Thursday, December 24, 2020

ধর্ষণের জন্য পুরুষকে শাস্তি দেওয়া কতটা ন্যায়? -- একটা সমীক্ষা ও গবেষণার ফল -১

 আত্মজ উপাধ্যায়

ভুমিকা

ধর্ষণের জন্য পুরুষকে শাস্তি দেওয়া কতটা ন্যায়? একজন সাধারণ নাগরিকের বিচার ভাবনা থেকে রাস্ট্রেরবিচার বিভাগের  পুনরায় বিচার প্রার্থনা করছি। কারণ আপনি দেখতে পাচ্ছেন, পুরুষ ধর্ষণ করেছে, কিন্তু তাকে কে প্ররোচিত করল? কেন সে জোর করে অন্য এক ব্যক্তির উপর আক্রমণ করল? নিশ্চয়ই পাগল না হলে সে সভ্য সমাজে অন্যকে আক্রমণ করতে যাবেনা। আর পাগল হলে তাকে ফাঁসীতে ঝুলালে সভ্যতার চরম অপমান। রাস্ট্রের লজ্জা।

 আর পুরুষই শুধু ধর্ষণ করে মহিলারা করেনা? গত ৩ দশক জুড়ে পত্রপত্রিকা ও অপরাধ বিভাগের খোঁজ নিন। 

মন্ট্রিয়ালের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সোশাল ওয়ার্কের সহযোগী অধ্যাপক মরিয়াম এস ডেনভ (Myriam S. Denov, an associate professor in the School of Social Work at Montreal’s McGill University, ) বলেছেন যে মহিলাদের সম্পর্কে সাংস্কৃতিক চিন্তাহীনভাবে বাঁধাধরা  ভাবনা, স্টেরিওটাইপগুলি (cultural stereotypes ) মেয়েদের পুনঃপুনঃ সংঘটিত যৌন অপরাধের সম্পর্কে সচেতনতাকে অস্পষ্ট করে দিয়েছে। অর্থাৎ মেয়েদের সম্পর্কে এমন একটা বাতাবরণ করে রাখা হয়েছে, তাতে মানুষ চিন্তাভাবনা না করেই বাঁধা ছকে বলে ফেলে মেয়েরা নিরীহ। তারা ধর্ষণ জানেনা।

"যদিও পুরুষ যৌন অপরাধের হারের তুলনায় মহিলা যৌন অপরাধের সংখ্যা কম, তবুও প্রমাণ রয়েছে যে স্ত্রীলোকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকৃত।" তিনি তার একটি বইতে বলেছেন, "মহিলা লিঙ্গ সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি আপত্তিজনক: অস্বীকারের সংস্কৃতি ”(“Perspectives on Female Sex Offending: A Culture of Denial.”)

এরকম বই/ গবেষণা গ্রন্থ প্রচুর আছে।
 
আছে সমসাময়িক সংবাদপত্র/মাধ্যম। 
এরপরেও যখন রাস্ট্রীয় আইন বলে মেয়েরা ধর্ষক নয়, তখন পরিস্কার এর মানে দাঁড়ায় আইন মহিলাদের পক্ষে। এবং আইন পুরুষকে বঞ্চিত করে, অপরাধী হয়ে উঠার জমি তৈরি করে।

মেয়েরা জড়পদার্থ তো নয়। তাহলে সভ্যসমাজের আইন ধর্ষণে মেয়েদের অভিযুক্ত কেন করেনা? এটা একটা চরম লজ্জাজনক বিষয়, রাস্ট্রের আইন নিরপেক্ষ নয়। নারী পুরুষকে সমান চোখে না দেখলে, অপরাধ বাড়বেই। এর দায় সরকার নেয়না কেন?

বিশদ পড়ার জন্য কিছু সূত্র দিচ্ছি। পড়ুন ও দাবী করুন, আইন নিরপেক্ষ হোক।

californiamenscenters.org

The Crown Prosecution Service 

The Illustrated Empathy Gap

শপলিফটিং shoplifting বলে একটা কথা আছে। জানেন কারা বেশি শপ লিফট করে? মহিলারা। ৩ভাগের ২ভাগ মহিলারা নানা দোকান থেকে চুরি করে।(Recent health initiatives have highlighted the importance of understanding gender differences. In clinical samples, approximately two-thirds of kleptomania patients are women) এই চুরি সমাজের সম্ভ্রান্ত ও ধনী মহিলারাই অভিযুক্ত। এই শপ লিফটিংকে বলে ক্লিপটোম্যানিয়া (Kleptomania)। গবেষকরা বলেছেন এ এক ব্যাধি, নানা মানসিক টানা পোড়েন থেকে এ ব্যাধির জন্ম নেয়। ঠিক ধর্ষণের মত। নিজেকে সংযত রাখা  দায় হয়ে পড়ে। সংজ্ঞা হিসাবে বলা যায় "চুরি করবার প্রবণতাকে ইংরেজীতে বলে Kleptomania । এ হল,নিজের কোন তাড়না, তাগিদ - আর্থিক লাভ, স্বার্থ চরিতার্থ বা সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারিক বস্তু চুরি করার--  প্রতিরোধ করার অক্ষমতা।   ১৮১৬ সালে  প্রথমে বর্ণিত, ক্লিপটোম্যানিয়াকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এটি একটি মানসিক ব্যাধি, মানুষের কোন তাড়না অসংযত হয়ে পড়ে an impulse control disorder। "

সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও National Center for Biotechnology Information, U.S. National Library of Medicine

গয়নার দোকানে বহু  দামী বস্তু থাকে। বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা লিন্ডসে লোহান Lindsay Lohan , ২০১১ সালে এক গয়নার দোকান থেকে নেকলেস চুরি করে পালিয়ে গেছিল পরে ধরা পড়ে (Walked out of a jewelry store with a $2,500 necklace in 2011)।

২০১৪ সালে বাংলার এক অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী কানের দুল সিংগাপুরের এক দোকান থেকে চুরি করে লজ্জা দিলেন

এরকম অনেক উদাহরণ আছে। কারুর- কোন দোকানের আর্থিক ক্ষতি আর ধর্ষণের সাথে আপনি তুলনা করুন, কিভাবে করবেন? এবং এই ক্ষতির, দোকানে দামী জিনিস চুরি করে কারুর অলক্ষে আর্থিক ক্ষতির শাস্তি কি হওয়া উচিত? ভাবুন।

 বিবাহিত বৌকে জোর করে ধর্ষণ করলে ভারতীয় আইনে বলে ধর্ষণ নয়। অথচ একই কাজ অন্যের সাথে করলে শাস্তি বিশাল। এটা কি ভন্ডামী নয়? ভাবুন। পার্থক্য হল একজন স্বামী, আরেকজন স্বামী নন- কিন্তু দুজন মহিলাকে একই ক্ষতি(?) বা বল প্রয়োগে দোষী অভিযুক্ত। আপনার কাছে আশ্চর্য লাগেনা?

 আরো আশ্চর্য লাগবে, যখন কোন ব্যক্তি খুন হয়ে যায়, সেই খুনের চেয়ে ধর্ষণকে বড় করে দেখা হয়। ধর্ষণে কারোর জীবনহানি হয়না, খুনে হয়।

এবার আপনি বিচার করুন, কোনটা অধিক ক্ষতিগ্রস্থ বিষয়, এবং কোনটার উপর মানুষের অধিক ভাবনা স্থাপন দরকার।  ইউনাইটেড নেশন ২০১৯ সালের রিপোর্টে  বলেছে, ১০০ জন নরহত্যার মধ্যে ৮১জন পুরুষ হত্যা হয়, ১৯জন নারী। আপনি কি কখনো এই ৮১জন পুরুষের জন্য ভেবেছেন? ভাবেননি। আপনি শুধু ভেবেছেন মহিলাদের ধর্ষণ নিয়ে ধরাবাঁধা ছকে (cultural stereotypes)। তাহলে আপনি সাহস পান কি করে পুরুষের বিচার করতে?

ভারতের ধর্ষণের তুলনায় অন্যান্য রাস্ট্রঃ


ধর্ষণ একটা সামাজিক অপরাধ। নিঃসন্দেহে। কিন্তু সব অপরাধের মতো এটা ভাবা দরকার, এর উৎস কোথায়, শেষ কোথায়? একটা ধর্ষণ ঘটল, আর পুলিস তাকে  ও তার সাথে সম্পর্কিত আরো কয়জনকে ধরে এনে কেস সাজিয়ে আদালতে তুলে দিল। বিচারক আইন অনুযায়ী জেল বা ফাঁসী দিল। এটাই কি সরকারের কাজ? একটা অসভ্য সমাজে এরকম বিচার চললে, বলা যায়, এরা অসভ্য তাই তাদের বিচার এমন। 

আপনি দেখেছেন, যারা রিহাররসাল দেয়, চর্চা করে, তারা সাধারণের চেয়ে ভাল কাজ সম্পাদিন করে। যেমন যারা পাঁঠা কাটে, গরুমোষ কাটে, তারা যত তারাতারি সুন্দর মাংস কাটে সাধারণ মানুষ তা পারেনা। বা যারা ডোম, মৃতের মর্গে মড়া নাড়াচারা করে, সাধারণ মানুষ, ভয় পেয়ে মারাই যাবে। মেনহোলে নর্দমায় যারা কাজ করে একজন আমলা ব্যক্তি যেভাবে সত্যমিথ্যাকে নাড়াচাড়া করেন, সাজান, তিনি নর্দমায় নেমে মারা যাবেন। বা পুলিশ যেভাবে সাধারণ নাগরিককে অত্যাচার করে, খুন করে, ধর্ষণ করে লকয়াপে নিয়ে গিয়ে, এগুলির জন্য চর্চা বা পরিবেশ, বা সময়, এসব দরকার।

ধর্ষণ হয় নারী পুরুষের মধ্যে। বা দুজন মানুষের মধ্যে।এই দুজন জানেন, ধর্ষণ বা যৌন সহবাস কি, (অধিকাংশ ক্ষেত্রে)। ইচ্ছা করলে পাত্র পাত্রীরা ধর্ষণ এড়াতে পারতেন। কিন্তু তাদের অহংকার বোধ ও গোয়ার্তুমি, জিদ বা প্রবল তাড়না অপরাধ ঘটাতে সাহায্য করে।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলির ধর্ষণের তুলনাঃ

ভারতের জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি। প্রতিদিন ৯০ টি গড়ে ধর্ষণের ঘটনা, ২০১৭ সালের সরকারি পরিসংখ্যন অনুযায়ী৩২ থেকে ৩৪ হাজার ঘটনা। তুলনায় অন্যান্য দেশেঃ প্রতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা ৬কোটী লোক প্রতি বছরে ৫০০,০০০ ধর্ষণ ঘটে, চীনে ১৪৫ কোটি লোক, বছরে ৩১,৮৩৩ ধর্ষণ ঘটে,মিশরে ১০ কোটি লোক বছরে ২০০,০০০ এরও বেশি ধর্ষণ হচ্ছে,  এবং যুক্তরাজ্য ৭ কোটি লোক, বছরে ৮৫,০০০ ধর্ষণ ঘটে। আমেরিকাতে এফ বি আই বলছে প্রায় ৯০ হাজার প্রতি বছরে ধর্ষণ ঘটে, লোকসংখ্যা ৩৪ কোটি। সূত্রঃ ঊইকিপিডিয়া

তবু সাম্প্রতিক, ভারত, যেখানে বেকারত্ব, অশিক্ষা, কুসংস্কার যেখানে মাথার আকাশ, সেখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় ধর্ষণ কম হলেও, নারীবাদী , দেশদ্রোহী, ও মিডিয়ার কল্যাণে ভারত ধর্ষণের রাস্ট্র বলে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। এটা খুবই অস্বস্তিকর। 

এই ভাবনা আমাকে ঠেলে দিয়েছে গবেষণা করে দেখার জন্যঃ কি কারণে পুরুষ ধর্ষণের মত অপরাধে আসে, বা কেন মহিলারা ধর্ষিত হয়। বিশ্বের তাবড় তাবড় পন্ডিতগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগ্ণ, মনোবিদগণ নানা বিষয় তুলে এনেছেন। মূলতঃ ইংরেজী ভাষায়, অনেক রিসার্চ পেপার ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। সেগুলি তদন্ত করার রসদও  যথেষ্ট।  একজন মানুষকে বিশাল তথ্যভান্ডার পাঠ করে, কয়েক বছর সময় জুড়ে সারমর্ম আনতে হবে।  তাহলে বোঝা যাবে, কোন কাজের উৎস ও সমাপ্তি।

আমি প্রথমে দেখে নিয়েছি ধর্ষণ বা যৌন চারণা জোর পূর্বক, নতুন কিছু নয়। মানুষ যত সভ্য হচ্ছে ( আসলে মানুষ যত অসভ্য হচ্ছে) তত তার আলাদা বিন্যাস ও নাম করণ বা শ্রেণিভেদ করণ করে আনছে। ধর্ষণের কথা পুরাকালেও ছিল। বিশ্বের সব সাহিত্যে এর উল্লেখ আছে।

ধর্ষণের কারণ সমূহ

 বাস্তবিক, শুধু পুরুষ ধর্ষণ করেনা, মহিলারাও ধর্ষণ করে এবং আদিম কাল থেকেই। দুজনের ধর্ষণের চরিত্র দুরকমের। বিজ্ঞান একটা শব্দ ব্যবহার করে, 'সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম' "Sexual dimorphism "


একই প্রজাতির মধ্যে দু রকম বৈশিষ্টযুক্ত- রঙ, আকার, আচরণ, চরিত্র, কর্ম, স্বভাব ইত্যাদি থাকে। যেমন নর নারীর মধ্যেকার সম্পূর্ণ আলাদা বৈশিষ্ট। সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোন যৌনতা নিয়ন্ত্রণ করে। সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম ছাড়াও পরিবেশ পরিস্থিতি হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।

The pituitary gland পিটুইটারি গ্রন্থি, যাঁকে কখনও কখনও মাস্টার গ্রন্থি বলা হয়, ফলস্বরূপ অন্যান্য অনেকগুলি endocrine glands অন্ত:স্র্রাবী গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। পিটুইটারি হরমোনের নিঃস্বরণের হার নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটা ফিডব্যাক লুপের feedback loop মাধ্যমে যেটা অন্যান্য অন্তঃস্রাবের হরমোনের রক্তের মাত্রা  পিটুইটারিকে সংকেত দেয় গতি বাড়াতে বা কমাতে। এইভাবে পিটুইটারি হরমোনের নিয়ন্ত্রক।

Schematic representation of possible and known reciprocal interactions among hypothalamic, pituitary, thyroid, adrenal and gonadal hormones. 

পরিবেশের পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়াতে মস্তিষ্ক তার রসায়ন এবং কাঠামোর পরিবর্তনে সক্রিয় হয়ে উঠে।এবং সঞ্চালন করতে থাকে এড্রিনালস, থাইরয়েড এবং অন্ডাশয় ও ডিম্বাশয় এর হরমোনগুলি (hormones of the adrenals, thyroid and gonads)এই অভিযোজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেহেতু মস্তিষ্ক পিটুইটারি গ্রন্থি এর মাধ্যমে endocrine system অন্ত:স্র্রাবী পন্থা নিয়ন্ত্রণ করে। 

সূত্রঃ  National Center for Biotechnology Information

এর দ্বারা বোঝা যায়, যে কোন ব্যক্তি পরিবেশ ও পরিস্থিতির দ্বারা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। দেখবেন আপনি যখন খবর দেখেন টিভিতে, তখন টিভির খবর আপনাকে প্রভাবিত করে। কোথাও অন্যান অবিচার বা দাংগা দেখলে আপনার রক্ত গরম হয়ে উঠে। আবার সুন্দর কিছু দেখলে মন কত প্রশান্ত হয়, আপনি শান্তি পান।  ঠিক এরকম, আপনি যা দেখবেন, শুনবেন, বা যে পরিবেশের মধ্যে থাকবেন, আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে সেইভাবে পরিচালিত করবে। প্রভাবিত করবে।

আমরা দেখতে চাইছি, ধর্ষণ ঘটানোর পিছনে মস্তিষ্ক কিসে প্রভাবিত হয়। নারী বা পুরুষের। ধর্ষণ ঘটলে মহিলারাই সোরগোল তুলে। ধর্ষককে দ্ষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে প্রতিশোধ নিতে চায়। বা আর যাতে কেউ ধর্ষণ না করে তার জন্য একটা দমন ভয় সামনে রাখতে চায়। ধর্ষিতা মহিলাকে দেখায় ধোয়া তুলসীপাতা, অর্থাৎ তার কোন দোষ নেই। 

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। পৃথিবীর মধ্যে হাজার রকমের সমাজ বা সম্প্রদায় আছে। গোষ্ঠি আছে। যুদ্ধ , দাংগা বা উৎসবে তাদের প্রকাশ পায়। যখন গণেশ পূজা হয়, বা দূর্গা পূজা হয়, কিংবা মহরম, খ্রীষ্টমাস - তখন নানা ধর্মীয় গোষ্ঠি দেখা যায়। গাত্রবর্ণ দিয়েও গোষ্ঠি হয়, যেমন আফ্রিকা বনাম আমেরিকা। সম্প্রতি 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' দেখেছেন। নারী পুরুষের লিংগেও শ্রেণি বিভাজন হয়। এই সম্প্রদায়, গোষ্ঠির কাজ অন্যসম্প্রদায়কে ভালমন্দ কাজে প্রভাবিত করে।

বিশ্বে এখন অনন্য বিতর্ক চলছে নরনারীর মধ্যে, কে ক্ষমতাশালী। মহিলারা ছলেবলে কৌশলে বলতে চাইছে তারা পুরুষের চেয়ে ক্ষমতাশালী ও সব কিছু করতে পারে। তারা মিথ্যাকে বার বার প্রচার করে ইতিমধ্যে অনেকটা সাফল্য নিয়ে এনেছে। সারা পৃথিবী চুপিসারে নারীর কথা শুনে চলে- অর্থাৎ নারীবাদীদের প্রচারে প্রভাবিত হয়ে গেছে।

একটা পুরুষ পরিবারের সকলের ভরণপোষণ করতে গিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকছে। ইতিমধ্যে প্রচুর সময় অবসর হিসাবে পায়, মহিলারা, ও কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা। এরা ঘরের পুরুষের উপার্জনের পয়সায় মজা করে। দুষ্ট বা অনিষ্ট সাধনে ব্যস্ত রাখে।

দেশের মধ্যে বেশি হল্লাবাজি, কারা করে? কলজের ছাত্র ছাত্রীরা আর বড়লোকের গৃহবধূরা। বড়লোকের গৃহবধূদের কোন কাজ নেই। স্বামীর পয়সায়, ফুটানি করে, নিজেদের নানান কাজে সমাজ সেবি নামে প্রচার করে। নিজেকে ক্ষমতাশালী হিসাবে তুলে ধরে। এইভাবেই নারীবাদীদের রমরমা।গায়ে গতরে পরিশ্রম করে কেউ আসেনা।

 কর্মজীবি পুরুষ যারা প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করে তারা নিজেদের চাকরি বাঁচাতেই কালঘাম ছুটে যায়। ফলে 'পুরুষবাদ' বলে নারীবাদের সমান্তরাল কিছু নেই।

নারীবাদী দের চরিত্র হল, মিথ্যা, ছল-বল-কৌশল, নিজেদের ভিক্টিম (victim) সাজিয়ে, নানা অভিযোগ /ষড়যন্ত্র পুরুষের বিরুদ্ধে করে এগুনো। একটা কথা সবসময় প্রয়োগ করে, তারা বৈষম্যের শিকার। বা পিতৃতান্ত্রিক সমাজ তাদের প্রতিবন্ধক নয়ত তারা আরো স্বাধীন ও কর্মঠ হত।  সেদিন এসেছে, নারীবাদীদের মুখোশ খুলে পরিবার রক্ষা করা। পুরুষদের নারী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করা।

মহিলারা মানুষের গর্ভেই জন্ম, মানুষ। পুরুষের সমান না হলেও পুরুষের কাজের ৭৫ শতাংশ করে ফেলতে পারে। বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে দেখা গেছে, তারা ধর্ষণ থেকে আরম্ভ করে হেন অসৎ কাজ নেই করতে পারেনা। এবং সমস্ত কাজেই তারা তাদের দেহকে (যোনি ও স্তনকে) পূঁজি বানিয়ে করে।ভারতে তথা বিশ্বে বহু কুখ্যাত মহিলার নাম আছে। সুতরাং মহিলা নিরীহ ও নিরপরাধ, এই মিথ শুধু কল্পনা।

ভারতে নারীবাদের ইতিহাসকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যেতে পারে: প্রথম পর্ব, ১৯ শতকের মধ্যভাগে শুরু হয়েছিল, যখন সংস্কারবাদীরা শিক্ষায় সংস্কার করে নারী অধিকারের পক্ষে কথা বলতে শুরু করেছিলেন, মহিলাদের জড়িত রীতিনীতি। ১৯১৫ সাল থেকে ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব যখন গান্ধী ভারত ছাড়ো (Quit India) আন্দোলনে নারীদের আন্দোলনকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং স্বাধীন মহিলা সংগঠনগুলির উত্থান শুরু হয়েছিল। এবং শেষ অবধি তৃতীয় পর্ব স্বাধীনতা পরবর্তী কালে, যা ছিল  মহিলাদের বিবাহের পরে বাড়িতে সুন্দর স্বাচ্ছন্দের পরিষেবা, কর্মস্থানে এবং রাজনৈতিক অধিকারের অধিকারে সম মর্যাদার।

তৃতীয় পর্ব থেকেই মহিলারা সমাজের ভাংগনে নেবেছেন। যতদিন ইন্টারনেট জনজীবনে প্রবেশ করেনি, সেই সময়টা আজকের সময় থেকে ভিন্ন ছিল।

 পশ্চিমে নারীবাদ আরো ভিন্ন প্রকৃতির।

পরবর্তী অধ্যায় পড়ুন











Saturday, November 7, 2020

সহবাসের নাম ধর্ষণঃ আশ্চর্য দুমুখো শব্দ (১)

 আত্মজ উপাধ্যায়

 মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র (ইউডিএইচআর)Universal Declaration of Human Rights (UDHR) (অনুচ্ছেদ ২৩(Article 23.)) এ উল্লেখ করেছে যে

(1) প্রত্যেকেরই কাজ করার অধিকার রয়েছে, নিখরচায় কর্মসংস্থান বেছে নেওয়া, কাজের ন্যায়সঙ্গত ও অনুকূল অবস্থা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।
(২) প্রত্যেককে, কোনও বৈষম্য ছাড়াই সমান কাজের জন্য সমান বেতনের অধিকার রয়েছে।
(৩) যে কেউ কাজ করে তার নিজের এবং তার পরিবারের জন্য মানব মর্যাদার অধিকারী একটি অস্তিত্ব নিশ্চিত করার এবং প্রয়োজনে, সামাজিক সুরক্ষার অন্যান্য উপায়ে পরিপূরক, অধিকার এবং অনুকূল পারিশ্রমিকের অধিকার রয়েছে।
(৪) প্রত্যেকেরই তার স্বার্থরক্ষার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের এবং যোগদানের অধিকার রয়েছে।
এই অধিকারের ফলে বিশ্বের যে কোন ব্যক্তি টাকা রোজগার হয় ও রাস্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামোতে যোগান দিতে পারা সমস্ত ধরণের কাজ করতে পারে।




 এবং২১শে জুন ২০১৯ সালে, জিনিভায় এক সম্মেলনে International Labour Organization (ILO) আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ঘোষণা করে"সহিংসতা ও হয়রানির শিকার থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে ও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখবে", আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন হল , রাষ্ট্রপুঞ্জ ( the United Nations) এর একটা শাখা যারা শ্রম সংক্রান্ত মানবাধিকার রক্ষণাবেক্ষণ করে

যৌন কর্মকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ২০১০ সালের আগেই স্বীকৃতি দিয়েছিল, শুধু স্বীকৃতি নয় তাদের সুরক্ষার সকল দাবি নিশ্চিত করেছিল। তাদের কাজের সাথে যেসব দালাল আছে, রোগশোক স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি নজরদারি করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাস্ট্রকে দায়িত্ব দিয়েছে। ভারত রাস্ট্রপুঞ্জের সকল আদেশ মেনে চলবে বলে শপথ নিয়েছে বহুকাল আগেই।



 (ভারত জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২৬ শে জুন, ১৯৪৫ সালে,আরো ৫০ টি দেশের মধ্যে জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষরকারী ভারত ছিল। ১৯৪৫সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের পরে ভারত জাতিসংঘে যোগ দেয়।)

 ফলে ভারত  যৌনকর্মীদের সাথে সুরক্ষার বদলে বদমায়েসী করছে । ভারতের সাংসদরা চোর ডাকাত গুন্ডা। জুলুমবাজ। তার প্রত্যেকনেতা, ৯০ শতাংশ ভারতের সংবিধান মান্য করেনা। সুতরাং এখানে সুবিচার পাওয়া অনিশ্চিত। এখানে সুপ্রীম কোর্টের রায় পালটে পালটে যায়। কোন একটি অপরাধের বিচার বহুরকমের আইনে দেখা হয় নিরপেক্ষা বিচার আশা করা যায়না।







৭৮০ কোটির পৃথিবীতে শুধু বেশ্যালয় বলে নির্দিষ্ট এলাকায় প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি মহিলা বেশ্যাবৃত্তি করে খায়। মানে দেখা যায়, প্রতি ৬৫জন মহিলার মধ্যে ১জন মহিলা বেশ্যা বৃত্তিকে পছন্দ করে নিয়েছে।

একটা মিথ আছে, পুরাণো গল্প। যে মেয়েদের জোর করে বেশ্যালয়ে বিক্রী করে দেয়, তারা সারাজীবন ক্রীতদাসের মত কষ্টে দিন কাটায়।  গল্পটা আংশিক সত্য।এবং একসময়ে ছিল। এই ২০২০ সালে এই সত্য ঘটছে বিশ্বাস করা যাবেনা।
বেশ্যালয়ে জীবিকা করতে আসেঃ
১ঃ প্রথমজীবনে, প্রেম বিয়েতে ঠকে, কোন অপরিচিত পুরুষের মিষ্টি কথায় ভুলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া কিশোরি বা মহিলারা
২ঃ সাংসারিক অভাব অনটনে, দ্রুত আর্থিক সমস্যা সমাধানে পথ হিসাবে।
৩ঃ স্বাধীনতার স্বাদ কুড়াতে আসা মেয়েরা
 এই তিনটে শ্রেণি সাধারনতঃ আর্থিক অস্বচ্ছল পরিবারের নিম বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের।
তাদের সুরক্ষা আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন বা International Labour Organization (ILO)
http://www.ilo.org/wcmsp5/groups/public/@ed_protect/@protrav/@ilo_aids/documents/genericdocument/wcms_185717.pdf

এই বেশ্যারা ও তাদের এজেন্ট বা দালালরা রাজপথ থেকে খদ্দের ধরে আনে। অধিকাংশই শ্রমজীবি মানুষ। ট্যাক্সী, বাস, লরীর ড্রাইভা্‌ লেদ কোম্পানীর শ্রমিক, মুটে মজুর, যাদের বাড়ি ও মহিলাসমস্যা আছে।


ভারতে বেশ্যাদের প্রথম শত্রু পুলিস। পুলিশ সপ্তাহে বা মাসোহারা না পেলেই বেশ্যাদের তুলে নিয়ে যায়। ২য় শত্রু গুন্ডা বদমায়েসরা। তারা পয়সা না দিয়ে সেক্স করে পালিয়ে যায়। ফলে বেশ্যারা অনেক বেসরকারির সংগঠনের মাধ্যমে বেশ্যা বৃত্তিকে বৈধ করতে চান।















ছবিগুলি বেশ্যা সংক্রান্ত দেশ বিদেশের মিডিয়া ইন্টারনেট থেকে নেওয়া। ছবিগুলি থেকে আপনার এই ধারণা জন্মাবে, যে মহিলাদের একটা জীবিকা যৌনকর্ম। যৌনকর্ম মোটেই কোনরকম শোষণ নয়। শ্রমিক হিসাবে, আপনার হাত পা মাথা পিঠ প্রভৃতি অংগ ব্যবহার বা শোষণ করতেই হয়। বেশ্যারা তাদের যোনি খাটিয়ে রোজগার করে। তারা যখন কোন অভিযোগ করেনা তখন আপনার মাথাব্যাথা বা সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ নেই।
 আর যৌন সংসর্গ বা পুরুষের যৌনসংগমের পরিষেবা দিয়ে বিশাল অংকের মহিলারা জীবিকা করেছে। সুতরাং আপনি কি করে বলেন পুরুষ ধর্ষক? বা পুরুষের ধর্ষণে ক্ষতিকারক দিক আছে।
 এতো গেল বেশ্যাদের কথা।

যৌনপরিষেবা আরো অনেকে দেয় 

১ঃ হাইরোডে, দীর্ঘ লম্বা রাজপথে, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে উপজাতি শ্রেণির, কিছু মেয়ে, অল্প বয়েসী, তাদের সাথে যদিও বয়স্ক মহিলা কখনো পাহাড়াদার হিসাবে থাকে। তারা রাস্তার পাশে ধাবা জাতীয় হোটেলের কাছে, বা গ্যারেজের কাছে, লরী বিশ্রাম দেখলেই তাতে উঠে পড়ে। ড্রাইভারদের কেবিনে উঠে গান শোনায়। ড্রাইভার সেইসব মেয়েদের আদর করে, সারা অংগে আংগুল বুলায়। সেক্স করতে চাইলে, যদিও মেয়েরা দেয়না কিন্তু অনেক টাকার লোভ দেখালে যৌনকর্ম করে। পৃথিবীর সমস্ত মালবাহী লরীর পথে এগুলি থাকে।

২ঃ সাংসারিক অভাব অনটনে, অনেক যুবতী বৌ, টাকার জন্য পাড়ার কোন দেবরের সাথে লুকিয়ে যৌনকর্ম করে। নিশ্চিত হয়ে নেয় টাকা। এগুলি প্রত্যেক জায়গায় আছে।

৩ঃ সুগার ড্যাডি। অনেক যুবতী কিশোরি, জেঠু কাকুর সাথে গোপন সম্পর্ক তৈরি করে, উদ্দেশ্য, সে বিখ্যাত হতে চায়, পড়ার খরচ চালাতে চায়, বড়লোকি ভাব পোশাকে আশাকে আরামে প্রকাশ করতে চায়।
 নীচে একটা কবিতার শেষ অংশ পড়লে বুঝবেন, বর্তমান সময় কেমন

 একটি অসম পরকীয়া – মন্দাক্রান্তা সেন

......কাল যাব তোমার অফিসে
ঠিক ঠিক চারটে পঁচিশে
তারপর ভুল দিগ্বিদিক …

শহিদমিনারে উঠে গিয়ে
বলে দেব আকাশ ফাটিয়ে
ইন্দ্রকাকু আমার প্রেমিক।
 
৪ঃ হোটেলে রেস্তোঁরায়, বা পাড়াগায়ে কিছু মহিলা নাচ দেখাবার ছলে নিজেকে আস্তে আস্তে বিবস্ত্র করে মঞ্চে। এদের স্ট্রিপার বা পোল ড্যান্সার বলে। তারা রাতের মঞ্চ থেকে বিত্তশালী খদ্দের পেয়ে যায়। অনেকে শরীর দেয়না, নাচটুকুই করে। আর আমাদের পাড়া গায়ে যাত্রাপালার শেষে, একদল অল্পবয়েসী মহিলা আধা ন্যাংটো হয়ে দর্শককে যৌনকামুক করে তোলে । শেষে দেখা যায়, দর্শকেরা মঞ্চে উঠে সেই নাচনীদের ব্লাউজ টালছে, গোপন জায়গায় হাত দিচ্ছে। এক ভয়ঙ্কর কান্ড বেধে ফেলে।

৫ঃ সিনেমার অভিনেত্রী বা বিজ্ঞাপনের মডেল হবার উচ্চাশায় বহু কিশোরি, যুবতী দেহ দেয় পরিচালককে , ফটোগ্রাফারদের, আবার  নিজের স্টাটাস উচ্চবিত্তের মত বজায় রাখতে লুকিয়ে বেশ্যা বৃত্তি করে, বা এসকর্ট সার্ভিসে নাম লেখায় তারা প্রতি রাতে বা যখন একটা পরিষেবা দেয় তার জন্য ২০ হাজার থেকে লাখ অবদি রোজগার করে। এই মহিলা সংখাটা বিশাল। এছাড়া আছে কলগার্ল। ম্যাসাজ পার্লার। ফিজিও থেরাপী। সবচেয়ে যোনি বিক্রী করে আয় করে উঠতি সিনেমার অভিনেত্রীরা ও মডেলরা।
ইউটিউবে প্রচুর এর প্রমাণ আছে।যেমন  একটা লিংক https://youtu.be/sod8J_n049E



আমি এসব বলছি একটাই উদ্দেশ্যে। ধর্ষণ টা কি? ধর্ষণে কোন পুরুষ তার যৌনাংগ কোন মহিলার যোনিতে প্রবেশ করায়। কেউ অত্যন্ত ভালবাসা থেকে করে, কেউ প্রত্যাখ্যান হয়ে জোর করে করে, কেউ সংযম রাখতে পারেনা, বা নারী অংগ তার চোখে পড়ে মাথা ঘুরে গেছে। এর বাইরে কারুরই অন্য অভিপ্রায় থাকেনা। তো তার জন্য ধর্ষণ নিয়ে সারা পৃথিবী তোলপার করার কতটুকু যৌক্তিকতা আছে?

উপরে বেশ্যারা আধা বেশ্যারা পয়সার জন্য করে, জীবিকার জন্য করে, এবং যৌন সংগম একটা তুচ্ছ কাজ, ভেবে তারা পুরুষ টিকে ভালবাসায় ভরে দেয়।

 আপনি দেখেছেন মেয়েরাও তাদের যোনিতে পুরুষাঙ্গ ভরার জন্য পাগল হয়?
কিন্তু তাদের আচরণ বা প্রক্রিয়া ছেলেদের মতো নয়।

মহিলারা যৌন সংগম করে মড়ার মত চিৎ হয়ে শুয়ে। তারা আক্রমণাত্মক খেলা খেলেনা। স্বামীকে সব সময় উপরে তুলে ধর্ষণ করতে বলে। তারা নেতিবাচক  হয়ে উপভোগ করে।

বহু রাস্ট্র, তাদের আইনের বইয়ে লিখে রেখেছে, ধর্ষণ শুধু পুরুষেরাই করে মেয়েদের যোনি ভেদ করে। এবার মুশকিল হয়েছে মহিলা যদি কোন পুরুষকে ভয় দেখিয়ে তার সাথে সংগম করতে বাধ্য করে, তার ফল কি হবে?

অনেক মহিলা পুরুষকে ব্ল্যাক মেইল করে, ভয় দেখিয়ে, প্রলুব্ধ করে বাধ্য করে মহিলার সাথে সংগম করতে।তাদের যৌন পরিষেবা দিতে।


একটা মিথঃ পুরুষ সবসময় যৌনকর্মের জন্য প্রস্তুত থাকে।

এই মিথ বা প্রাচীন ধারণা ঠিক নয়।
পুরুষ তার যতই মনে হোক সে একটা মহিলার সাথে সেক্স করতে চায়, সে কিন্তু যার তার সাথে সেক্স করতে নারাজ। অন্তত, মহিলাকে দেখে  তার সেক্স করার বাসনা জাগতে হবে। তার মনে বাসা বেধে থাকে একটা সুন্দরী যৌনবতী অল্পবয়েসী মহিলার কথা। ফলে মহিলা মাত্রেই সে তার সাথে যৌন কর্ম করেনা। তাহলে তো ৪০ এর উপর বয়েসি বেশ্যারাও খদ্দের পেত। 
মোটামুটি চেহারা বাজে হলেও যুবতীকে বা বাজে শরীরের গঠন হলেও সুন্দরী মুখের যুবতীকে পুরুষ একদন্ডের সেক্সের জন্য নির্বাচন করতে পারে।
আমাদের সমাজে, ছোট থেকেই, পরাম্পরার একটা কথা আছে, কোন নারী তার কাছে যৌন কামনা করলে তাকে যৌন সংগমে সন্তোষ্ট করা পুরুষের কর্তব্য। সে রমণী সুন্দরী হোক বা না হোক। পুরুষ যদি সেই রমণীকে ফিরিয়ে দেয় তাহলে সে ক্লীব বলে পরিচিত হবে। সম্ভবত এই বার্তাটি সারা বিশ্বের পুরুষদের মধ্য ছড়িয়ে আছে। কোন মহিলাকে ফিরিয়ে দেওয়া মানে নপুংসকতা বা পুরুষত্বহীনতা প্রমাণ দেওয়া।

 ফলে কিছু মহিলার মনে হতে পারে কোন পুরুষকে দিয়ে সে জোর করে সেক্স করতে পারে, এবং তা গ্রহণযোগ্য।এবং পুরুষরা এর জন্য তাদের ধন্যবাদ দেবে। পুরুষরাও এটা মনে করতে পারে, তাকে জোর করে সেক্স করালে মনে কিছু করার নেই কারণ সে একজন পুরুষ। বীর্যবান।

 এখানে একটা কথা পরস্পর বিরোধী হয়ে যাচ্ছে
 (men who are victimized by rape or sexual assault contradict hegemonic definitions of male sexuality that require men to be sexually potent, dominant, and in control) চিরাচরিত ধারণা যা ছিল, যে, পুরুষ শক্তিশালী, আধিপত্যবাদী ও সব কিছুর নিয়ন্ত্রক, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মহিলারা পুরুষের সাথে জোর করে না পারলেও আবেগ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, বা অন্য কোন উপায়ে, পুরুষকে মহিলার ক্ষমতার অধীনে আনতে পারে। এবং মহিলার পুরুষাংগ না থাকলেও পুরুষের পুরুষাংগকে যোনিতে প্রবেশ করাতে পারে।


অনেক মহিলা ৩০ এর নীচে বয়েস যাদের তারা অবিবাহিত থাকা কালীন অল্পবয়েসী ছেলেদের দিয়ে সেক্স করে সুখ অর্জন করে। 
এখানে মজা হল পুরুষকে কোন মহিলা একা ধর্ষণ করলে, সে এটাকে একটা সুযোগ ভাবে। সুখী ভাবে। যতক্ষণ না কোন মহিলা দল বেঁধে রেপ করছে। বা সে নিজেকে অসম্মানিত/ ঘৃণিত ভাবছে। (পুরুষের চোখ ও মন স্থির করে কোন মহিলার সাথে সে সহবাস করলে আনন্দিত হবে। যেকোন মহিলার সাথে সংগম ইচ্ছা জাগেনা)

 ঠিক, একই কাজ কোন পুরুষ করলে কোন কিশোরীর সাথে, যুবতীর সাথে, সে রাস্ট্র করে দেবে। সে এটাকে আক্রমণ ভাববে। বা কোন বিনিময়ে গিফট বা উপহার খুঁজবে।না পেলে সে প্রতিশোধ নেবার জন্য জানাজানি করে শাস্তি দেবে। অনেক সময় করেনা যদি তার কাছে এটা সুযোগ মনে হয়।

 দেখা যাচ্ছে একই কাজের দুই রকম ফল। তাহলে বিচার কি করা যাবে?

মহিলাদের ৫০ পেরিয়ে গেলে তাদের সেক্স করার বাসনা হারিয়ে ফেলে। তাদের মাসিক স্রাব বন্ধ হয়ে যায়। একবার স্রাব বন্ধ হলে সে আস্তে আস্তে নিজেকে যৌন সম্পর্শ থেকে , তার স্বামীর কাছ থেকে সরে আসবে। স্বামী সংগম চাইলে সে অশান্তি ও অপমান করবে। এই সময়টা পুরুষের পক্ষে ব্রম্মচারী হয়ে থাকা কষ্টের। মহিলার জন্য সে নিজের ইচ্ছাকে বন্দী কেন করবে? তত দিনে তার সন্তানেরা বড় হয়ে যায়। সমাজ তার ইচ্ছাকে নিন্দনীয় গণ্য করবে।
দেখা যাচ্ছে সমাজ তখন নারীর পক্ষে বা নারীবাদী হয়ে যাচ্ছে। পুরুষের তখন মৃত্যু অবধি যৌন ইচ্ছাকে দমিয়ে, বা স্নাঙ্ঘরে গিয়ে হস্তমৈথুন করে দিন কাটাতে হচ্ছে।
 
বিবাহিত মহিলারা আমাদের সমাজেপুরুষ নিগ্রহ করে নানা রকমে। খোলাখুলি অশ্রাব্য গালাগালি তো করেই। কখনো হাতাহাতি বা ঝাঁটা, খুন্তি নিয়ে আক্রমণ করে। তার মনের মতন না হলে, বা তার চাহিদার জিনিস না পেলে, তার উক্তি " টাকা রোজগার না করতে পারলে আমাকে বিয়ে করলি কেন? শুধু লাগাবার জন্য?"
 রাতে ঘুমাতে গেলে সে পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে। তার সাথে তার স্বামীর যৌনসংগম হবেনা।। এভাবে চলবে দিনে পর দিন। পুরুষ তখন অন্য মহিলার খোঁজ করলে তখন হবে অশান্তি।

তো আমার শুরুতে যে কথা বলছিলাম। সহবাসের নাম ধর্ষণ। ধর্ষণ আশচর্য দুমুখো শব্দ।
বিবাহিত বৌ, যখন সে মর্জিমতো গ্রহন করে, তখন মধুচন্দ্রিমা, আর তার মর্জির উপর সে বলতে পারে, তার স্বামী তাকে ধর্ষণ করেছে।
তাহলে বুঝতে হবে, মহিলার মর্জি হল ধর্ষণ বা সহবাসের বিচারক। এই ব্যবস্থা একপেশে নারীর পক্ষে। অথচ পুরুষ তাকে বিয়ে করে আনে, তার যোনির উপর একচ্ছত্র অধিকার পাবার জন্য। তাকে খাওয়া পরা আশ্রয়, সখমেটানো ইত্যাদি তার ক্ষমতায় সবচেয়ে ভাল দেবে বলে।
দেখা যাচ্ছে। মহিলা বিয়ের চুক্তি মানছেনা। আইনত তাহলে কি করা যাবে?
এরকম অবস্থা থেকে পুরুষ চায় নারীকে ডিভোর্স দেওয়া। যে স্ত্রী তার স্বামীকে যৌনসংগম থেকে বঞ্চিত করে নানা অছিলায়, বা স্বামীর ইচ্ছার বিপরীতে সে অন্য কোথাও একদিন দুদিনের বেশি গিয়ে থাকে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার আবেদন আদালতকে গ্রাহ্য করতে হবে। কোন বিয়ে একবার ফাটল ধরলে সেখানে সুখ হয়না। এসব দেখার জন্য পুরুষ কমিশন চাই।
এই পৃথিবী পুরুষের কাঁধে বসে আছে। পুরুষ ক্লান্ত হয়ে গেলে, তার সবচেয়ে বিশ্রাম ও ক্লান্তি নাশক হল নারীর যোনি। আর এই যোনি যদি সে বৈধভাবে উপায় করে প্রতারিত হয়, তা হলে তার প্রতি সমাজ চরম অবিচার করবে।







সুত্রঃ

১।https://www.un.org/en/universal-declaration-human-rights/

২।http://www.ilo.org/wcmsp5/groups/public/@ed_protect/@protrav/@ilo_aids/documents/genericdocument/wcms_185717.pdf

৩। https://www.nswp.org/sites/nswp.org/files/policy_brief_sex_work_as_work_nswp_-_2017.pdf

৪। https://timesofindia.indiatimes.com/entertainment/tamil/movies/photo-features/tamil-actresses-involved-in-sex-scandals/photostory/42261755.cms

৫। https://www.spokesman.com/stories/1997/jan/23/man-tortured-for-weeks-by-two-women-girlfriend/












Thursday, October 1, 2020

নারীবাদীদের অতিরঞ্জিত শব্দ ধর্ষণঃ ইতিহাসের অপ্রত্যাশিত দ্বন্দ্ব

 নারীবাদীদের অতিরঞ্জিত শব্দ ধর্ষণঃ ইতিহাসের অপ্রত্যাশিত দ্বন্দ্ব

আত্মজ উপাধ্যায় (২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০)

উপরের ছবিটা একটা ওয়াটার পার্কের, ডেইলিমেল খবর মাধ্যম থেকে নেওয়া হয়েছে। 

এখানে দেখতে পাচ্ছেন, একটা বিশাল ডলফিন, একটি মেয়ের উপর ধর্ষণের জন্য চড়াও হয়েছে। প্রথমে মেয়েটি ভয় পেয়ে গেছিল, পরে হাসতে শুরু করেছে। ডলফিন মানুষের সাথে যৌনসংগম করতে পারে। এখানে ফ্যাক্ট হিসাবে ভুল নেই। 

১৯৬০ সালে নাসা একজন তরুণীর সাথে একটি ডলফিনের ইংলিশ ভাষা শেখাবার একটা প্রোগ্রাম করেছিল (NASA funded experiment in the 1960s) তরুণীর নাম Margaret Howe Lovatt, মহিলা তখন অল্প বয়সের। ডলফিনটি তার প্রেমে পড়ে যায়, ও তারা যৌনসংগম করে।

আরেকটি ঘটনা একটি মেয়ে ডলফিন, নাম ডলি, সে একজন পুরুষকে তার প্রতি আসক্ত করে পুরুষটির নাম Malcolm Brenner। তাদের প্রেম অনেকদিন টিঁকেছিল।

সুতরাং ওয়াটার পার্কে কোন ডলফিন কোন মহিলা দেখে ধর্ষণে উদ্যত হবেনা, এমন ভাবা যাবেনা। কারণ এরকম ডলফিনের রমণ ইচ্ছা মহিলাদের সাথে ইন্টারনেটে অনেক তথ্য আছে।

এবার ভাবুন কোন মহিলাকে এরকম ওয়াটার পার্কে ডলফিনের বদলে কোন যুবক বা পুরুষ যদি এরকম আচরণ মেয়েটির উপর করত তাহলে কি হত?

মেয়েটির থেকে অতি উৎসাহী/আগ্রহী ধারে কাছে থাকা লোকজনেরা বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠত। তারা তখন মজা করতনা। লাঠি সোটা চড় ঘুষি সহ অনবরত মার, প্রহার যুবকটির উপর পড়ত। হয়ত যুবকটি মারা যেত, না মারা গেলে তাকে জেলে নেওয়া হত। তাকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে রাজনীতি চলত। সকল পুরুষ জাতিকে দানব, শয়তান অভিহিত করা হত।

ধর্ষণ শব্দটা কি? কত ঠুনকো ভন্ড শব্দ?

একজন লোক তার বিবাহিত বৌয়ের সাথে সংগম করল, যোনিভেদ করা লোকটার লিংগকে স্বর্গ মনে করেছিল বৌটা, পরের দিন একই আচরণ কে বৌটা বলল, ধর্ষণ। এবং তা প্রকাশ করতেই, মহিলা থেকে মিডিয়া, মহিলা কমিশন আন্দোলনে নামল।বৈবাহিক ধর্ষণ বলে চ্যাঁচাতে লাগল।



 তাহলে ধর্ষণটা কি মহিলার ইচ্ছা ও খেয়াল খুশি? তাদের একচেটিয়া কথা ও আইন?

একজন মহিলাকে আমি খাওয়াব পরাব, তার সকল দায়িত্ব আমার মাথার উপর চাপাব, এবং সে আমার সাথে যৌনসংগম করবে, এই চুক্তি প্রতিশ্রুতি দেখেই আমি বিয়ে করেছি। এর খেলাপ হলে আমি স্ত্রী রাখবোনা। আমারও মানবাধিকার আছে, তাকে অস্বীকার করে কোন আইন আমাকে বাধ্য করতে পারেনা বা স্ত্রীর অধিকার আমার উপর ফলাতে পারেনা। 

টাকা উপায় যে করে, সে-ই ঘরের, সংসারের মাস্টার বা মাথা। তার কথা না শুনে চললে সে তার স্ত্রীকে কেন খাওয়াবে পরাবে? একজন সাধারণ মানুষ দান-ছত্র খুলে বসেনি যে, একজন মহিলাকে সে খাওয়াবে পরাবে এমনি এমনি! তার চেয়ে বরং আমি একজন কাজের লোক রেখে দেব মাইনে দিয়ে আর বেশ্যা বাড়িতে গিয়ে বা যে আমার সাথে যৌন সংগম করবে সেই মহিলার সাথে আমার যৌন ইচ্ছা মেটাব। বিয়ে করার কি দরকার?

পুরুষের যৌন সংগমের ইচ্ছা প্রবল। এটা তার জৈবিক দিক। একজন ব্যক্তির জৈবিক দিক তার অখন্ড মানবাধিকার। একে কেউ খন্ডন করতে পারেনা। পারা উচিত নয়। সমাজ বা সরকার যতদিন তার এই বিষয় নিয়ে সমাধান আনছে ততদিন সমাজে বৈধ অবৈধ যৌন আগ্রাসন থাকবেই। পুরুষকে বলি করে মহিলার সুরক্ষা অনৈতিক ও অমানবিক।

এই প্রসংগে, সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি বিচারক মার্কন্ডেয় কাটজু বলেছেন, (former Supreme Court Judge and former Chairman of Press Council of India, Justice Markandey Katju has released a statement in which he has blamed unemployment for the rise of rape cases.'sex is a natural urge in men' and when men don't receive sex from marriage, because no one wants to marry unemployed men, there is 'bound to be an increase in rape') যৌনতা পুরুষের প্রাকৃতিক আকুতি, চাহিদা। সামাজিক নিয়মে বিয়ে থেকে সে আশা করে।


  

প্রকৃত পক্ষে, মহিলারা তাদের যোনিকে অস্ত্র বানিয়ে সমাজ ও রাস্ট্র শাসন করতে চাইছে। 'যৌনসংগম', বিশেষ করে আমি এই শব্দটাই বলতে চাইছি, নারীর যোনিতে পুরুষের লিংগ প্রবেশ করে পুরুষ বা নারীর যে আনন্দ হয়। বিশেষ করে পুরুষের, তা কোন ক্ষতিকারক নয়। বংশ বৃদ্ধির একমাত্র প্রজনন ক্ষেত্র, লক্ষ লক্ষ বছরের অভ্যাস। বিবর্তনের ইতিহাস। যৌন সংগম করে লোকের মৃত্যু হয়েছে আমি শুনিনি। বা মহিলারা যৌন সংগম কামনা করেনা এটা শুধু একচেটিয়া পুরুষের, এমন কিছুও নয়। মহিলারা যৌন সংগমের জন্য অনেক অভিসার থেকে অপরাধ অবধি করে। বা ধর্ষণ মহিলারাও করেশিশু কিশোরদের সাথে বহু মহিলা যৌন কর্ম করে। এগুলি তো ঘটনা। ফলে এটাকে নিয়ে আলাদা করে দেখার জায়গা নেই। সুতরাং নারীরা যদি মনে করে তাদের যোনির বিনিময়ে তাদের আশা আকাঙ্খা পুরাবে, তা হলে ভুল করবে, আর যদি মনে করে যোনি বিনিময় না করে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা মেটাবে তা হলেও ভুল করবে। পুরুষের অধীন ছাড়া নারীর কোন গতি নেই। নারী জড় পদার্থবৎ অনেক ক্ষেত্রেই। 

 এখানে কোন প্রকার "যৌন শোষণ" sex exploitation  বা slavery/ দাসী শব্দের প্রয়োগ হতে পারেনা। আপনি যদি বিশ্বের মানুষে মানুষের সম্পর্ক, বা যোগাযোগের কারণ গুলি বিশ্লেষণ করেন দেখবেন আমরা সবাই কোননা কোনভাবে শোষিত হচ্ছি। নারী পুরুষ, নীচুতলা উপরিতলা। কোননা কোনভাবে দাসত্বের স্বীকার হচ্ছি। এবং শৃঙ্খলই জীবন। শৃঙ্খলের বাইরে কেউ নেই বা থাকতে পারেনা সামাজিক মানুষ।

 একজন ঘরের পুরুষকে, তার সংসারের কাছে দাসখৎ লিখে রাখতে হয়। নারী পুরুষ (স্বামী স্ত্রী) বাবা মা, ছেলে মেয়ে নিয়ে ৬ জনের পারিবারিক জীবন নির্বাহ একজন পুরুষকে দায় নিতে হচ্ছে। অদৃশ্য বাঁধনে সে হাঁফিয়ে উঠলেও পালিয়ে যেতে পারছেনা। সংসারের ৫ জন একটা পুরুষকে শোষণ করছেনা? পুরুষটা তার সখ আহ্লাদ ত্যাগ স্বীকার করে চুপ করে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছেনা? মহিলারা যদি মনে করে তারা ঘরের দায় নেবে, পুরুষ ঘরে থাকবে, ঘর সামলাবে তাহলে উত্তম। কিন্তু এই সাহস পৃথিবীতে মহিলারা দেখাচ্ছে কি?

একজন শ্রমিক, সারাদিন সে তার শরীর খাটিয়ে একটানা ১০/১২ ঘন্টা পরিশ্রম করে। তার শরীরকে শোষণ হচ্ছেনা? শরীর শোষণ আর যোনি শোষণ কি আলাদা? শরীর শোষণ না করে কে বাঁচতে পারে। যারা বুদ্ধিজীবি, তারাও শরীর খাটিয়ে টাকা উপায় করে। ফলে আপনি আলাদা ভাবে বলতে পারবেননা  যৌন শোষণ। বরং নারীরা যৌনশোষণকে তাদের পেশা হিসাবে হাসি মুখে বেছে নিয়েছে।  ৭৬০ কোটি নরনারীর পৃথিবীতে প্রায় ৬ কোটি পেশাদারি বেশ্যা,  প্রায় প্রতি ৬৪জন মহিলার ১ জন বেশ্যা বৃত্তি করে। এবং তারা হাসিমুখে করে। আপনি তাদের শ্রমের কাজ দিলে তারা করতে ইচ্ছুক নয়। যদিওবা করে, তারা বেশ্যা বৃত্তি ছাড়তে রাজি নয়। তাদের যোনি দিয়ে যা কামায় তা বিশাল অংকের। শ্রম দিয়ে তা অর্জন করা যাবেনা এছাড়া কোন পুরুষকে লুটে নেবার অস্ত্র মিষ্টি কথা বা যোনির টোপ দেওয়া। মাদক ও বেশ্যা বৃত্তিতে বিশাল টাকা দাও মারা যায়। আয় করা যায়। মহিলারা ৭০ শতাংশ স্বেচ্ছায় বেশ্যা বৃত্তিতে আসে। একটা সার্ভে করা হয়েছিল (At least 1,000 sex workers were surveyed under an ongoing reproductive and sexual health project, funded by AmplifyChange and South India AIDS Action Programme (SIAAP). সেখানে পরিস্কার বলেছে, অশিক্ষা দারিদ্রতা থেকে মহিলারা বেশ্যাবৃত্তিতে আসে। ভারতে, মহিলারাই অশিক্ষিত বা দরিদ্র নয়। পুরুষরাও। সূত্র ২০২০ ফেব্রুয়ারী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


 

কেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একজন বেশ্যা একরাতের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা রোজগার করে।


আপনি এরপরেও বলবেন এই বেশ্যাদের/ এসকর্ট মহিলাদের কেউ ক্রীতদাস বানিয়ে এখানে এনেছে? আর বেশ্যালয় চালায় একজন মহিলা। মহিলাদের কাছে যদি এই পেশা খারাপ হত, তা হলে মহিলারা বেশ্যালয়ের মালিক হতোনা।

Paid labour থেকে  Paid sex  মহিলাদের কাছে অনেক সুখের। নীচের ছবিটা দেখুন, একটা নর্দমার পাঁকে ডুবে একজন পুরুষ কাজ করছে। সে কাজ করে তার ঘরের মহিলাকে খাওয়াবার জন্য, পরাবার জন্য, আশ্রয় দেবার জন্য।কোন মহিলাকে দেখেছেন এমন কঠিন কাজ করতে? লোকটাকে সামাজিকভাবে, ব্যক্তিগত ভাবে, সবাই হেয় করে। আর এসব করে সে কত পয়সা পায়? তার চেয়ে মহিলারা বেশ্যা বৃত্তি কেন পছন্দ করে এবার বুঝুন।

বেশ্যাবৃত্তির ইতিবাচক বা নেতিবাচক আমি কিছুই বলছিনা। আমি শুধু আপনাকে তথ্য দেখাচ্ছি, যাতে আপনি সঠিক ভাবতে পারেন।

২০১৬র জুনে, টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসকর্ট সার্ভিস কোনভাবে সরকার বন্ধ করতে পারবেনা। নানা ধরণের ইন্টারনেট ব্যবহার করে এসকর্ট সার্ভিস চলছে। এবং তারা বিজ্ঞাপনগুলিতে কোন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেনা। তারা  'juicy lips'  'midnight princess'  'sterling bioscience' এসব বলে খদ্দের ডাকে। বা friendship' and 'company' বলে চালায়। দিল্লীতে এক দিন ব্যবসা ৫০ কোটি টাকার হয়, মুম্বাইতে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এসকর্টরা সাধারণতঃ স্বচ্ছল ঘরের থেকে আসে, কেউ মডেল বা কেউ অভিনেত্রী, তারা শুটিং করে ২ হাজার টাকা পায় আর এসকর্ট করে ২০, থেকে ৪০ হাজার টাকা উপায় করে। আর যারা খদ্দের তারা সমাজের ভি আই পি, তাদের সাথে যোগাযোগ তৈরি অন্যভাবে হতনা, এসকর্ট সার্ভিসের মাধ্যমে হয়ে তারা অনেক লাভবান।

এবার আপনি ভাবুন একদিনে ২০ হাজার হলে একমাসে সে কত রোজগার করে।

এসব পড়ার পর আপনি বলবেন, বেশ্যা বৃত্তি কষ্টের কাজ? ধনী গরীব সব জায়গায়তেই আছে। আপনি নিজের পেশার প্রতি যত যত্নবান হবেন তত ফেরত মুনাফা আসবে। অনেক মহিলা রাস্তায় বা এদিক ওদিক গলিতে অন্ধকারে লাভবান হয়না বলে বেশ্যা বৃত্তি মন্দ এমন ধারণা করার কারণ নেই। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ১০/১২ঘন্টা একটানা শ্রম দেয়, বেশ্যারা সারা সপ্তাহে বড়জোর ১০ ঘন্টা কাজকরে। আর মজুরী ও সাধারণ শ্রমের চেয়ে বেশি।

মুম্বাই, দিল্লী , চেন্নাই ও কলকাতায় উইকিপিডিয়া অনুসারে(The  United Nations Programme on HIV and AIDS (UNAIDS) রিপোর্টে, এই চার জায়গায় প্রায় ৭ লক্ষের বেশি বেশ্যা আছে, এছাড়া আছে এসকর্ট ও কলগার্ল।  রোগ থেকে সাবধানতা সবাই সচেতন ভাবে করে।

২০১৭ এর র‍য়টারের  খবর অনুযায়ী Of an estimated 20 million commercial prostitutes in India, 16 million women and girls are victims of sex trafficking, according to campaigners.  ভারতে আরো অন্যান্য খবর মাধ্যমে সংখ্যাটা ২ কোটি থেকে ৩ কোটি (বেশ্যা) হতে পারে। আপনি দূর থেকে ভাববেন বেশ্যারা খুব কষ্টে আছে। একদিনে সে অনেক খদ্দের ধরে, ৩ থেকে ৬ জনকে প্রতিদিন সে যৌন পরিষেবা দেয়। এটা তার কাছে পেশা।  তার কাছে  মনে হয়না সে বাধ্য হয়ে বেশ্যা বৃত্তিতে এসেছে। রাস্তায় মুটে মজুর সেজে বা সব্জীর দোকান সাজিয়ে, বা পরিচারিকার কাজ করে যথেষ্ট টাকা অর্জন করা যায়না।


ইউনাইটেড নেশন যৌন কর্মকে কর্ম বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইন্টার নেশনাল লেবার অর্গানাইজেশন স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে আপনি আমি কে যৌন কর্মকে দোষারোপ করার? একমাত্র কিছু মুষ্টিমেয় মহিলা যারা নিজেদের নারীবাদী জাহির করে সমাজে নারীদের নষ্টামি শেখায়, ভুল পথে চালিত করে কেবল তারাই যৌন কর্মের বিরোধী। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন, বড় বড় নারীবাদীরা ব্যক্তিগত জীবনে অসামাজিক। যেমন নারীবাদী   সিমোন দ্য বোভোয়ার, সেকেন্ড সেক্স গ্রন্থের বিখ্যাত লেখিকা, তার ব্যক্তিগত জীবনে সে একজন যৌনশোষণকারী। এর চেয়ে বড় প্রমাণ আপনি কোথাও পাবেননা। ভারতে
Flavia Agnes ফ্লেবিয়া অ্যাগনেস, মহিলা উকিল, নারীবাদী যার জীবন জটিল, ডিভোর্সী, আরেকজন হলেন বৃন্দা গ্রোভার Vrinda Grover, এরকম অনেক নারীবাদী উকিল/ বুদ্ধিজীবি প্রমুখ মহিলা নিরপেক্ষ আইন চাননা। তারা চান মহিলারা নয় শুধু পুরুষদের ধর্ষণ আইনে জেলে ভরতে হবে। কোন gender-neutral ধর্ষণ আইন পাশ করা যাবেনা। ফৌজদারী আইন ৩৭৫  সংশোধন করা যাবেনা। তারা পুরুষ কমিশন তৈরিতেও বাধা দিচ্ছে। তাহলে বুঝুন মহিলারা জানে তারা অপরাধী, নিরপেক্ষ আইনে ধর্ষণের জন্য তাদেরও ফাঁসী হবে। সূত্রঃ মার্চ ৭, ২০১৩, টাইমস অফ ইন্ডিয়া  


মহিলার অনুমতি নিয়ে তার সাথে যৌন সংগম করতে হবে। না মানে "না" এটা করতে হবে, এই ছিল বৃন্দা গ্রোভারের যুক্তি। সুপ্রীম কোর্ট নাকচ করে দিয়েছে। কারণ আবেগে অনেক মহিলাই হ্যা বলতে গিয়ে না বলে। এটা মহিলাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট।

 ভারতের আইন প্রণয়ন ব্যবস্থাও ঠিক নয়। সাধারণ মানুষের অনুমতি ছাড়াই কতিপয় লোক আইন্সভায় বসে আইন বানায়। তারা সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি নন। যেমন বৃন্দা গ্রোভার, ফ্লয়াবিয়া অ্যাগনেস, তারা নিজেদের স্বার্থ বা পেশার স্বার্থ হিসাবে উকালতি করেন। প্রয়োজনে তারা সাদাকে কালো, কালোকে সাদা দেখান।

লিংগ বৈষম্যহীন আইন উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার ৪টি দেশে চালু। ভারতে ১৮ বছর অবধি ছেলেদের পসকো আইনে আনা হয়েছে। সেই জন্য ভারত জেন্ডার নিউট্রাল রেপ আইন চালু করবেনা। কিন্তু অনেক আইনজ্ঞরা, বিশিষ্ট জনেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৮সালের জুলাই মাসের খবর, দ্য হিন্দু

আমার কাছে মনে হয়েছে, মহিলারা ধর্ষণ শব্দটার উপর অতিরঞ্জন, অতি ব্যবহার করে এটাকে বেলুনের মত ফাঁপা শব্দ বানিয়ে ফেলেছে। এবং একটা শ্রেণির মহিলা, (মহিলারা মানসিক স্তরে সবসময়ই বিবাদপ্রিয়, ফলে না বুঝেই, ঘটনার বাস্তবতা না স্বীকার করেই, নিজেকে ভিক্টিম বা বলি জাহির করে সহানুভূতি আদায় করতে চায়, ফলে নারীবাদী কথাটা- বিশেষ করে- নারী দুর্বল, বঞ্চিত, পুরুষের দ্বারা অত্যাচারিত ইত্যাদি গল্প বললে একবাক্যে সায় দেয় ) যারা নারীবাদী রাজনীতি করে, শহরে/আধাশহরে থাকে, কিছু পড়াশুনা জানে, ও নারীর অধিকার নিয়ে লড়াই করে, তারা তাদের পেশার স্বার্থে, একচেটিয়া বলতে বলতে ধর্ষণ শব্দটাকে দানব রূপ দিয়েছে। যেন তারা কোন বড় কোম্পানীর প্রোডাক্ট ক্যাম্পেন করে বিক্রী করছে।খবর কাগজে, টিভিতে, সেমিনারে, প্রদর্শনীতে, অ্যাটিচুড বা জিহ্বার ডগায় প্রকাশ করে পুরুষকে শয়তানের রুপ দিতে চাইছে। ভাবখানা এমন পুরুষহীন এক মহিলা জগত তারা তৈরি করবে।
কিন্তু বাস্তবিক, একজন মহিলারা শত্রু আরেকজন মহিলা, এবং সেই শত্রুকে নিকেশ করার জন্য মহিলাদের পুরুষ আশ্রয় অপরিহার্য। এই পৃথিবীর নির্মাতা ও তাকে সমস্ত কিছু সংরক্ষণ করা, সরবরাহ করা ইত্যাদি সবই পুরুষ করে। এই যে ঘরটিতে নারী নিরাপদে থাকে, ঘরটি পুরুষের তৈরি। এই যে খাবার সে খায়, শষ্য-দানা, এগুলি পুরুষের ঘাম ও শ্রম, এই যে কাপড়টি, অলঙ্কারগুলি এত সুন্দর সুন্দর নারী ব্যবহার করে তাকে সাজায় এগুলি পুরুষের তৈরি।সারাদিন পুরুষ প্রকৃতির বিরুদ্ধে পরিশ্রম করে অর্জন করে নারীর জন্য, এবং সে প্রত্যাশা করে নারী তাকে পরিশ্রমের ক্লান্ত দেহকে সেবা দেবে, তার যোনির অধিকার দেবে।
এই উপরোক্ত সত্যের বিকল্প নারীর কাছে কিছুই নেই।
পুরুষ বাস্তবিক, বংশ রক্ষার জন্য কিছুই ভাবেনি, ফলে তার নিজেকে আদিম কাল থেকে সেইভাবে বিকশিত করেনি, গর্ভাশয় তার পেটে তৈরি হয়নি। হয়েছে নারীর পেটে।
 বিবর্তন ধারার গোড়ায় যদি দেখি, যখন এককোষী প্রাণিরা নিজেদের দেহ ব্যবচ্ছেদ করে বংশ তৈরি করত, একটা নিশ্চিত সময় থেকে লিংগ বিকশিত হল।

ভারতে নারীরা বা পৃথিবীতে নারীরা প্রায় ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়সী, ৪৫%শতাংশ ধর্ষক। এবং তা রিপোর্ট হয়না। মেয়েদের মাসিকস্রাব শুরু হওয়ার অনেক আগেই তাদের যৌন সংগম সম্পর্কে জ্ঞান এসে যায়। এবং তারা ছোটবেলার পুতুল সংসার থেকেই বিশদ্‌ শেখে। রান্নাবাড়ি, বাচ্চা খাওয়ানো পরানো ইত্যাদি। ফলে তাদের যোনির অনুভূতি তাদের ছেলেদের সাথে বা বাপের বয়েসী লোকের সাথে চুপি চুপি সম্পর্ক করতে উৎসাহী হয়।

একবার reddit.com এ ২০১২ সালে একটা বিষয় বলা হয়েছিল "Men who have been raped by women: can you tell us about what led to the assault and what came after it?" তখন প্রচুর ঘটনা প্রকাশ হয়েছিল মহিলারা কখন কিভাবে পুরুষ ধর্ষণ করে।

 একটা মেয়ে লিখছে, তার মায়ের বন্ধু ১৮ বছরের এক মহিলা, তার মামার বয়স ১৫, তার মামার ঘরে বসে  তার মায়ের বন্ধু তার মামার শরীর ঘষাঘষি শুরু করেছে। তার মামা বাধা দিলে, সে তাকে ব্ল্যাক মেইল করা শুরু করল। বল, আমি যা বলি তা না করলে আমি এখুনি চিৎকার করে লোক ডাকব, বলব আমাকে রেপ করছে। তার মামা ভয় পেয়ে যায়। ও সেইমত কাজ করে। মহিলারা পুরুষকে এমন ভয় দেখিয়ে বাধ্য করে। আর সাধারণ সমাজ মহিলার কথা বিশ্বাস করে। এরকম ভিন্ন ভিন্ন প্রচুর ঘটনা প্রকাশ হয়েছিল।

 বাংলাদেশের ঢাকার একটি ঘটনা। এক রিক্সাচালক, ৬৫ বছর বয়েস, তাকে ১৩ বছরের এক মেয়ে নাছোর বান্দা বিয়ে করার জন্য পাগল। সংবাদ মাধ্যম নানা ভিডিও, টিভিতে হৈ হৈ পড়ে গেল। রিক্সা ওয়ালা বিয়ে করল। সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন ১৪ই মে, ২০২০

লন্ডনের গার্ডিয়ানের খবর ২০০৯ সালের। ৬৪ হাজার মহিলাশিশু যৌন নির্যাতন কারী।ভাবুন সারা পৃথিবীতে কেমন হবে সংখ্যাটা।

আমার এক বান্ধবী, তার প্রতিবেশি এক কলেজ ছাত্রীকে দেখেছে, তার.৭ শিশু পুত্রকে  একা ঘোরে বিছানায় শুয়ে বুকের স্তন খাওয়াচ্ছে। হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় ও কলেজ ছাত্রীটিকে বকাবকি করে।

২০১৭ সালের জুন মাসে, গাজীপুর জেলার শাদিয়াবাদ থানার এলাকায় একটি ১৫ বছরের মেয়ে  ৯ বছরের ছেলের সাথে শারিরীক সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি বলে ছেলেটির পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। ভাবুন এরকম ঘটনা সবসময় হয়, মিডিয়াতে খুব কম আসে। কারণ ছেলেদের কিছু হলে কোন প্রতিবাদ, মোম্বাতির মিছিল, মিডিয়া আগ্রহ পায়না। দেশটা নারীবাদী কিনা। কিন্তু এগুলি উত্তর না দিয়ে মহিলাদের উত্তর কিভাবে আশা করা যায়?

আমার রচনা আরো দীর্ঘায়িত করা যায়। কিন্তু আপনার কান আছেতো? 

 এতসব জেনে আমার মনে হয়েছে, ধর্ষণ নারীবাদীদের কাছে এক খেলা, যোনি রাজনীতি।  এর বাইরে কিছু নয় তাই এর প্রচার অতিরঞ্জিত করে, মিথ্যা গল্প বানিয়ে বানিয়ে সমাজকে তিক্ত করে দিয়েছে। নারীবাদ এক ধ্বংসাত্মক রাজনীতি।

 বহু এন জি ও আছে, যারা নারী ধর্ষণের গল্প লিখে, প্রচার করে টাকা পায়। তাই এই বিষয়ের প্রচার বেশি। পুরুষ ধর্ষণ হলে প্রচার হয়না।

পুরুষ প্রলোভিত পোশাকে মহিলারা অন্য মহিলাদের ধর্ষণের শিকার বানানঃ একটা সমীক্ষা 'মহিলা সংস্কৃতি'

  আত্মজ উপাধ্যায়   ( ধর্ষণ সামাজিক অপরাধ, আরো অধিক অপরাধ তাদের যারা এই ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়। 'ধর্ষণ'- এ পুরুষ যতটুকু না দোষী, তার বহুগ...