০১৭ সালের সরকারি পরিসংখ্যন অনুযায়ী৩২ থেকে ৩৪ হাজার ঘটনা। তুলনায় অন্যান্য দেশেঃ প্রতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা ৬কোটী লোক প্রতি বছরে ৫০০,০০০ ধর্ষণ ঘটে, চীনে ১৪৫ কোটি লোক, বছরে ৩১,৮৩৩ ধর্ষণ ঘটে,মিশরে ১০ কোটি লোক বছরে ২০০,০০০ এরও বেশি ধর্ষণ হচ্ছে, এবং যুক্তরাজ্য ৭ কোটি লোক, বছরে ৮৫,০০০ ধর্ষণ ঘটে। আমেরিকাতে এফ বি আই বলছে প্রায় ৯০ হাজার প্রতি বছরে ধর্ষণ ঘটে, লোকসংখ্যা ৩৪ কোটি। সূত্রঃ ঊইকিপিডিয়া
তবু সাম্প্রতিক, ভারত, যেখানে বেকারত্ব, অশিক্ষা, কুসংস্কার যেখানে মাথার আকাশ, সেখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় ধর্ষণ কম হলেও, নারীবাদী , দেশদ্রোহী, ও মিডিয়ার কল্যাণে ভারত ধর্ষণের রাস্ট্র বলে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। এটা খুবই অস্বস্তিকর।
এই ভাবনা আমাকে ঠেলে দিয়েছে গবেষণা করে দেখার জন্যঃ কি কারণে পুরুষ ধর্ষণের মত অপরাধে আসে, বা কেন মহিলারা ধর্ষিত হয়। বিশ্বের তাবড় তাবড় পন্ডিতগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগ্ণ, মনোবিদগণ নানা বিষয় তুলে এনেছেন। মূলতঃ ইংরেজী ভাষায়, অনেক রিসার্চ পেপার ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। সেগুলি তদন্ত করার রসদও যথেষ্ট। একজন মানুষকে বিশাল তথ্যভান্ডার পাঠ করে, কয়েক বছর সময় জুড়ে সারমর্ম আনতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে, কোন কাজের উৎস ও সমাপ্তি।
আমি প্রথমে দেখে নিয়েছি ধর্ষণ বা যৌন চারণা জোর পূর্বক, নতুন কিছু নয়। মানুষ যত সভ্য হচ্ছে ( আসলে মানুষ যত অসভ্য হচ্ছে) তত তার আলাদা বিন্যাস ও নাম করণ বা শ্রেণিভেদ করণ করে আনছে। ধর্ষণের কথা পুরাকালেও ছিল। বিশ্বের সব সাহিত্যে এর উল্লেখ আছে।
ধর্ষণের কারণ সমূহ
বাস্তবিক, শুধু পুরুষ ধর্ষণ করেনা, মহিলারাও ধর্ষণ করে এবং আদিম কাল থেকেই। দুজনের ধর্ষণের চরিত্র দুরকমের। বিজ্ঞান একটা শব্দ ব্যবহার করে, 'সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম' "Sexual dimorphism "
একই প্রজাতির মধ্যে দু রকম বৈশিষ্টযুক্ত- রঙ, আকার, আচরণ, চরিত্র, কর্ম, স্বভাব ইত্যাদি থাকে। যেমন নর নারীর মধ্যেকার সম্পূর্ণ আলাদা বৈশিষ্ট। সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোন যৌনতা নিয়ন্ত্রণ করে। সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম ছাড়াও পরিবেশ পরিস্থিতি হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।
The pituitary gland পিটুইটারি গ্রন্থি, যাঁকে কখনও কখনও মাস্টার গ্রন্থি বলা হয়, ফলস্বরূপ অন্যান্য অনেকগুলি endocrine glands অন্ত:স্র্রাবী গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। পিটুইটারি হরমোনের নিঃস্বরণের হার নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটা ফিডব্যাক লুপের feedback loop মাধ্যমে যেটা অন্যান্য অন্তঃস্রাবের হরমোনের রক্তের মাত্রা পিটুইটারিকে সংকেত দেয় গতি বাড়াতে বা কমাতে। এইভাবে পিটুইটারি হরমোনের নিয়ন্ত্রক।
পরিবেশের পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়াতে মস্তিষ্ক তার রসায়ন এবং কাঠামোর পরিবর্তনে সক্রিয় হয়ে উঠে।এবং সঞ্চালন করতে থাকে এড্রিনালস, থাইরয়েড এবং অন্ডাশয় ও ডিম্বাশয় এর হরমোনগুলি (hormones of the adrenals, thyroid and gonads)এই অভিযোজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেহেতু মস্তিষ্ক পিটুইটারি গ্রন্থি এর মাধ্যমে endocrine system অন্ত:স্র্রাবী পন্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
সূত্রঃ National Center for Biotechnology Information
এর দ্বারা বোঝা যায়, যে কোন ব্যক্তি পরিবেশ ও পরিস্থিতির দ্বারা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। দেখবেন আপনি যখন খবর দেখেন টিভিতে, তখন টিভির খবর আপনাকে প্রভাবিত করে। কোথাও অন্যান অবিচার বা দাংগা দেখলে আপনার রক্ত গরম হয়ে উঠে। আবার সুন্দর কিছু দেখলে মন কত প্রশান্ত হয়, আপনি শান্তি পান। ঠিক এরকম, আপনি যা দেখবেন, শুনবেন, বা যে পরিবেশের মধ্যে থাকবেন, আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে সেইভাবে পরিচালিত করবে। প্রভাবিত করবে।
আমরা দেখতে চাইছি, ধর্ষণ ঘটানোর পিছনে মস্তিষ্ক কিসে প্রভাবিত হয়। নারী বা পুরুষের। ধর্ষণ ঘটলে মহিলারাই সোরগোল তুলে। ধর্ষককে দ্ষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে প্রতিশোধ নিতে চায়। বা আর যাতে কেউ ধর্ষণ না করে তার জন্য একটা দমন ভয় সামনে রাখতে চায়। ধর্ষিতা মহিলাকে দেখায় ধোয়া তুলসীপাতা, অর্থাৎ তার কোন দোষ নেই।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। পৃথিবীর মধ্যে হাজার রকমের সমাজ বা সম্প্রদায় আছে। গোষ্ঠি আছে। যুদ্ধ , দাংগা বা উৎসবে তাদের প্রকাশ পায়। যখন গণেশ পূজা হয়, বা দূর্গা পূজা হয়, কিংবা মহরম, খ্রীষ্টমাস - তখন নানা ধর্মীয় গোষ্ঠি দেখা যায়। গাত্রবর্ণ দিয়েও গোষ্ঠি হয়, যেমন আফ্রিকা বনাম আমেরিকা। সম্প্রতি 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' দেখেছেন। নারী পুরুষের লিংগেও শ্রেণি বিভাজন হয়। এই সম্প্রদায়, গোষ্ঠির কাজ অন্যসম্প্রদায়কে ভালমন্দ কাজে প্রভাবিত করে।
বিশ্বে এখন অনন্য বিতর্ক চলছে নরনারীর মধ্যে, কে ক্ষমতাশালী। মহিলারা ছলেবলে কৌশলে বলতে চাইছে তারা পুরুষের চেয়ে ক্ষমতাশালী ও সব কিছু করতে পারে। তারা মিথ্যাকে বার বার প্রচার করে ইতিমধ্যে অনেকটা সাফল্য নিয়ে এনেছে। সারা পৃথিবী চুপিসারে নারীর কথা শুনে চলে- অর্থাৎ নারীবাদীদের প্রচারে প্রভাবিত হয়ে গেছে।
একটা পুরুষ পরিবারের সকলের ভরণপোষণ করতে গিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকছে। ইতিমধ্যে প্রচুর সময় অবসর হিসাবে পায়, মহিলারা, ও কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা। এরা ঘরের পুরুষের উপার্জনের পয়সায় মজা করে। দুষ্ট বা অনিষ্ট সাধনে ব্যস্ত রাখে।
দেশের মধ্যে বেশি হল্লাবাজি, কারা করে? কলজের ছাত্র ছাত্রীরা আর বড়লোকের গৃহবধূরা। বড়লোকের গৃহবধূদের কোন কাজ নেই। স্বামীর পয়সায়, ফুটানি করে, নিজেদের নানান কাজে সমাজ সেবি নামে প্রচার করে। নিজেকে ক্ষমতাশালী হিসাবে তুলে ধরে। এইভাবেই নারীবাদীদের রমরমা।গায়ে গতরে পরিশ্রম করে কেউ আসেনা।
কর্মজীবি পুরুষ যারা প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করে তারা নিজেদের চাকরি বাঁচাতেই কালঘাম ছুটে যায়। ফলে 'পুরুষবাদ' বলে নারীবাদের সমান্তরাল কিছু নেই।
নারীবাদী দের চরিত্র হল, মিথ্যা, ছল-বল-কৌশল, নিজেদের ভিক্টিম (victim) সাজিয়ে, নানা অভিযোগ /ষড়যন্ত্র পুরুষের বিরুদ্ধে করে এগুনো। একটা কথা সবসময় প্রয়োগ করে, তারা বৈষম্যের শিকার। বা পিতৃতান্ত্রিক সমাজ তাদের প্রতিবন্ধক নয়ত তারা আরো স্বাধীন ও কর্মঠ হত। সেদিন এসেছে, নারীবাদীদের মুখোশ খুলে পরিবার রক্ষা করা। পুরুষদের নারী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করা।
মহিলারা মানুষের গর্ভেই জন্ম, মানুষ। পুরুষের সমান না হলেও পুরুষের কাজের ৭৫ শতাংশ করে ফেলতে পারে। বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে দেখা গেছে, তারা ধর্ষণ থেকে আরম্ভ করে হেন অসৎ কাজ নেই করতে পারেনা। এবং সমস্ত কাজেই তারা তাদের দেহকে (যোনি ও স্তনকে) পূঁজি বানিয়ে করে।ভারতে তথা বিশ্বে বহু কুখ্যাত মহিলার নাম আছে। সুতরাং মহিলা নিরীহ ও নিরপরাধ, এই মিথ শুধু কল্পনা।
ভারতে নারীবাদের ইতিহাসকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যেতে পারে: প্রথম পর্ব, ১৯ শতকের মধ্যভাগে শুরু হয়েছিল, যখন সংস্কারবাদীরা শিক্ষায় সংস্কার করে নারী অধিকারের পক্ষে কথা বলতে শুরু করেছিলেন, মহিলাদের জড়িত রীতিনীতি। ১৯১৫ সাল থেকে ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব যখন গান্ধী ভারত ছাড়ো (Quit India) আন্দোলনে নারীদের আন্দোলনকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং স্বাধীন মহিলা সংগঠনগুলির উত্থান শুরু হয়েছিল। এবং শেষ অবধি তৃতীয় পর্ব স্বাধীনতা পরবর্তী কালে, যা ছিল মহিলাদের বিবাহের পরে বাড়িতে সুন্দর স্বাচ্ছন্দের পরিষেবা, কর্মস্থানে এবং রাজনৈতিক অধিকারের অধিকারে সম মর্যাদার।
তৃতীয় পর্ব থেকেই মহিলারা সমাজের ভাংগনে নেবেছেন। যতদিন ইন্টারনেট জনজীবনে প্রবেশ করেনি, সেই সময়টা আজকের সময় থেকে ভিন্ন ছিল।
পশ্চিমে নারীবাদ আরো ভিন্ন প্রকৃতির।
পরবর্তী অধ্যায় পড়ুন
No comments:
Post a Comment