Thursday, February 4, 2021

পুরুষ প্রলোভিত পোশাকে মহিলারা অন্য মহিলাদের ধর্ষণের শিকার বানানঃ একটা সমীক্ষা 'মহিলা সংস্কৃতি'

 আত্মজ উপাধ্যায়

 (ধর্ষণ সামাজিক অপরাধ, আরো অধিক অপরাধ তাদের যারা এই ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়। 'ধর্ষণ'- এ পুরুষ যতটুকু না দোষী, তার বহুগুণ দোষে মহিলারা দোষী। মহিলা সংস্কৃতি (আলাদা করে নামকরণ করলাম), স্থান-কাল-পাত্রপাত্রী, সমাজের ভূমিকা এবং  জিন-গত (নারী-পুরুষের) বিবর্তন। ধর্ষণের শিকর খুঁজতে গিয়ে আমি যেগুলি পেলাম তার উল্লেখ দিয়ে এই রচনা। আলাদা ভাবে সূত্র উল্লেখ করিনি, যেখানে সূত্র ব্যবহার করেছি হাইপার লিঙ্ক দিয়ে রেখেছি।- আত্মজ উপাধ্যায়)

The Rape of Proserpina by Gian Lorenzo Bernini, 1621–22, at the Galleria Borghese in Rome

যৌন উত্যক্তকরণ, যৌন আক্রমণ এসব সূচিত করে, কেউ এসবে উৎসাহী। উৎসাহের কারণও নিশ্চয়ই আছে। উৎসাহ না থাকলে কেউ খামোকা কোনকিছুর পিছনে ছুটেনা। সারা দুনিয়া জুড়ে সবকিছুর উপর ছাপিয়ে উঠে গেছে একটা শব্দ, 'ধর্ষণ'। পৃথিবীতে নরহত্যা হয় ধর্ষণের চেয়ে অনেক বেশি নারী হত্যা একদম কম। ধর্ষণ গোলমেলে শব্দ, বিচারক স্থির করে দেয় কোনটা 'ধর্ষণ'। কিন্তু 'নরহত্যা' ঘটে পরিষ্কার

পৃথিবীতে প্রায় প্রতি বছর ৫ লক্ষ নরহত্যা হয়, তার ৮১% পুরুষ হত্যা হয়। আপনি  বা রাস্ট্র, ইউনাইটেড নেশন ও তার সঙ্গীরা কখনো ধর্ষণের মত 'পুরুষ হত্যা', 'পুরুষ নির্যাতন' প্রচারের আলো ফেলে দেখেছেন? কোন বুদ্ধিজীবি, বা কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা কখনো তার খবর নেয়? নেয়না। এমনকি পুরুষ কমিশন কোথাও নেই। ইউনাইটেড নেশন মহিলা সংগঠন আছে (unwomen.org) পুরুষ সংগঠন নেই। তবে কি, পুরুষ মানুষ নয়? মনে রাখতে হবে, এই পৃথিবী পুরুষের নির্মাণ, পুরুষের মেধা, শ্রম ও ট্যাক্সের টাকায় চলে, যেকোন সময় বিদ্রোহ করে উঠার মত সময় এসেছে। তখন সামলানো দায় হয়ে উঠবে।

সূত্রঃ ইউনাইটেড নেশন


নানা তথ্য ঘেঁটে দেখলে ধর্ষণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া মুশকিল। কোথাও বর্ণনা করা হয় মহিলাদের সারা জীবনের নিরিখে, সেখানে বলা হয় ৩৫% মহিলা জীবনে কোননা কোন সময়ে যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছেন।  অধিকাংশ ঘটনা ঘতে ১৪ বছর থেকে ২৪ বছরের কিশোরী বা মহিলাদের উপর।

আপনি এই ধর্ষণকে কিভাবে দেখবেন? অধিকাংশ (৭৫%) ধর্ষকের বয়েস দেখা যায় ২১ থেকে ৩৫ বছর। এবং ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ধর্ষক পরিচিত মানুষ।

ভারতে প্রতিদিন ৯০ জন মহিলা যৌন আক্রমণের শিকার। কিন্তু ভারতে অন্যান্য অনেক রাস্ট্রের চেয়ে ধর্ষণ কম ঘটে।

এই ম্যাপ টা দেখেই বোঝা যায়  ভারতে প্রতি লক্ষে ২০ জন, যেখানে দক্ষিন আফ্রিকায় প্রতি লক্ষে ১৩৪জন যৌন আক্রমণের শিকার। বাকী গুলি উল্লেখ্যঃ South Africa (132.40),    Botswana (92.90),    Lesotho (82.70),    Swaziland (77.50),    Bermuda (67.30),    Sweden (63.50),    Suriname (45.20),    Costa Rica (36.70),    Nicaragua (31.60),    Grenada (30.60),  United States (27.3)। আরো জানতে এই লিংকে পড়ুন।

আমি এখানে অধিকাংশ ধর্ষকের ও ধর্ষিতার বয়েস ও সম্পর্ক দেখিয়েছি। ধর্ষণের পিছনে অনেক কারণের মধ্যে

১। মহিলার বিচার আগে। মহিলা যদি বলে আমাকে ধর্ষণ করেছে, তাহলেই অভিযোগ আনা যায়।মহিলা মিথ্যা বলেনি, এটা প্রমাণের আগে একজন পুরুষকে আইন দিয়ে হেনস্থা করা এটা  ঘোরতর অপরাধ আদালতের ও পুলিশের। বহু ঘটনা প্রমাণিত, আদালত পুরুষকে মিথ্যা শাস্তি দিয়েছে। এই ক্ষতি আদালত পূরণ করতে পারেনা।

 এটা মনে রাখা জরুরী, মহিলাদের প্রায় ১২ বছর বয়েসেই মাসিক স্রাব শুরু। এবং মহিলারা পুরুষের অনেক আগেই যৌন মিলন সম্পর্কে সচেতন হয় ও গ্রাম গঞ্জের অনেক মেয়েই বিয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে। যৌনমিলনের বাসনা জাগে। তারা রীতিমত তাদের কথাবার্তা বন্ধুবান্ধবীদের সাথে চলাফেরায় তা প্রকাশ করে। পুরুষ/ছেলেদের নজর কাড়ার জন্য নানারকম আচরণ প্রকাশ করে। স্রেফ সামাজিক নিয়ম ভয় পেয়ে মুখে অস্বীকার করে। দেখা যায় চটুল ইয়ার্কি থেকে শরীর ছোঁয়া, ও  যৌন মিলনে পরিণতি দেওয়া ইত্যাদি সবেতেই তাদের ভূমিকাইতিবাচক থাকে। ধরা পড়লে ছেলেদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া। এটা বিবাহিত ও বিবাহিত উভয় ক্ষেত্রেই ঘটে। সুতরাং মহিলারা যৌন সুখ চায়নি, এই ভাবনা অস্বীকার করা যায়না।

 ধর্ষণ ঘটলে, অর্থাৎ মহিলা অভিযোগ করলে, প্রথমেই মহিলার কথাকে শিরোধার্য  করে আইন মোতাবেক, ছেলেটির উপর পুলিশী জুলুম, ও হয়রানি শুরু হয়ে যায়।

এটা আইনের সবচেয়ে অসভ্যতম ও অকেজো দিক। বিচারের নামে আইন কাউকেই প্রমাণের বাইরে কোনরকম বেইজ্জতি করতে পারেনা। এই সমাজ চলে পুরুষের টাকায়, পুরুষের করের পয়সায়। আইনের চলার পথও পুরুষের টাকায়। সুতরাং পুরুষকে দানব করে দেখানো সমাজ ও আইনের একদম দুর্বল দিক। ধর্ষণ খুন নয়, তার বিচার করার যথেষ্ট সময় থাকে। কোন নিরীহ মানুষকে ক্ষতি করে দিলে আদালত তার ক্ষতি পূরণ করতে পারেনা। করেনা। সুতরাং আদালতের বা সমাজের কোন  ক্ষতি কারুর প্রতি করার অধিকার নেই।

২। দ্য সেভেন মিনিটস  (The Seven Minutes ) বলে একটি উপন্যাস ও সিনেমা আছে। আরভিং ওয়ালেস তার লেখক। (The Seven Minutes is a novel by Irving Wallace published in 1969 and released by Simon & Schuster. ) 

বইটাতে লেখক সুন্দর ভাবে পাঠককে সাহায্য করেছেন, বাস্তবতা কি উপলব্ধি করতে। ধর্ষণ হলে কি কি বিচার্য বিষয় অন্তত তা দেখানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পর্ণোগ্রাফির প্রভাব ও বাক স্বাধীনতা (the effects of pornography and the related arguments about freedom of speech) জেফরি গ্রিফিথ (Jeffrey Griffith) বলে একটি কলেজের ছাত্র  সেভেন মিনিটস বইটি পড়ার পর ধর্ষণ ও হত্যা করে একটি মেয়েকে। অভিযোগ উঠে। ছেলেটির এই যুবা বয়েস, ও আগে তার সম্পর্কে কোন অপরাধের নজির নেই। সে হঠাৎ যৌন লিপ্সায় মেতে উঠে ও একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। তারপর বই বিক্রেতা , প্রকাশক, রাজনীতি ইত্যাদি সবই গল্পে চলে আসে।

আমি কাহিনীতে বিশ্বাস করিনা, কিন্তু এটা বাস্তব, যৌনতা মাথা বা মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণে। মস্তিষ্ক আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের (5 senses of organs ) অধীন। আমাদের চোখের সামনে যা ঘটে, কানে যা শুনতে পাই, নিশ্বাসে আঘ্রাণ যা নিই, স্পর্শ করে যা ভাবি, জিহবায় স্বাদ যা লাগে তা আমাদের মনকে প্রলোভিত করে তুলে। এই প্রলোভনের মাত্রা এতটাই আমাদের সংস্কৃতি তা সংযম করতে ব্যর্থ।

ভারতীয় মহিলারা সমস্ত ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম, সিনেমা, টিভি, খবর, বিজ্ঞাপন - সকল মাধ্যমে রোজগারের উপায় শরীর দেখানো ও যৌনচটুলতায় বিশ্বাসী। ভারতীয় সংস্কৃতি মহিলা অপরাধী হলেও উপেক্ষা করে চলে ফলে, মহিলা অপরাধীর সংখ্যাও বেড়ে চলছে। ইউনাইটেড নেশন তার রিপোর্টে বলেছে ভারতীয় সিনেমা যোনি করণ হয়ে গেছে অত্যুধিক।



মহিলারা  টাকা রোজগারের লোভে এতটাই নগ্নতা সীমা ছাড়িয়ে এনেছে তাদের স্বাধীনতা দাবি করে, তার প্রভাব পুরুষের কাছে বিপজ্জনক। পুরুষকে যৌনসংগী খোঁজার জন্য কান্ডজ্ঞানহীন করে ফেলে। তখন সামনে যাকে পায়, মহিলা হলে, তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যেন কোন ঘোর লেগেছে। 



এখানে ফোর্বস থেকে ভিডিওর ছবির স্ক্রিনশট দিলাম। সাধারণ মানুষ নগ্নতা কে ধর্ষণের জন্য দায়ী করে।

ভারতের সংস্কৃতি একটা শ্রেণির জন্য দিনকে দিন ক্রমশঃ বিকৃত রুচীর হচ্ছে। কিছু শহরেরমানুষ নিয়ে ভারত নয়। ৭০ শতাংশ ভারতীয় নরনারীর কাছে যৌনতা নিষিদ্ধ বস্তু, লজ্জার জিনিস। সেখানে ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রীরা , মডেলরা সিনেমার বাইরেও নগ্ন ও আলিংগন, চুম্বন ইত্যাদি করে ও একটা অপসংস্কৃতি বানিয়ে তুলেছে।

ধূমপান যদি অধূম্পায়ীদের ক্ষতি করে, এবং ধূমপান যত্র তত্র করা যদি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে মহিলাদের নগ্নতা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা? একজন মহিলা একজন পুরুষকে প্ররোচিত ও প্রলোভিত করে ধর্ষক  হবার, প্রশাসন সেই মহিলাদের কেন জেল জরিমান করেনা? আইন তো আছেই,  অশিষ্টাচারের। ভারতীয় দন্ডবিধির ২৬৮ থেকে ২৯৪ এ অব্দি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, সম্ভ্রম, ও নৈতিকতা রক্ষার আইন রয়েছে।।


এবং অশিষ্টাচারের জন্য, বা মহিলা শরীর কামুক আগ্রহ প্রদানকারী শাস্তি বিধি আছে।

সিনেমা বা বিনোদনের মাধ্যমের মডেলরা যখন পাবলিক প্লেসে, কম্পিউটারে, মোবাইলে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে খাটো পোশাকে কোন যুবা পুরুষের মাথায় চলে আসে, তখন তার মনের পবিত্রতা নষ্ট হয়। সেই নষ্টের সাজা মহিলারা পায়না। আরো খারাপ লাগে যুবকটি যখন তার যৌন পিপাসা মেটাতে অন্য কোন নিরীহ মহিলার দিকে এগিয়ে যায় ও ঘোরের মধ্যে কোন খারাপ কিছু করে বসে।

নারী কমিশন ও প্রশাসন বুঝেও নীরব। শুধু ছেলেদের ফাঁসী ও খুন করে(এনকাউন্টার) শান্ত হয়।এর বিহিত না করলে সমাজ ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হবে।

সেভেন মিনিটস একটা অশ্লীল উপন্যাস সম্পর্কে একটি উপন্যাস। উপন্যাসের উপন্যাসটির নাম সেভেন মিনিটস। এটা লিখেছে একটি মহিলা পুরুষের নামে। দেখানো হয়েছে মহিলা কি করে যৌন সুখ পায়।

আর আমাদের বাস্তবে, উপন্যাস নয় স্বয়ং বাস্তবের মহিলারা বুক পেট, নাভি , উরু ইত্যাদি যৌনতার আর্তি দেখিয়ে যুবকদের যৌন আমন্ত্রণ জানিয়ে ধর্ষক বানাচ্ছে। এটা জরুরী ভিত্তিক বন্ধ করতে হবে।

.৩। ধর্ষণকে সোজা অর্থ করলে বলা যায়, নরনারীর যৌনমিলন যা অবৈধ । তার মানে যৌন মিলনের একটা বৈধ ব্যবস্থা আছে। এবং তা আদিম কাল থেকে। এটা হঠাৎ মহামারীর মত আবির্ভাব হয়নি। এটা আদিম কালেও ছিল। তখন বলা হতনা এখন বলা হয়। গত ৫ হাজার বছরের ইতিহাস দেখলেও ধর্ষণ সম্পর্কে গত শতাব্দী জুড়ে যে স্পর্শকাতরতা তৈরি হয়েছে তা ছিলনা। সংস্কৃতিতে চলছিল। আইন ছিল, শাস্তি ছিল, এত হৈচৈ ছিলনা। ক্রীতদাস প্রথার সময় মহিলাদের বা পুরুষদের মানুষই মনে করতনা ১৫০০ থেকে ১৯০০ সালের মাঝে ইউরোপ আমেরিকাতে অনেক মানবাধিকার লংঘন হয়েছে। তখনও তেমন হৈচৈ লক্ষ্য করা যায়নি যতটা আজকের দিনে দেখা যায়।

এই প্রসংগ তোলার পিছে আমি এটাই বলতে চাইছি যে ধর্ষণ যে ব্যক্তি করে, তার কাছে তৎক্ষণাৎ মনে হয়না সে কোন আর্থিক বা অন্য কোন লাভ হবে। সে তার জৈবিক চাহিদা, বা নারীর যোনিতে মিলনের যে সুখ তা পেতে চায়। যোনিতে মিলন সুখ নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া যায়, প্রেমিকার কাছ থেকে পাওয়া যায়, টাকার বিনিময়ে কোন কোন মহিলার কাছ থেকে পাওয়া যায়। সুতরাং সে ধর্ষণের দায় মাথায় নিয়ে , জেল আদালত হবে, এসব ভেবে করেনা। সে জানে যোনি কোন মহিলার হয়, আর তা মহিলা ইচ্ছা করলেই উভয়েই আনন্দ পায়।

 সুতরাং এটা সাংস্কৃতিক ধারা বাহিকতায় ছিল ও থাকবে। আপনি যখন বলবেন তখন এটাই ধর্ষণ নামে আখ্যাত হবে।

আমরা দেখেছি সমাজে, মহিলারা নানা স্বার্থসিদ্ধির জন্য পুরুষের সাথে চলে, সহবাস করে। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ধর্ষণের অভিযোগ আনে ও আদালত একজন নিরিহ মানুষকে কঠোর শাস্তি দেয়। মিথ্যা ধর্ষণের মামলা তো ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। পুরুষ জানেনা, তার যৌনমিলনের সুখ টি কখন ধর্ষণের দায় হয়ে তাকে জেলে নিয়ে যাবে। এমনকি তার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেও।ভাবুন  কেমন অসহায় আইন আদালত ও সমাজ পুরুষকে বানিয়েছে। অথচ পুরুষের টাকায় পুলিশ ও বিচারকের মাইনে হচ্ছে।

৪। প্রস্রাব, পায়খানার মতো যৌনাঙ্গের ডিম্বাণু বা শুক্রাণুর নির্গমণের পথ দেওয়া সমাজের কর্তব্য। শহরের রাস্তায়, প্রতিটা মোড়ে স্নান, প্রস্রাব ও পায়খানার ঘর আছে। যৌন কর্মের জন্য নেই। অথচ, এটা জৈবিক, এবং মগজ থেকে নিয়ন্ত্রিত। কোন মহিলার স্তন , উরু, পাছা, নাভি- তলপেট, যোনি, মুখ দেখলেই পুরুষের যৌনমিলনের ইচ্ছা পায়। একে নিন্দে করে, অপরাধী বানানো বড় অপরাধ। মহিলাদেরও অনেক ইচ্ছা হয় যখন দেখে অর্থবান, বীর্যবান, যশবান সুপুরুষ। অর্থ থাকলে কুশ্রী হলেও তাদের আপত্তি থাকেনা। কারণ মেয়েরা বিষয়ী ও বিলাসী।  তাদের মস্তিষ্ক আর পুরুষের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ আলাদা,  চরিত্র, কাজ কর্ম ভাবনা চিন্তা সবই আলাদা। মহিলারাও যৌন মিলন চায়, এবং  একই সময়ে অনেকের সাথে। এই তথ্যটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে মহিলাদের এমন ভাবে প্রকাশ করে যেন তারা যৌন মিলন একদম চায়না। মহিলারা সন্তান, স্বামী ও যৌন সুখ না চাইলে এত পরকীয়া ঘটনা এবং মহিলারা তাদের কমবয়েসী ছেলেদের প্রলোভিত করে যৌন কর্ম করতনা যাকে বলা হয় ধর্ষণ।

৫। সারা পৃথিবী জুড়ে নারীবাদীদের যৌনায়ন বা সেক্সুয়ালাইজেশান, মহিলারা পোশাকে আশাকে নিজেদের এমন পণ্য বস্তু বানিয়েছে, বা সারাদিন পুরুষের চোখে ও মস্তিষ্কে নারী শরীরের হাতছানি নানা মাধ্যমে- ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যম- বিজ্ঞাপন, বিনোদনের দুনিয়া ও শিল্প সংস্কৃতির নামে নিজেদের উলংগ করে প্রদর্শন করা- পুরুষকে যৌন প্রিয় ও আসক্ত করেছে।. বিজ্ঞাপন বা বিনোদন মাধ্যম ছাড়াও মহিলারা নগ্ন হতে চায়, তাদের শরীর প্রদর্শন করতে চায় জনসাধারণের মাঝে। এটা বন্ধ করতে হবে। যেমন বুক উন্মুক্ত করণ Free the nipple খোলাখুলি আলিংগন চুম্বন। বেশ্যা পদযাত্রা Slut walk ইত্যাদি।

মহিলারা একটা নিজস্ব সংস্কৃতি বানিয়েছে। সেই সংস্কৃতির নাম মহিলা সংস্কৃতি। মহিলাদের জীবন ধারণ, আচরণ প্রকৃতি, যৌন লিপ্সা, ইত্যাদি গত ১০০ বছরে নতুন করে বানিয়েছে। গত ১০০ বছরে পুরুষের প্রকৃতি তেমন কিছু পাল্টায়নি। ক) মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ পাল্টিয়েছে। খ) ক্ষমতায়নের জন্য নিজের শরীরকে অস্ত্র বানিয়েছে, শরীর সর্বস্ব করে প্রচারে মেতেছে। গ) পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে হেরে গিয়ে মিথ্যা- প্রতারণার আড়ালে লুকিয়েছে। সমস্ত ব্যর্থতা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের উপর চাপিয়েছে। 

বাস্তবিক হল, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ আছে বলেই তারাও এতটা ভাল ও সুখে আছে। রাজা একজন পুরুষ। ইতিহাসে আছে সে লড়াই করে ক্ষমতাবলে রাজা হয়েছে। মহিলা রাজাকে বিয়ে করে রাণি হয়ে গেছে অনায়াসে। এর চেয়ে সুখ মহিলাদের আর কেউ বা কোন তন্ত্র দিতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ। এই যে কোটা সংরক্ষণ, মহিলা ক্ষমতায়নের নানা সরকারি বেসরকারি প্রজেক্ট এগুলি কোনটাই নারী অর্জন করেনি। দান হিসাবে গ্রহণ করছে।

মেয়েরা পুরুষের সমকক্ষ কোনকালেই ছিলনা, আগামী কয়েকশ বছরেও পুরুষের সমকক্ষ হতে পারবেনা। এ নিয়ে বিজ্ঞান ও গবেষণাপত্র যথেষত আছে। একটা সূত্র হল ডাইমরফিজম  (Hominid sexual dimorphism) নারীপুরুষের লিংগ দুরকম নয় শুধু, তাদের সার্বিক গতিবিধিও বিবর্তন বৈষম্য করে রেখেছে। সেই বৈষম্য কোন সাংস্কৃতিক বিপ্লব বা অভ্যাস বিপ্লব এক করে দিতে পারবেনা।

 মহিলারা চিরকালেই যান্ত্রিক। রোবটের (Humanoid) বাইরে তাদের অস্তিত্ব প্রকাশ প্রায় অসম্ভব।  মহিলারা গত শতাব্দীর সমাজচিত্রে, সরকারি ও বেসরকারী ক্ষমতায়ন, সংরক্ষণের সুযোগে, স্কুল কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষের চেয়ে বেশি সংখ্যা অর্জন করেছে। পুরুষকে মেধা থাকা সত্বেও বঞ্চিত করে মেয়েরা পেয়েছে। আজও পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মহিলারা মিথ্যা প্রচারেও পুরুষের চেয়ে ক্ষমতাশালী বলে প্রচার পেয়েছে। তাতে বাস্তবিক মহিলাদের কি কোন ক্ষমতায়ন হয়েছে? না কোনকালে হবে? আমিও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।



মেয়েদের উন্নতি লাল রঙ দিয়ে দেখানো আর ছেলেদের নীল রংগে। দেখুন সূত্রঃ নেচার 

মেয়েরা ভাবে ও তাদের দর্শন এই, মেয়েরা কাপড় পরে শরীর ঢাকে এটা পিতৃতান্ত্রিক ফতোয়া। কিন্তু কাপড় পরা, বা লজ্জা নিবারণ সভ্যতার সূর্য উঠার অনেক আগে। শরীরের উন্মূক্ত আকৃতি নারী পুরুষের কামুক ভাবনার স্ফুলিংগ। পুরুষেরা অফিস আদালতে , জনসমাগম স্থানে সঠিকভাবে বস্ত্র পরে গলা থেকে পায়ের গোড়ালী ঢেকে রাখে। মহিলাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ও বনেদি পরিবার ছাড়া কেউ হলিউড বা বলিউডের মত শরীর দেখিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে শরীর বিক্রী করেনা। আর তারা আমাদের সমাজে মহিলাদের মধ্য উন্মুক্ত নাভি, স্তন, পাছা, উরু ইত্যাদি দেখানো প্রবণতা এনেছে। মা বাবারা, সন্তান বড় হয়ে গেলে এসব বলে ঘরে অশান্তি করতে চায়না। কিন্তু বিষয়টি লজ্জাকর।

কাউকে প্রভাবিত করতে মেধা লাগে, শরীর (মহিলাদের)  খুলে প্রভাবিত করা মন্দ পরিণতি আনে।পুরুষ শরীরের লোভে কোন মহিলার কাছে যায় সত্যি কথা কিন্তু মনে মনে মহিলারা নির্গুণকে ঘৃণা করে ও একসময় পরিত্যাগ করে। পরিত্যাগ না করতে পারলে, সারাজীবন তাকে মানুষ সম্মান দেয়না।

৬। ভিক্টিম ব্লেমিং তো অবশ্যই। 

আপনি দেখবেন, পৃথিবীতে মহিলা বিষয় নিয়ে চঞ্চল। মহিলা রেপ হয়েছে, মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, মহিলাকে ক্ষমতা দিতে হবে, মহিলাকে শিক্ষিত করতে হবে, পৃথিবীতা মহিলার বানাতে হবে। কেন? পুরুষরা কি মানুষ নয়?



পুরুষ মানুষের জীবন কি সুখে আহ্লাদে আটখানা? মহিলারা ধর্ষণ করেনা তাদের চেয়ে কম বয়েসী বা ১৮ বছরের কম ছেলেদের? মহিলারা কি পুরুষকে প্রতিদিন ঘরে নির্যাতন করেনা? মহিলাদের কি কাম বাসনা যৌন লিপ্সা ফান্টাসাইজ করেনা? মহিলারা কি পুরুষের মত মানুষ নয়? তাহলে মহিলা নিয়ে এত হাইপার বা অস্বাভাবিক আলোচনা কেন? এগুলি না ভেবে বিচার করলে সমাজে ভারসাম্য বজায় থাকবেনা।

সমাজ, রাস্ট্র, ইউনাইটেড নেশন ও তার সংগীরা পুরুষের সমস্যা নিয়ে কেন ভাবেনা, এর জবাবদিহি দরকার।


উপরের গ্রাফিক মডেলটিতে বলা হয়েছে, ১০ জনের ৮ জনকে মহিলা চিনত। বা চেনে। ধর্ষণ শব্দটি আমি আগেই বলেছি আখ্যাত হয় মহিলার কথায়। মহিলা যদি বলে জোর করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে করেছে ( বন্ধু, আত্মীয় বা স্বামী) তাহলেই সেটা ধর্ষণ। এসব ঘটনায় শারিরীক বা মানসিক কতটা ক্ষত সৃষ্টি হয়? বিবাহিত স্বামী আগের দিন সহবাস করল তার কোন ক্ষতি হয়নি, পরের দিন করল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কতটা ক্ষতি হল? বিচার্য বিষয়। বন্ধুর সাথে প্রেম করছে, শরীর নিয়ে খেলছে, স্বার্থে আঘাত লাগল, ধর্ষণের মামলা আনল। ধর্ষণের আগের সহবাস ও পরের সহবাসে কতটা পার্থক্য? যৌনমিলন বেশিরভাগ নির্জন স্থানে ঘটে। এক্ষেত্রে, মহিলা বা মেয়েটি সেই নির্জন জায়গায় কেন গেছিল তার জবাব নিশ্চয়ই দরকার।

হ্যা, হঠাৎ বাড়ী থেকে, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বল প্রয়োগ করল, সেখানে অবশ্যই  শারিরীক থেকে মানসিক ভয় উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 




গত কয়েকদশক ধরে ধর্ষণের বিচারে , রায় হল, মহিলারা মিথ্যা ধর্ষণের মামলা আনে। তাহলে দেখা যায়, প্রতিদিন যে ৯০ টা ধর্ষণের ঘটনার পরিসংখ্যন পাওয়া যায়, তা সর্বৈব মিথ্যা। যুক্তি তো তাই বলে। বাস্তবিক ধর্ষণ ২০টি ও হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে।

ভাল করে হিসাব করলে দেখা যাবে, ধর্ষণ শব্দটা যোনি ও যৌনাংগ জড়িত বলে লোকে ও মিডিয়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই চাটনির মত উপাদেয় বিষয়ের জন্য টাকা পায়, লেখার জন্য প্রচারের জন্য। টাকা বন্ধ হয়ে গেলে, ধর্ষণ প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বাস্তবে যতটুকু নয় তার বহুগুণ বেশি প্রচার। নারীর যোনি আছে এবং তারও যৌনমিলনের আকাঙ্খা আছে, ফলে যৌনমিলনের ঘটনা ঘটবেই। আর এসব গল্প বলতে ও শুনতে লোকের কেমন যেন রতিরসের মত ভাল লাগা আসে, যতই চাটে ততই ভাল লাগে।

গবেষণা পত্রগুলি বলেছে মহিলাদের প্রায় ৬০ ( কোথাও ৯০%)  শতাংশ, রেপ হচ্ছে এমন কল্পনা করে সুখ পায়। বাস্তবে ঘটলে, এস এই দায়িত্ব এড়িয়ে যায়, ফলে তার কাছে ধর্ষণের অভিযোগ প্রথম পছন্দ। এর পিছনে সামাজিক ভূমিকা রয়েছে।

মেয়েরা এমন ভাবতে ভালবাসে যে, তারা পুরুষের কাছে খুবই দামী, ও চাহিদা পূর্ণ।  পুরুষরা তাদের খুব করে চাইছে। এটা অনুভব করে মহিলারা খুবই আনন্দ পায় ও স্বাচ্ছন্দ পায়। কখনো তারা পুরুষের সামনে নগ্ন হতে ভীষন মন করে। কখনো আধিপত্য বিস্তার করা ও শক্তিশালী পুরুষ তাকে ধর্ষণ করতে আসছে সে একটু গর রাজী হয়ে বাধা দিয়ে তার কাছে নিজেকে সমর্পন করতে ভালবাসে।(. “In these fantasies, women typically are approached aggressively by a dominant and attractive male who is overcome with desire for her; she feels or expresses nonconsent and presents minimal resistance; he overpowers her and takes her sexually.” (Critelli & Bivona 2008)) ধর্ষণ হচ্ছে কল্পনা করে সুখী হয়। কিন্তু বাস্তবে চায়না, নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় বলে।

 ধর্ষণ মানেই ভূমিকম্প নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকের মৃত্যু নয়। কিংবা রাজনৈতিক রেষারেষির গণহত্যা নয়। পুরুষের রক্ত জল করা পরিশ্রমের টাকায় মহিলার লিপস্টিক কেনা নয়। সুতরাং এত হৈচৈ- ধর্ষণ সামনে রেখে কিছু লোকের স্বার্থ সিদ্ধি ছাড়া অন্যকিছু নয়। ধর্ষণকে ফাঁপিয়ে, খবর বিক্রী হয়, টিভিতে বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়, রাজনৈতিক নেতাদের লড়াই মাঠের বিষয় আসে। আর সাধারণ লোক যেন পর্ণোগ্রাফির মজা পায়।

মহিলারা ধর্ষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে দেখা যায় অভিযোগ পুলিশ নেয়না। বিশ্বাস করেনা। অথচ  ইউরোপ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় মহিলা ধর্ষককে জেলে পাঠানো হয়েছে অনেক। ভারত মূলতঃ অশিক্ষিত ও অচেতন নাগরিকের দেশ। পশ্চিমকে নকল করে চলতেও তার গড়ে ৭৫ বছর লেগে যায়। মানে পশ্চিম পূবের দেশগুলি থেকে গড়ে ৭৫ বছর এগিয়ে থাকে।




নারী পুরুষ বিশ্বাস করে, মহিলার আচরণ ও খোলামেলা পোশাক পুরুষকে ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়।


ক) মহিলারা নিজেদের প্রকাশ্যে উলংগ হয়ে পুরুষকে প্রলোভিত করাটাকে তাদের অধিকার মনে করে। তারা Free the nipple, Slut walk, ইত্যাদি হরেক আন্দোলন করে পুরুষকে উত্যক্তা করবে আর পুরুষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে।ভিক্টিম ব্লেমিং তো অবশ্যই আছে। যে মহিলাটি সহবাস করছে বিয়ে হবে বুঝে, এক বছর পর সে যখন ধর্ষণের অভিযোগ আনে তখন মহিলাটিকে বিচারের উর্ধ্বে রাখা অসম্ভব। এমন অনেক কিছু আছে। যে মহিলাটি পুরুষের সাথে ছিনালিপনা করল, বা খোলামেলা পোশাকে তার শরীর দেখাল তাকে তো অবশ্যই ধর্ষণের দায় নিতে হবে

খ) যখন টপলেস বলে মহিলারা ঊর্ধাংশ বস্ত্রহীন করে দেখায়, সমাজ কি করে তাদের উপেক্ষা করে। পশু হত্যা বন্ধের জন্য নগ্নতা ছাড়াও অনেক উপায় আছে। শিশুদের স্তন পান বলে মহিলাদের স্তন দেখানো অসভ্যতামো। লাখো নারী যুগ যুগ শিশুদের স্তন ঢেকে পান করিয়ে এসেছে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। আসলে এসবের পিছনে নারী ক্ষমতা কেনার অক্ষম  প্রচেষ্টা করে চলছে।

গ) মহিলা পন্ডিতরা, ও নানা বুদ্ধিমতীরা বহু সময় এটা বলে আসছে, যে ধর্ষণের জন্য বেঠিক কাপড় পরা দায়ী নয়।

 একটা বস্তু (টাকা পয়সা, হীরে জহরত) ব্যাগের/থলের ভেতর আছে। রাস্তায় ফেলে রাখুন। ভিখারী ও কাগজ কূড়ানি ছাড়া কেউ ধরবেনা। কারন কেউ ভেতরে কি আছে দেখতে পায়নি। ফলে আকর্ষণ নেই। একটা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর এক বান্ডিল টাকা রাখুন ও রাস্তায় ফেলে রাখুন দেখুন কতলোকের জটলা ও পুলিশের উপস্থিতি কত! নারীর শরীর পুরুষের মগজে না পৌছালে মহিলার পিছনে পুরুষ যাবে কেন?

 নীচে দুটি ছবির প্যানেল। একটি উদাহরণ হিসাবে প্রতিনিধিমূলক ভারতীয় নারী সংস্কৃতির  বর্তমান ৫ দশকের রূপ।

Sexual zone revealing dress

ভারতীয় চিরন্তন নারীর রূপ ও আধুনিক পশ্চিমী পোশাক

Modest attire for women


উপরে দুটি প্যানেলে দুরকম মহিলা পোশাক দেখানো হয়েছে। যৌন আমন্ত্রণী পোশাক উপরের প্যানেলে। যা পুরুষের মনকে কামোত্তেজনা সৃষ্টি করে। ও সভ্য সামাজিক পোশাক নীচের প্যানেলে যা দেখে স্বাভাবিক মানুষ মনে হয়। সুন্দর কুৎসিত বিচার দর্শকের চোখে। ধর্ষণ বা কামোত্তেজনা সৃষ্টি করে পুরুষের মন দূষিতকরণ একধরণের অপরাধ। ধর্ষণের মতই শাস্তি যোগ্য। নিজের ঘরের বাইরে নরনারীর পোষাক অবশ্যই পোষাকের মালিকের দায় যদি কোন ঘটনা ভালমন্দ ঘটে। যেমন আপনি গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পার পাননা। কিছুদিন আগে মিলিন্দসুমন, তার জন্মদিনে একটি নগ্ন ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিল। অশ্লীলতার দায়ে সাইবার ক্রাইম সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল।


মহিলা হলে আইন কিছু করতনা। কিন্তু পুরুষ হলেই শাস্তি। এটা কি পুরুষ বিদ্বেষ ভারতীয় আইন নয়?

পুরুষ তার মেধা দিয়ে ক্ষমতা কেনে, আর নারী ক্ষমতা চায় তার যোনি বা শরীর প্রদর্শনের মাধ্যমে। জঘন্য ভাবনা। একটা ছোট সংখ্যা মহিলাদের, যারা মনে করে তারা মানুষের মত বাঁচবে তারা মেধা বা গুণের চর্চা করে বেড়ে উঠে, তাদের শরীর প্রদর্শন করে রোজগার করে খেতে হয়না।

.৭। জৈবিক দিক থেকে নারীর যোনি থেকে পুরুষের মন সরানো ভয়ঙ্কর কঠিন কাজ। এ পশুদের মধ্যেও ধর্ষণ চলে।  আমাদের 'ডি এন এ' তে বা জিনে Hardwired হয়ে আছে। কারণ বিজ্ঞান বলছে বিবর্তনে, নানা চাহিদার কারণে যোনি ও পুরুষাংগের মিলন লক্ষ লক্ষ বছরের অভ্যাস। কোন সংস্কৃতি কিছুটা তারতম্য ঘটালেও এ মুছা যাবেনা। ফলে ধর্ষণের দায়ে একটি পুরুষকে কঠোর সাজা বা ফাঁসী দেওয়া অমানবিক।

প্রাণী জগতে ধর্ষণ বিদ্যমান ও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তাদের। মানুষের সাথে তাদের তুলনায় কিছু মাত্রা এদিক ওদিক। প্রাণি জগতে যৌনতার জন্য সন্তান হত্যা, প্রতিদ্বন্দী হত্যা ও অজাচার চলে। (Animals kill their own babies, gore rivals to death, and routinely commit incest. The difference between humans and animals is just a matter of degree. Rape occurs across the animal world from scorpionflies and garter snakes to ducks, geese, bottlenose dolphins, and primates.) 

“By rape, the victim is treated as a mere object of sexual gratification …without regard for the personal autonomy and control over what happens to his or her body…rape is one of the most repugnant affronts to human dignity and the range of dignity-related rights, such as security of the person and integrity of the person…”

African Commission on Human and Peoples' Rights: Communication 341/2007 – "Equality Now v Federal Republic of Ethiopia"

ধর্ষণ, ঘটুক সমাজে কেউ চায়না। কিন্তু ধর্ষণ হচ্ছে। আমার অনুসন্ধান এখানেই আপাততঃ পাঠকের ভাবনার জন্য রাখলাম।  অনেক বিষয় ধর্ষণের সাথে জড়িত। সবগুলি সমস্যার সমাধান চাই। শুধু পুরুষের উপর দোষ চাপিয়ে বেশিদিন রাখা যাবেনা। মহিলাদের এই দায়িত্ব নিতে হবে।

পুরুষ প্রলোভিত পোশাকে মহিলারা অন্য মহিলাদের ধর্ষণের শিকার বানানঃ একটা সমীক্ষা 'মহিলা সংস্কৃতি'

  আত্মজ উপাধ্যায়   ( ধর্ষণ সামাজিক অপরাধ, আরো অধিক অপরাধ তাদের যারা এই ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়। 'ধর্ষণ'- এ পুরুষ যতটুকু না দোষী, তার বহুগ...