Thursday, February 4, 2021

পুরুষ প্রলোভিত পোশাকে মহিলারা অন্য মহিলাদের ধর্ষণের শিকার বানানঃ একটা সমীক্ষা 'মহিলা সংস্কৃতি'

 আত্মজ উপাধ্যায়

 (ধর্ষণ সামাজিক অপরাধ, আরো অধিক অপরাধ তাদের যারা এই ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়। 'ধর্ষণ'- এ পুরুষ যতটুকু না দোষী, তার বহুগুণ দোষে মহিলারা দোষী। মহিলা সংস্কৃতি (আলাদা করে নামকরণ করলাম), স্থান-কাল-পাত্রপাত্রী, সমাজের ভূমিকা এবং  জিন-গত (নারী-পুরুষের) বিবর্তন। ধর্ষণের শিকর খুঁজতে গিয়ে আমি যেগুলি পেলাম তার উল্লেখ দিয়ে এই রচনা। আলাদা ভাবে সূত্র উল্লেখ করিনি, যেখানে সূত্র ব্যবহার করেছি হাইপার লিঙ্ক দিয়ে রেখেছি।- আত্মজ উপাধ্যায়)

The Rape of Proserpina by Gian Lorenzo Bernini, 1621–22, at the Galleria Borghese in Rome

যৌন উত্যক্তকরণ, যৌন আক্রমণ এসব সূচিত করে, কেউ এসবে উৎসাহী। উৎসাহের কারণও নিশ্চয়ই আছে। উৎসাহ না থাকলে কেউ খামোকা কোনকিছুর পিছনে ছুটেনা। সারা দুনিয়া জুড়ে সবকিছুর উপর ছাপিয়ে উঠে গেছে একটা শব্দ, 'ধর্ষণ'। পৃথিবীতে নরহত্যা হয় ধর্ষণের চেয়ে অনেক বেশি নারী হত্যা একদম কম। ধর্ষণ গোলমেলে শব্দ, বিচারক স্থির করে দেয় কোনটা 'ধর্ষণ'। কিন্তু 'নরহত্যা' ঘটে পরিষ্কার

পৃথিবীতে প্রায় প্রতি বছর ৫ লক্ষ নরহত্যা হয়, তার ৮১% পুরুষ হত্যা হয়। আপনি  বা রাস্ট্র, ইউনাইটেড নেশন ও তার সঙ্গীরা কখনো ধর্ষণের মত 'পুরুষ হত্যা', 'পুরুষ নির্যাতন' প্রচারের আলো ফেলে দেখেছেন? কোন বুদ্ধিজীবি, বা কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা কখনো তার খবর নেয়? নেয়না। এমনকি পুরুষ কমিশন কোথাও নেই। ইউনাইটেড নেশন মহিলা সংগঠন আছে (unwomen.org) পুরুষ সংগঠন নেই। তবে কি, পুরুষ মানুষ নয়? মনে রাখতে হবে, এই পৃথিবী পুরুষের নির্মাণ, পুরুষের মেধা, শ্রম ও ট্যাক্সের টাকায় চলে, যেকোন সময় বিদ্রোহ করে উঠার মত সময় এসেছে। তখন সামলানো দায় হয়ে উঠবে।

সূত্রঃ ইউনাইটেড নেশন


নানা তথ্য ঘেঁটে দেখলে ধর্ষণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া মুশকিল। কোথাও বর্ণনা করা হয় মহিলাদের সারা জীবনের নিরিখে, সেখানে বলা হয় ৩৫% মহিলা জীবনে কোননা কোন সময়ে যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছেন।  অধিকাংশ ঘটনা ঘতে ১৪ বছর থেকে ২৪ বছরের কিশোরী বা মহিলাদের উপর।

আপনি এই ধর্ষণকে কিভাবে দেখবেন? অধিকাংশ (৭৫%) ধর্ষকের বয়েস দেখা যায় ২১ থেকে ৩৫ বছর। এবং ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ধর্ষক পরিচিত মানুষ।

ভারতে প্রতিদিন ৯০ জন মহিলা যৌন আক্রমণের শিকার। কিন্তু ভারতে অন্যান্য অনেক রাস্ট্রের চেয়ে ধর্ষণ কম ঘটে।

এই ম্যাপ টা দেখেই বোঝা যায়  ভারতে প্রতি লক্ষে ২০ জন, যেখানে দক্ষিন আফ্রিকায় প্রতি লক্ষে ১৩৪জন যৌন আক্রমণের শিকার। বাকী গুলি উল্লেখ্যঃ South Africa (132.40),    Botswana (92.90),    Lesotho (82.70),    Swaziland (77.50),    Bermuda (67.30),    Sweden (63.50),    Suriname (45.20),    Costa Rica (36.70),    Nicaragua (31.60),    Grenada (30.60),  United States (27.3)। আরো জানতে এই লিংকে পড়ুন।

আমি এখানে অধিকাংশ ধর্ষকের ও ধর্ষিতার বয়েস ও সম্পর্ক দেখিয়েছি। ধর্ষণের পিছনে অনেক কারণের মধ্যে

১। মহিলার বিচার আগে। মহিলা যদি বলে আমাকে ধর্ষণ করেছে, তাহলেই অভিযোগ আনা যায়।মহিলা মিথ্যা বলেনি, এটা প্রমাণের আগে একজন পুরুষকে আইন দিয়ে হেনস্থা করা এটা  ঘোরতর অপরাধ আদালতের ও পুলিশের। বহু ঘটনা প্রমাণিত, আদালত পুরুষকে মিথ্যা শাস্তি দিয়েছে। এই ক্ষতি আদালত পূরণ করতে পারেনা।

 এটা মনে রাখা জরুরী, মহিলাদের প্রায় ১২ বছর বয়েসেই মাসিক স্রাব শুরু। এবং মহিলারা পুরুষের অনেক আগেই যৌন মিলন সম্পর্কে সচেতন হয় ও গ্রাম গঞ্জের অনেক মেয়েই বিয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে। যৌনমিলনের বাসনা জাগে। তারা রীতিমত তাদের কথাবার্তা বন্ধুবান্ধবীদের সাথে চলাফেরায় তা প্রকাশ করে। পুরুষ/ছেলেদের নজর কাড়ার জন্য নানারকম আচরণ প্রকাশ করে। স্রেফ সামাজিক নিয়ম ভয় পেয়ে মুখে অস্বীকার করে। দেখা যায় চটুল ইয়ার্কি থেকে শরীর ছোঁয়া, ও  যৌন মিলনে পরিণতি দেওয়া ইত্যাদি সবেতেই তাদের ভূমিকাইতিবাচক থাকে। ধরা পড়লে ছেলেদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া। এটা বিবাহিত ও বিবাহিত উভয় ক্ষেত্রেই ঘটে। সুতরাং মহিলারা যৌন সুখ চায়নি, এই ভাবনা অস্বীকার করা যায়না।

 ধর্ষণ ঘটলে, অর্থাৎ মহিলা অভিযোগ করলে, প্রথমেই মহিলার কথাকে শিরোধার্য  করে আইন মোতাবেক, ছেলেটির উপর পুলিশী জুলুম, ও হয়রানি শুরু হয়ে যায়।

এটা আইনের সবচেয়ে অসভ্যতম ও অকেজো দিক। বিচারের নামে আইন কাউকেই প্রমাণের বাইরে কোনরকম বেইজ্জতি করতে পারেনা। এই সমাজ চলে পুরুষের টাকায়, পুরুষের করের পয়সায়। আইনের চলার পথও পুরুষের টাকায়। সুতরাং পুরুষকে দানব করে দেখানো সমাজ ও আইনের একদম দুর্বল দিক। ধর্ষণ খুন নয়, তার বিচার করার যথেষ্ট সময় থাকে। কোন নিরীহ মানুষকে ক্ষতি করে দিলে আদালত তার ক্ষতি পূরণ করতে পারেনা। করেনা। সুতরাং আদালতের বা সমাজের কোন  ক্ষতি কারুর প্রতি করার অধিকার নেই।

২। দ্য সেভেন মিনিটস  (The Seven Minutes ) বলে একটি উপন্যাস ও সিনেমা আছে। আরভিং ওয়ালেস তার লেখক। (The Seven Minutes is a novel by Irving Wallace published in 1969 and released by Simon & Schuster. ) 

বইটাতে লেখক সুন্দর ভাবে পাঠককে সাহায্য করেছেন, বাস্তবতা কি উপলব্ধি করতে। ধর্ষণ হলে কি কি বিচার্য বিষয় অন্তত তা দেখানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পর্ণোগ্রাফির প্রভাব ও বাক স্বাধীনতা (the effects of pornography and the related arguments about freedom of speech) জেফরি গ্রিফিথ (Jeffrey Griffith) বলে একটি কলেজের ছাত্র  সেভেন মিনিটস বইটি পড়ার পর ধর্ষণ ও হত্যা করে একটি মেয়েকে। অভিযোগ উঠে। ছেলেটির এই যুবা বয়েস, ও আগে তার সম্পর্কে কোন অপরাধের নজির নেই। সে হঠাৎ যৌন লিপ্সায় মেতে উঠে ও একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। তারপর বই বিক্রেতা , প্রকাশক, রাজনীতি ইত্যাদি সবই গল্পে চলে আসে।

আমি কাহিনীতে বিশ্বাস করিনা, কিন্তু এটা বাস্তব, যৌনতা মাথা বা মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণে। মস্তিষ্ক আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের (5 senses of organs ) অধীন। আমাদের চোখের সামনে যা ঘটে, কানে যা শুনতে পাই, নিশ্বাসে আঘ্রাণ যা নিই, স্পর্শ করে যা ভাবি, জিহবায় স্বাদ যা লাগে তা আমাদের মনকে প্রলোভিত করে তুলে। এই প্রলোভনের মাত্রা এতটাই আমাদের সংস্কৃতি তা সংযম করতে ব্যর্থ।

ভারতীয় মহিলারা সমস্ত ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম, সিনেমা, টিভি, খবর, বিজ্ঞাপন - সকল মাধ্যমে রোজগারের উপায় শরীর দেখানো ও যৌনচটুলতায় বিশ্বাসী। ভারতীয় সংস্কৃতি মহিলা অপরাধী হলেও উপেক্ষা করে চলে ফলে, মহিলা অপরাধীর সংখ্যাও বেড়ে চলছে। ইউনাইটেড নেশন তার রিপোর্টে বলেছে ভারতীয় সিনেমা যোনি করণ হয়ে গেছে অত্যুধিক।



মহিলারা  টাকা রোজগারের লোভে এতটাই নগ্নতা সীমা ছাড়িয়ে এনেছে তাদের স্বাধীনতা দাবি করে, তার প্রভাব পুরুষের কাছে বিপজ্জনক। পুরুষকে যৌনসংগী খোঁজার জন্য কান্ডজ্ঞানহীন করে ফেলে। তখন সামনে যাকে পায়, মহিলা হলে, তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যেন কোন ঘোর লেগেছে। 



এখানে ফোর্বস থেকে ভিডিওর ছবির স্ক্রিনশট দিলাম। সাধারণ মানুষ নগ্নতা কে ধর্ষণের জন্য দায়ী করে।

ভারতের সংস্কৃতি একটা শ্রেণির জন্য দিনকে দিন ক্রমশঃ বিকৃত রুচীর হচ্ছে। কিছু শহরেরমানুষ নিয়ে ভারত নয়। ৭০ শতাংশ ভারতীয় নরনারীর কাছে যৌনতা নিষিদ্ধ বস্তু, লজ্জার জিনিস। সেখানে ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রীরা , মডেলরা সিনেমার বাইরেও নগ্ন ও আলিংগন, চুম্বন ইত্যাদি করে ও একটা অপসংস্কৃতি বানিয়ে তুলেছে।

ধূমপান যদি অধূম্পায়ীদের ক্ষতি করে, এবং ধূমপান যত্র তত্র করা যদি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে মহিলাদের নগ্নতা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা? একজন মহিলা একজন পুরুষকে প্ররোচিত ও প্রলোভিত করে ধর্ষক  হবার, প্রশাসন সেই মহিলাদের কেন জেল জরিমান করেনা? আইন তো আছেই,  অশিষ্টাচারের। ভারতীয় দন্ডবিধির ২৬৮ থেকে ২৯৪ এ অব্দি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, সম্ভ্রম, ও নৈতিকতা রক্ষার আইন রয়েছে।।


এবং অশিষ্টাচারের জন্য, বা মহিলা শরীর কামুক আগ্রহ প্রদানকারী শাস্তি বিধি আছে।

সিনেমা বা বিনোদনের মাধ্যমের মডেলরা যখন পাবলিক প্লেসে, কম্পিউটারে, মোবাইলে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে খাটো পোশাকে কোন যুবা পুরুষের মাথায় চলে আসে, তখন তার মনের পবিত্রতা নষ্ট হয়। সেই নষ্টের সাজা মহিলারা পায়না। আরো খারাপ লাগে যুবকটি যখন তার যৌন পিপাসা মেটাতে অন্য কোন নিরীহ মহিলার দিকে এগিয়ে যায় ও ঘোরের মধ্যে কোন খারাপ কিছু করে বসে।

নারী কমিশন ও প্রশাসন বুঝেও নীরব। শুধু ছেলেদের ফাঁসী ও খুন করে(এনকাউন্টার) শান্ত হয়।এর বিহিত না করলে সমাজ ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হবে।

সেভেন মিনিটস একটা অশ্লীল উপন্যাস সম্পর্কে একটি উপন্যাস। উপন্যাসের উপন্যাসটির নাম সেভেন মিনিটস। এটা লিখেছে একটি মহিলা পুরুষের নামে। দেখানো হয়েছে মহিলা কি করে যৌন সুখ পায়।

আর আমাদের বাস্তবে, উপন্যাস নয় স্বয়ং বাস্তবের মহিলারা বুক পেট, নাভি , উরু ইত্যাদি যৌনতার আর্তি দেখিয়ে যুবকদের যৌন আমন্ত্রণ জানিয়ে ধর্ষক বানাচ্ছে। এটা জরুরী ভিত্তিক বন্ধ করতে হবে।

.৩। ধর্ষণকে সোজা অর্থ করলে বলা যায়, নরনারীর যৌনমিলন যা অবৈধ । তার মানে যৌন মিলনের একটা বৈধ ব্যবস্থা আছে। এবং তা আদিম কাল থেকে। এটা হঠাৎ মহামারীর মত আবির্ভাব হয়নি। এটা আদিম কালেও ছিল। তখন বলা হতনা এখন বলা হয়। গত ৫ হাজার বছরের ইতিহাস দেখলেও ধর্ষণ সম্পর্কে গত শতাব্দী জুড়ে যে স্পর্শকাতরতা তৈরি হয়েছে তা ছিলনা। সংস্কৃতিতে চলছিল। আইন ছিল, শাস্তি ছিল, এত হৈচৈ ছিলনা। ক্রীতদাস প্রথার সময় মহিলাদের বা পুরুষদের মানুষই মনে করতনা ১৫০০ থেকে ১৯০০ সালের মাঝে ইউরোপ আমেরিকাতে অনেক মানবাধিকার লংঘন হয়েছে। তখনও তেমন হৈচৈ লক্ষ্য করা যায়নি যতটা আজকের দিনে দেখা যায়।

এই প্রসংগ তোলার পিছে আমি এটাই বলতে চাইছি যে ধর্ষণ যে ব্যক্তি করে, তার কাছে তৎক্ষণাৎ মনে হয়না সে কোন আর্থিক বা অন্য কোন লাভ হবে। সে তার জৈবিক চাহিদা, বা নারীর যোনিতে মিলনের যে সুখ তা পেতে চায়। যোনিতে মিলন সুখ নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া যায়, প্রেমিকার কাছ থেকে পাওয়া যায়, টাকার বিনিময়ে কোন কোন মহিলার কাছ থেকে পাওয়া যায়। সুতরাং সে ধর্ষণের দায় মাথায় নিয়ে , জেল আদালত হবে, এসব ভেবে করেনা। সে জানে যোনি কোন মহিলার হয়, আর তা মহিলা ইচ্ছা করলেই উভয়েই আনন্দ পায়।

 সুতরাং এটা সাংস্কৃতিক ধারা বাহিকতায় ছিল ও থাকবে। আপনি যখন বলবেন তখন এটাই ধর্ষণ নামে আখ্যাত হবে।

আমরা দেখেছি সমাজে, মহিলারা নানা স্বার্থসিদ্ধির জন্য পুরুষের সাথে চলে, সহবাস করে। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ধর্ষণের অভিযোগ আনে ও আদালত একজন নিরিহ মানুষকে কঠোর শাস্তি দেয়। মিথ্যা ধর্ষণের মামলা তো ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। পুরুষ জানেনা, তার যৌনমিলনের সুখ টি কখন ধর্ষণের দায় হয়ে তাকে জেলে নিয়ে যাবে। এমনকি তার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেও।ভাবুন  কেমন অসহায় আইন আদালত ও সমাজ পুরুষকে বানিয়েছে। অথচ পুরুষের টাকায় পুলিশ ও বিচারকের মাইনে হচ্ছে।

৪। প্রস্রাব, পায়খানার মতো যৌনাঙ্গের ডিম্বাণু বা শুক্রাণুর নির্গমণের পথ দেওয়া সমাজের কর্তব্য। শহরের রাস্তায়, প্রতিটা মোড়ে স্নান, প্রস্রাব ও পায়খানার ঘর আছে। যৌন কর্মের জন্য নেই। অথচ, এটা জৈবিক, এবং মগজ থেকে নিয়ন্ত্রিত। কোন মহিলার স্তন , উরু, পাছা, নাভি- তলপেট, যোনি, মুখ দেখলেই পুরুষের যৌনমিলনের ইচ্ছা পায়। একে নিন্দে করে, অপরাধী বানানো বড় অপরাধ। মহিলাদেরও অনেক ইচ্ছা হয় যখন দেখে অর্থবান, বীর্যবান, যশবান সুপুরুষ। অর্থ থাকলে কুশ্রী হলেও তাদের আপত্তি থাকেনা। কারণ মেয়েরা বিষয়ী ও বিলাসী।  তাদের মস্তিষ্ক আর পুরুষের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ আলাদা,  চরিত্র, কাজ কর্ম ভাবনা চিন্তা সবই আলাদা। মহিলারাও যৌন মিলন চায়, এবং  একই সময়ে অনেকের সাথে। এই তথ্যটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে মহিলাদের এমন ভাবে প্রকাশ করে যেন তারা যৌন মিলন একদম চায়না। মহিলারা সন্তান, স্বামী ও যৌন সুখ না চাইলে এত পরকীয়া ঘটনা এবং মহিলারা তাদের কমবয়েসী ছেলেদের প্রলোভিত করে যৌন কর্ম করতনা যাকে বলা হয় ধর্ষণ।

৫। সারা পৃথিবী জুড়ে নারীবাদীদের যৌনায়ন বা সেক্সুয়ালাইজেশান, মহিলারা পোশাকে আশাকে নিজেদের এমন পণ্য বস্তু বানিয়েছে, বা সারাদিন পুরুষের চোখে ও মস্তিষ্কে নারী শরীরের হাতছানি নানা মাধ্যমে- ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যম- বিজ্ঞাপন, বিনোদনের দুনিয়া ও শিল্প সংস্কৃতির নামে নিজেদের উলংগ করে প্রদর্শন করা- পুরুষকে যৌন প্রিয় ও আসক্ত করেছে।. বিজ্ঞাপন বা বিনোদন মাধ্যম ছাড়াও মহিলারা নগ্ন হতে চায়, তাদের শরীর প্রদর্শন করতে চায় জনসাধারণের মাঝে। এটা বন্ধ করতে হবে। যেমন বুক উন্মুক্ত করণ Free the nipple খোলাখুলি আলিংগন চুম্বন। বেশ্যা পদযাত্রা Slut walk ইত্যাদি।

মহিলারা একটা নিজস্ব সংস্কৃতি বানিয়েছে। সেই সংস্কৃতির নাম মহিলা সংস্কৃতি। মহিলাদের জীবন ধারণ, আচরণ প্রকৃতি, যৌন লিপ্সা, ইত্যাদি গত ১০০ বছরে নতুন করে বানিয়েছে। গত ১০০ বছরে পুরুষের প্রকৃতি তেমন কিছু পাল্টায়নি। ক) মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ পাল্টিয়েছে। খ) ক্ষমতায়নের জন্য নিজের শরীরকে অস্ত্র বানিয়েছে, শরীর সর্বস্ব করে প্রচারে মেতেছে। গ) পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে হেরে গিয়ে মিথ্যা- প্রতারণার আড়ালে লুকিয়েছে। সমস্ত ব্যর্থতা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের উপর চাপিয়েছে। 

বাস্তবিক হল, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ আছে বলেই তারাও এতটা ভাল ও সুখে আছে। রাজা একজন পুরুষ। ইতিহাসে আছে সে লড়াই করে ক্ষমতাবলে রাজা হয়েছে। মহিলা রাজাকে বিয়ে করে রাণি হয়ে গেছে অনায়াসে। এর চেয়ে সুখ মহিলাদের আর কেউ বা কোন তন্ত্র দিতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ। এই যে কোটা সংরক্ষণ, মহিলা ক্ষমতায়নের নানা সরকারি বেসরকারি প্রজেক্ট এগুলি কোনটাই নারী অর্জন করেনি। দান হিসাবে গ্রহণ করছে।

মেয়েরা পুরুষের সমকক্ষ কোনকালেই ছিলনা, আগামী কয়েকশ বছরেও পুরুষের সমকক্ষ হতে পারবেনা। এ নিয়ে বিজ্ঞান ও গবেষণাপত্র যথেষত আছে। একটা সূত্র হল ডাইমরফিজম  (Hominid sexual dimorphism) নারীপুরুষের লিংগ দুরকম নয় শুধু, তাদের সার্বিক গতিবিধিও বিবর্তন বৈষম্য করে রেখেছে। সেই বৈষম্য কোন সাংস্কৃতিক বিপ্লব বা অভ্যাস বিপ্লব এক করে দিতে পারবেনা।

 মহিলারা চিরকালেই যান্ত্রিক। রোবটের (Humanoid) বাইরে তাদের অস্তিত্ব প্রকাশ প্রায় অসম্ভব।  মহিলারা গত শতাব্দীর সমাজচিত্রে, সরকারি ও বেসরকারী ক্ষমতায়ন, সংরক্ষণের সুযোগে, স্কুল কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষের চেয়ে বেশি সংখ্যা অর্জন করেছে। পুরুষকে মেধা থাকা সত্বেও বঞ্চিত করে মেয়েরা পেয়েছে। আজও পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মহিলারা মিথ্যা প্রচারেও পুরুষের চেয়ে ক্ষমতাশালী বলে প্রচার পেয়েছে। তাতে বাস্তবিক মহিলাদের কি কোন ক্ষমতায়ন হয়েছে? না কোনকালে হবে? আমিও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।



মেয়েদের উন্নতি লাল রঙ দিয়ে দেখানো আর ছেলেদের নীল রংগে। দেখুন সূত্রঃ নেচার 

মেয়েরা ভাবে ও তাদের দর্শন এই, মেয়েরা কাপড় পরে শরীর ঢাকে এটা পিতৃতান্ত্রিক ফতোয়া। কিন্তু কাপড় পরা, বা লজ্জা নিবারণ সভ্যতার সূর্য উঠার অনেক আগে। শরীরের উন্মূক্ত আকৃতি নারী পুরুষের কামুক ভাবনার স্ফুলিংগ। পুরুষেরা অফিস আদালতে , জনসমাগম স্থানে সঠিকভাবে বস্ত্র পরে গলা থেকে পায়ের গোড়ালী ঢেকে রাখে। মহিলাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ও বনেদি পরিবার ছাড়া কেউ হলিউড বা বলিউডের মত শরীর দেখিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে শরীর বিক্রী করেনা। আর তারা আমাদের সমাজে মহিলাদের মধ্য উন্মুক্ত নাভি, স্তন, পাছা, উরু ইত্যাদি দেখানো প্রবণতা এনেছে। মা বাবারা, সন্তান বড় হয়ে গেলে এসব বলে ঘরে অশান্তি করতে চায়না। কিন্তু বিষয়টি লজ্জাকর।

কাউকে প্রভাবিত করতে মেধা লাগে, শরীর (মহিলাদের)  খুলে প্রভাবিত করা মন্দ পরিণতি আনে।পুরুষ শরীরের লোভে কোন মহিলার কাছে যায় সত্যি কথা কিন্তু মনে মনে মহিলারা নির্গুণকে ঘৃণা করে ও একসময় পরিত্যাগ করে। পরিত্যাগ না করতে পারলে, সারাজীবন তাকে মানুষ সম্মান দেয়না।

৬। ভিক্টিম ব্লেমিং তো অবশ্যই। 

আপনি দেখবেন, পৃথিবীতে মহিলা বিষয় নিয়ে চঞ্চল। মহিলা রেপ হয়েছে, মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, মহিলাকে ক্ষমতা দিতে হবে, মহিলাকে শিক্ষিত করতে হবে, পৃথিবীতা মহিলার বানাতে হবে। কেন? পুরুষরা কি মানুষ নয়?



পুরুষ মানুষের জীবন কি সুখে আহ্লাদে আটখানা? মহিলারা ধর্ষণ করেনা তাদের চেয়ে কম বয়েসী বা ১৮ বছরের কম ছেলেদের? মহিলারা কি পুরুষকে প্রতিদিন ঘরে নির্যাতন করেনা? মহিলাদের কি কাম বাসনা যৌন লিপ্সা ফান্টাসাইজ করেনা? মহিলারা কি পুরুষের মত মানুষ নয়? তাহলে মহিলা নিয়ে এত হাইপার বা অস্বাভাবিক আলোচনা কেন? এগুলি না ভেবে বিচার করলে সমাজে ভারসাম্য বজায় থাকবেনা।

সমাজ, রাস্ট্র, ইউনাইটেড নেশন ও তার সংগীরা পুরুষের সমস্যা নিয়ে কেন ভাবেনা, এর জবাবদিহি দরকার।


উপরের গ্রাফিক মডেলটিতে বলা হয়েছে, ১০ জনের ৮ জনকে মহিলা চিনত। বা চেনে। ধর্ষণ শব্দটি আমি আগেই বলেছি আখ্যাত হয় মহিলার কথায়। মহিলা যদি বলে জোর করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে করেছে ( বন্ধু, আত্মীয় বা স্বামী) তাহলেই সেটা ধর্ষণ। এসব ঘটনায় শারিরীক বা মানসিক কতটা ক্ষত সৃষ্টি হয়? বিবাহিত স্বামী আগের দিন সহবাস করল তার কোন ক্ষতি হয়নি, পরের দিন করল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কতটা ক্ষতি হল? বিচার্য বিষয়। বন্ধুর সাথে প্রেম করছে, শরীর নিয়ে খেলছে, স্বার্থে আঘাত লাগল, ধর্ষণের মামলা আনল। ধর্ষণের আগের সহবাস ও পরের সহবাসে কতটা পার্থক্য? যৌনমিলন বেশিরভাগ নির্জন স্থানে ঘটে। এক্ষেত্রে, মহিলা বা মেয়েটি সেই নির্জন জায়গায় কেন গেছিল তার জবাব নিশ্চয়ই দরকার।

হ্যা, হঠাৎ বাড়ী থেকে, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বল প্রয়োগ করল, সেখানে অবশ্যই  শারিরীক থেকে মানসিক ভয় উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 




গত কয়েকদশক ধরে ধর্ষণের বিচারে , রায় হল, মহিলারা মিথ্যা ধর্ষণের মামলা আনে। তাহলে দেখা যায়, প্রতিদিন যে ৯০ টা ধর্ষণের ঘটনার পরিসংখ্যন পাওয়া যায়, তা সর্বৈব মিথ্যা। যুক্তি তো তাই বলে। বাস্তবিক ধর্ষণ ২০টি ও হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে।

ভাল করে হিসাব করলে দেখা যাবে, ধর্ষণ শব্দটা যোনি ও যৌনাংগ জড়িত বলে লোকে ও মিডিয়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই চাটনির মত উপাদেয় বিষয়ের জন্য টাকা পায়, লেখার জন্য প্রচারের জন্য। টাকা বন্ধ হয়ে গেলে, ধর্ষণ প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বাস্তবে যতটুকু নয় তার বহুগুণ বেশি প্রচার। নারীর যোনি আছে এবং তারও যৌনমিলনের আকাঙ্খা আছে, ফলে যৌনমিলনের ঘটনা ঘটবেই। আর এসব গল্প বলতে ও শুনতে লোকের কেমন যেন রতিরসের মত ভাল লাগা আসে, যতই চাটে ততই ভাল লাগে।

গবেষণা পত্রগুলি বলেছে মহিলাদের প্রায় ৬০ ( কোথাও ৯০%)  শতাংশ, রেপ হচ্ছে এমন কল্পনা করে সুখ পায়। বাস্তবে ঘটলে, এস এই দায়িত্ব এড়িয়ে যায়, ফলে তার কাছে ধর্ষণের অভিযোগ প্রথম পছন্দ। এর পিছনে সামাজিক ভূমিকা রয়েছে।

মেয়েরা এমন ভাবতে ভালবাসে যে, তারা পুরুষের কাছে খুবই দামী, ও চাহিদা পূর্ণ।  পুরুষরা তাদের খুব করে চাইছে। এটা অনুভব করে মহিলারা খুবই আনন্দ পায় ও স্বাচ্ছন্দ পায়। কখনো তারা পুরুষের সামনে নগ্ন হতে ভীষন মন করে। কখনো আধিপত্য বিস্তার করা ও শক্তিশালী পুরুষ তাকে ধর্ষণ করতে আসছে সে একটু গর রাজী হয়ে বাধা দিয়ে তার কাছে নিজেকে সমর্পন করতে ভালবাসে।(. “In these fantasies, women typically are approached aggressively by a dominant and attractive male who is overcome with desire for her; she feels or expresses nonconsent and presents minimal resistance; he overpowers her and takes her sexually.” (Critelli & Bivona 2008)) ধর্ষণ হচ্ছে কল্পনা করে সুখী হয়। কিন্তু বাস্তবে চায়না, নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় বলে।

 ধর্ষণ মানেই ভূমিকম্প নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকের মৃত্যু নয়। কিংবা রাজনৈতিক রেষারেষির গণহত্যা নয়। পুরুষের রক্ত জল করা পরিশ্রমের টাকায় মহিলার লিপস্টিক কেনা নয়। সুতরাং এত হৈচৈ- ধর্ষণ সামনে রেখে কিছু লোকের স্বার্থ সিদ্ধি ছাড়া অন্যকিছু নয়। ধর্ষণকে ফাঁপিয়ে, খবর বিক্রী হয়, টিভিতে বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়, রাজনৈতিক নেতাদের লড়াই মাঠের বিষয় আসে। আর সাধারণ লোক যেন পর্ণোগ্রাফির মজা পায়।

মহিলারা ধর্ষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে দেখা যায় অভিযোগ পুলিশ নেয়না। বিশ্বাস করেনা। অথচ  ইউরোপ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় মহিলা ধর্ষককে জেলে পাঠানো হয়েছে অনেক। ভারত মূলতঃ অশিক্ষিত ও অচেতন নাগরিকের দেশ। পশ্চিমকে নকল করে চলতেও তার গড়ে ৭৫ বছর লেগে যায়। মানে পশ্চিম পূবের দেশগুলি থেকে গড়ে ৭৫ বছর এগিয়ে থাকে।




নারী পুরুষ বিশ্বাস করে, মহিলার আচরণ ও খোলামেলা পোশাক পুরুষকে ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়।


ক) মহিলারা নিজেদের প্রকাশ্যে উলংগ হয়ে পুরুষকে প্রলোভিত করাটাকে তাদের অধিকার মনে করে। তারা Free the nipple, Slut walk, ইত্যাদি হরেক আন্দোলন করে পুরুষকে উত্যক্তা করবে আর পুরুষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে।ভিক্টিম ব্লেমিং তো অবশ্যই আছে। যে মহিলাটি সহবাস করছে বিয়ে হবে বুঝে, এক বছর পর সে যখন ধর্ষণের অভিযোগ আনে তখন মহিলাটিকে বিচারের উর্ধ্বে রাখা অসম্ভব। এমন অনেক কিছু আছে। যে মহিলাটি পুরুষের সাথে ছিনালিপনা করল, বা খোলামেলা পোশাকে তার শরীর দেখাল তাকে তো অবশ্যই ধর্ষণের দায় নিতে হবে

খ) যখন টপলেস বলে মহিলারা ঊর্ধাংশ বস্ত্রহীন করে দেখায়, সমাজ কি করে তাদের উপেক্ষা করে। পশু হত্যা বন্ধের জন্য নগ্নতা ছাড়াও অনেক উপায় আছে। শিশুদের স্তন পান বলে মহিলাদের স্তন দেখানো অসভ্যতামো। লাখো নারী যুগ যুগ শিশুদের স্তন ঢেকে পান করিয়ে এসেছে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। আসলে এসবের পিছনে নারী ক্ষমতা কেনার অক্ষম  প্রচেষ্টা করে চলছে।

গ) মহিলা পন্ডিতরা, ও নানা বুদ্ধিমতীরা বহু সময় এটা বলে আসছে, যে ধর্ষণের জন্য বেঠিক কাপড় পরা দায়ী নয়।

 একটা বস্তু (টাকা পয়সা, হীরে জহরত) ব্যাগের/থলের ভেতর আছে। রাস্তায় ফেলে রাখুন। ভিখারী ও কাগজ কূড়ানি ছাড়া কেউ ধরবেনা। কারন কেউ ভেতরে কি আছে দেখতে পায়নি। ফলে আকর্ষণ নেই। একটা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর এক বান্ডিল টাকা রাখুন ও রাস্তায় ফেলে রাখুন দেখুন কতলোকের জটলা ও পুলিশের উপস্থিতি কত! নারীর শরীর পুরুষের মগজে না পৌছালে মহিলার পিছনে পুরুষ যাবে কেন?

 নীচে দুটি ছবির প্যানেল। একটি উদাহরণ হিসাবে প্রতিনিধিমূলক ভারতীয় নারী সংস্কৃতির  বর্তমান ৫ দশকের রূপ।

Sexual zone revealing dress

ভারতীয় চিরন্তন নারীর রূপ ও আধুনিক পশ্চিমী পোশাক

Modest attire for women


উপরে দুটি প্যানেলে দুরকম মহিলা পোশাক দেখানো হয়েছে। যৌন আমন্ত্রণী পোশাক উপরের প্যানেলে। যা পুরুষের মনকে কামোত্তেজনা সৃষ্টি করে। ও সভ্য সামাজিক পোশাক নীচের প্যানেলে যা দেখে স্বাভাবিক মানুষ মনে হয়। সুন্দর কুৎসিত বিচার দর্শকের চোখে। ধর্ষণ বা কামোত্তেজনা সৃষ্টি করে পুরুষের মন দূষিতকরণ একধরণের অপরাধ। ধর্ষণের মতই শাস্তি যোগ্য। নিজের ঘরের বাইরে নরনারীর পোষাক অবশ্যই পোষাকের মালিকের দায় যদি কোন ঘটনা ভালমন্দ ঘটে। যেমন আপনি গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পার পাননা। কিছুদিন আগে মিলিন্দসুমন, তার জন্মদিনে একটি নগ্ন ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিল। অশ্লীলতার দায়ে সাইবার ক্রাইম সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল।


মহিলা হলে আইন কিছু করতনা। কিন্তু পুরুষ হলেই শাস্তি। এটা কি পুরুষ বিদ্বেষ ভারতীয় আইন নয়?

পুরুষ তার মেধা দিয়ে ক্ষমতা কেনে, আর নারী ক্ষমতা চায় তার যোনি বা শরীর প্রদর্শনের মাধ্যমে। জঘন্য ভাবনা। একটা ছোট সংখ্যা মহিলাদের, যারা মনে করে তারা মানুষের মত বাঁচবে তারা মেধা বা গুণের চর্চা করে বেড়ে উঠে, তাদের শরীর প্রদর্শন করে রোজগার করে খেতে হয়না।

.৭। জৈবিক দিক থেকে নারীর যোনি থেকে পুরুষের মন সরানো ভয়ঙ্কর কঠিন কাজ। এ পশুদের মধ্যেও ধর্ষণ চলে।  আমাদের 'ডি এন এ' তে বা জিনে Hardwired হয়ে আছে। কারণ বিজ্ঞান বলছে বিবর্তনে, নানা চাহিদার কারণে যোনি ও পুরুষাংগের মিলন লক্ষ লক্ষ বছরের অভ্যাস। কোন সংস্কৃতি কিছুটা তারতম্য ঘটালেও এ মুছা যাবেনা। ফলে ধর্ষণের দায়ে একটি পুরুষকে কঠোর সাজা বা ফাঁসী দেওয়া অমানবিক।

প্রাণী জগতে ধর্ষণ বিদ্যমান ও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তাদের। মানুষের সাথে তাদের তুলনায় কিছু মাত্রা এদিক ওদিক। প্রাণি জগতে যৌনতার জন্য সন্তান হত্যা, প্রতিদ্বন্দী হত্যা ও অজাচার চলে। (Animals kill their own babies, gore rivals to death, and routinely commit incest. The difference between humans and animals is just a matter of degree. Rape occurs across the animal world from scorpionflies and garter snakes to ducks, geese, bottlenose dolphins, and primates.) 

“By rape, the victim is treated as a mere object of sexual gratification …without regard for the personal autonomy and control over what happens to his or her body…rape is one of the most repugnant affronts to human dignity and the range of dignity-related rights, such as security of the person and integrity of the person…”

African Commission on Human and Peoples' Rights: Communication 341/2007 – "Equality Now v Federal Republic of Ethiopia"

ধর্ষণ, ঘটুক সমাজে কেউ চায়না। কিন্তু ধর্ষণ হচ্ছে। আমার অনুসন্ধান এখানেই আপাততঃ পাঠকের ভাবনার জন্য রাখলাম।  অনেক বিষয় ধর্ষণের সাথে জড়িত। সবগুলি সমস্যার সমাধান চাই। শুধু পুরুষের উপর দোষ চাপিয়ে বেশিদিন রাখা যাবেনা। মহিলাদের এই দায়িত্ব নিতে হবে।

Wednesday, January 13, 2021

আলো ও অন্ধকার- মাঝখানে প্রচার

 আলো ও অন্ধকার- মাঝখানে প্রচার - আত্মজ উপাধ্যায়

 সারা পৃথিবী এখন (২০২০) নষ্ট রাজনীতির খেলনা হয়ে গেছে। গত ২০০ বছরের ইতিহাস যেভাবে গড়ে উঠেছে, তাতে সত্যের মাটি নাগাল পাওয়া খুবই সমস্যার। প্রচার দুনিয়া এমন জট পাকিয়ে রেখেছে। সারা পৃথিবীতে মানুষ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য খল চরিত্রের মুখোশ পড়েছে। কেউই আর সততার জামা পড়তে চাইছেনা। স্বার্থসিদ্ধি যখন মূল কথা তখন যুদ্ধ প্রেম ও সমাজ কোন নীতির ধার ধারেনা। অসংখ্য শ্রেণিতে বিভক্ত সমাজ। রাজনীতি মূলতঃ capitalism ও communism এ বিভক্ত। দুটোই আগ্রাসন নীতির দ্বারা পরিচালিত। দুটোই গণহত্যাকারী। দুটোরই কাজ এক, উদ্দেশ্য এক। এরা ক্ষমতা দখল করতে চায়, নিজেদের- স্বজনদের অসীম নিরাপত্তা সহ ভোগ দিতে চায়, সাধারণ মানুষের রক্ত ও ঘামের দামে। কেউ চায়না, সবাই - অন্ততঃ এই গ্রহের বৃহত্তর সংখ্যা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকুক। খাওয়া- পড়া- বাঁচা- কাজ- আশ্রয়- ইত্যাদি সমান বন্টন হোক।

 ক্যাপিটালিস্টদের (সাম্রাজ্যবাদীদের) সবচেয়ে খারাপ দিক হল তারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে ভুলপথে চালিত করে। আর কমিউনিস্টদের খারাপ দিক হল তারা সর্বহারা ও শ্রমজীবিদের ব্যবহার করে রাজনীতি করে। আর এই দুটোই লোকের কাছে পৌছাবার যানবাহন হল প্রচার মাধ্যমখবর, সোস্যাল মিডিয়া, সাংস্কৃতিক প্রকাশনা। ক্রমাগত কতগুলি আধা-সত্য বলে মিথ্যা মেশাতে থাকে। প্রলোভন, উত্তেজনা, ভয় ইত্যাদি ব্যবহার করে যন্ত্রের মত।

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে কম্যুনিস্টদের হঠাৎ প্রকাশ। মানুষের সমাজে সাম্যতা আনবে; এমন শ্লোগান তুলে, সর্বহারা ও শ্রমজীবিদের প্রলোভন দেখাল, তারা সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থায় সমান বন্টন আনবে, সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে নিরাপত্তা পেয়ে সুখে থাকবে।একবিংশ শতাব্দীতে, ১০০ বছর পরে, তাদের মুখোশ খুলে গেল। দেখা গেল তারা সাম্রাজ্যবাদী ক্যাপিটালিস্টদের চেয়ে অধিক জহ্লাদের ভূমিকা নিয়েছে। চীন বাদে সারা পৃথিবী থেকে কম্যুনিস্ট মুছে গেছে। আর চীনকে কম্যুনিস্ট বলা যাবেনা, এও আরেক রকম সাম্রাজ্যবাদী, নিজের দেশের অশান্তি প্রকাশ না করার জন্য খবরের মুখে লাগাম দিয়ে নাগরিক নিপীড়ন চালাচ্ছে। একনায়কত্ব, কর্তৃত্ববাদী রাস্ট্র। 

যতগুলি কম্যুনিস্ট নেতা, সারা বিশ্বে জেগে উঠেছিল, দেখা গেল তারা প্রত্যেকেই কুবেরের সম্পদ পেয়েছে, বিলাস ব্যসনের সীমাহীন প্রাচুর্যতা পেয়েছে। নারী ও শ্রমজীবি মানুষকে শৃঙ্খলে বেঁধে এক চেটিয়া শোষণ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যারা গেছে তাদের খুন করে দিয়েছে।

চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের উপর প্রচার মাধ্যমকে কাজে লাগিয়েছিল। যেমনঃ

ভাড়া সংগ্রহের উঠানঃ চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ভাস্কর্য।

১৯৬৫ সালে (চীনের বিপ্লব বা ২য়গৃহযুদ্ধ হয়েছিল ১৯৪৫ সালে) বিখ্যাত প্রলেতারেত সাংস্কৃতিক বিপ্লব কে সামনে রেখে সিচুয়ান আকাডেমি অব ফাইন আর্টসের ঈয় ইয়ুশান (Ye Yushan of the Sichuan Academy of Fine Arts) এর নেতৃত্বে আঠারোজন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দ্বারা ১১৪টি মাটির ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছিল। একদম মানুষের উচ্চতায় ভীষণ বাস্তবিক ঢংয়ে। জমিদারের উৎপীড়ন বনাম অসহায় চাষাদের দুর্দ্দদশাকে মূল উপজীবিকা করে। নীচের আলোকচিত্রগুলি তারই নমূনা।

এই ছবি সারা বাঙ্গলা নয়, সারা পৃথিবীতে, শিল্প নয় মানুষের জীবন; কত অসহায় হতে পারে বা চাষারা কি করতে পারে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ ভাস্কর্যকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কাজে লাগান হয়েছিল।যার নাম ছিল মহান সর্বহারা সংস্কৃতি বিপ্লব।

 

ভাড়া সংগ্রহ আদালত ভাস্কর্য - সামন্তবাদী নিপীড়ন থেকে চীনে কমিউনিস্ট বিপ্লব পর্যন্ত। ভাড়া সংগ্রহ আদালত. ১১৪টি মানুষের মত -আকারের ভাস্কর্য সিচুয়ান প্রদেশের  দায়ি জেলার (Dayi County, Sichuan) গ্রামের জমিদার লিউ ওয়েঞ্চাই (Liu Wencai) এর পুরাণো বাড়ির উঠানে স্থাপন করা আছে। এগুলি তৈরি করেছেন  ইয়ে ইউশান(Ye Yushan) এবং সিচুয়ান এবং ফাইন আর্টস সিচুয়ান একাডেমির (Sichuan Academy of Fine Arts) ভাস্করদের একটি দল।১৯৬৫ সালে।. এটি সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদী  একটি বিখ্যাত ভাস্কর্য; যেখানে দেখানো হচ্ছে  দুষ্ট জমিদার দরিদ্র কৃষকদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে। এটি সংস্কৃতি বিপ্লবের অন্যতম শক্তিশালী কাজ।  প্রচারের কাজ হিসাবে আরও শক্তিশালী করে এগুলির নকল বানানো আছে বেইজিংয়ে এগুলি প্রচারের ভাস্কর্য হিসাবে খুবই শক্তিশালী।

১৯৯৯ সালের ভেনিস বিয়েনলে, সমসাময়িক চীনা শিল্পী Cai Guo-Qiang ভেনিসে 'ভাড়া সংগ্রহের উঠান' ভাস্কর্যগুলির উল্লেখ করেছিলেন যেখানে তিনি ভাস্কর্যটি পুনর্নির্মাণের জন্য কিছু শিল্পী ভাড়া করেছিলেন।

সবগুলিই  সিরামিক ভাস্কর্য রয়েছে যা আখ্যানের ধারায় সাজানো হয়েছে, সিচুয়ানার  কৃষকদের বাস্তব জীবনে বাড়িওয়ালা লিউ ওয়েন-সাইয়ের দাসত্ব কেমন নিষ্ঠুর ছিল। লিউর বিশাল ম্যানর-হাউজের প্রকৃত ভাড়া সংগ্রহের উঠোনে প্রাথমিকভাবে প্রদর্শিত,  ভাস্কর্যগুলিতে দেখানো হয়েছে, লিউর হাতে কৃষকদের  নির্মম দারিদ্র্য ও নির্মম কষ্ট। এবং কীভাবে তারা শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দাড়াবার শক্তি পেয়েছিল। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় ভাস্কর্যগুলি চীন ভ্রমণ করেছিল এবং এটি অনুমান করা হয় যে এগুলি ২ কোটিরও বেশি লোক দেখেছিল।


























 

 

 

Sunday, January 10, 2021

মুনুষ্য প্রজাতির দুই রকমের গঠন, চরিত্র, মানসিকতাঃ দ্বিরুপ (dimorphism) নরনারী অসমান

আত্মজ উপাধ্যায়

গ্রাম, এক সরল জীবন ও শান্ত পরিবেশ

নরনারীর দেহ, মন, জীবনযাপন, কাজ করার ক্ষমতা ইত্যাদি সম্পূর্ণ আলাদা। এ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান হাজার বার প্রমাণ করে দিয়েছে। এ নিয়ে প্রচুর সাহিত্য সারা পৃথিবীতে আছে। এই হিসাবে নরনারী মানুষের গর্ভে জন্মালেও তাদের স্বতন্ত্র চরিত্র ও জীবনা আধার। তারা কেউ কারুর মত নয়। ক্ষানিকটা সাদৃশ্য পাওয়া গেলেই সমান দাবি করা যায়না। বা একই কাজ করতে পারলে সমান বলা যায়না। তাহলে রোবট, পশুপাখীও মানুষের সমান মর্যাদা প্রাপ্য। বা দুজনে একসাথে কাজ করলেই সমান ভাবা যায়না। নরনারী দুজন একসাথে কাজ করলেই সমান ভাবা যায়না। বাস্তবিক তারা সমানও নয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তাই সমর্থন করছে।



ক্ষেতে লাংগল মানুষ ও পশু দেয়। আপনি কি পশুকে মানুষের সমান ফসলের ভাগীদার মনে করেন?
গতর বড় থাকলেও আপনি ক্যাপ্টেন বা নেতা হতে পারেননা। শাসক হতে পারেননা। শাসক হতে গেলে আপনার দরকার বুদ্ধি ও সার্থকতার চাবি যা দিয়ে আপনি সকল জীবকে চালিত করেন। সমাজকে অধিক স্বাচ্ছন্দ দেন। মালিক ও কর্মচারী কোন কাজ একসাথে করে, মালিকের সমান লাভ কি কর্মচারী পায়?


মহিলারা একই প্রজাতি- অর্থাৎ মানুষ; কিন্তু দেহ-মন ও মেধার দিক থেকে দ্বিরুপের কারণে, মহিলারা পুরুষের চেয়ে অধস্তন (inferior)। এই সত্য কেউ উল্টাতে পারবেনা। 



কোন কাজ করতে শক্তি লাগে। মহিলারা কোনদিন পুরুষের সাথে শক্তিতে পারবেনা।  এখানে পুরুষের কাছে তাকে সমর্পন করেই চলতে হবে। এবং যেভাবে এতকাল পেরিয়ে এসেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিমান লিংগ  পুরুষ। পুরুষ তার  Deadlift ক্যাটাগরিতে (category) : 901 pounds ৪০৮ কেজি) তুলতে পারে। যেখানে মহিলারা একই ক্যাটাগরিতে 529 pounds (২৩৯কেজি) সবচেয়ে বেশি হলে তুলতে পারে। ফারাকটা কাছাকাছি নয়। বিশাল।শুধু এই ক্যাটাগরি বলে নয়, যেকোন দিকেই, মহিলারা পুরুষের বাহুর শাসনের কাছে  তুচ্ছ। 


Edward "Ed" Ignatius Coan deadlifted 901 pounds।  Tara Webber deadlifted 529 pounds

শুধু শক্তি নয়; যে কোন  বিষয় ঘরের বাইরে করতে হয়, তার ৯০ ভাগ পুরুষ করে। কিছু কিছু  ক্ষেত্রে পুরুষের সহযোগী হয়ে সাহায্য করতে পারে। যেমন ধরুন একটা পুলিস চোরের পিছনে ছুটবে, এই ক্ষেত্রে মহিলা দৌড়ে গিয়ে চোর ধরবে আশা করবেননা। কেননা তিনি কোনকালেই পারবেননা। তাকে বলতে হবে, চোর লকয়াপে lockup আছে, আপনি তালা চাবি হাতে এখানে দাঁড়িয়ে থাকুন, পাহাড়া দিন। মহিলা পুলিসে গিয়ে এই ধরণের কাজ করতে পারবেন। কিংবা একজন মহিলা অপরাধী ধরা পড়েছে তাকে বডি সার্চ করুন, বা উত্তম মধ্যম দিয়ে কথা বার করুন। পুরুষ পুলিস পেটালে নাগরিকদের সমস্যা হয়ে যাবে। নারীবাদীরা বুক খোলে, উলংগ হয়ে প্রতিবাদ করবে। অশালীন আচরণ করবে।সরকার ও আইন তাদের হাতে, রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা দাঙ্গা বাধাবে।

 ধরুন, দমকলের ডাক পড়েছে, কোথাও আগুন লেগেছে।অতি ক্ষিপ্রতায়, দৌড়ে আগুন নেভাবার কাজে লাগতে হবে। এসব ক্ষেত্রে মহিলারা নড়তে চড়তেই সময় লেগে যাবে।

অলিম্পিকে সবচেয়ে দ্রুতধাবমান পুরুষ। ১০০ মিটার ছুটতে মহিলারা ১মিনিট পুরুষের পিছনে থাকে।আরো বেশি দূর দৌড়াতে হলে অনেক পিছিয়ে পড়বে।

এই যে পিছিয়ে পড়া, তা মহিলাদের জন্মগত ব্যাপার। তারা পুরুষের কাজে আসার জন্য শারিরীক মানসিক তৈরি হয়নি। তারা তাদের (মহিলাদের) জগতে তাদের শারীরিক  গঠনে যা সহজ, মানসিকতায় গ্রহণ করতে পারে সেখানেই ঠিক আছে।

সৌজন্যেঃ উইকিপিডিয়া

এই দুটো তো উদাহরণ দেখালাম। ঘরের বাইরে সব কিছুতেই মহিলারা পিছিয়ে ও পুরুষের সমকক্ষ নয়। কোনমতেই। তাছাড়া, বাস্তবিক পক্ষে, মহিলারা পুরুষের মত কাজ করার বাসনাও রাখেনা। তারা  সেই পুরাকাল থেকে ঘরের প্রাথমিক কাজ গুলি করতে ভালবাসে। যেমন ঘরদোর পরিস্কার করা, বাচ্চাদের লালন করা, রান্না করা পুরুষের সাথে ছিনাল্পনামি করা (flirt), পুরুষের অঙ্কশায়িনী হওয়া ও সেবা করা ইত্যাদি। এছাড়া, নাচ, গান, ঝগড়া, অনর্গল গল্প করা, নিজেকে সাজিয়ে তোলা, আকর্ষনীয়া বানানো ইত্যাদিতে  সময় দিতে ভালবাসে।

মানুষের কাজ কর্ম, অনেকটা নির্ভর করে তাদের শারিরীক শক্তি ও তাদের চলাফেরার ক্ষিপ্রতার উপর। এছাড়া  নির্ভর করে কাজের দক্ষতা ও মেধার ক্ষমতা।

মহিলাদের মাথার খুলি পুরুষের চেয়ে ছোট। বিজ্ঞানীরা বলেছে,  মানুষ প্রজাতিতে যাদের মাথার খুলি ছোট তাদের মেধা কম হয়। ফলে দেখা যায়, ইতিহাসে, পুরুষ বিজ্ঞানী , আবিস্কারক, শাসক  ৯০ শতাংশের উপর।

নারী পুরুষের মস্তিষ্ক একেবারেই আলাদা। ফলে দুজনের মূল্যবোধ আলাদা। দুজনের সত্যমিথ্যার/ ভালো মন্দের বিচার আলাদা। পুরুষের মস্তিষ্কের আকৃতি অনেক বড়, মহিলাদের ছোট। এটা নারী পুরুষের খুলি দেখলেই বোঝা যায়।স্বাস্থ্যগত কারণেও এটা উভয়পক্ষের জেনে রাখা জরুরী। এছাড়া মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থ ও মস্তিষ্কের ধরণ (grey matter and brain patterns ) বেশ আলাদা।


 দক্ষতা হল রিহার্সাল, যার যত রিহার্সাল হবে, মানে শিক্ষা হবে, তথ্য জানবে, অভ্যাস হবে, সে তত বেশি কাজে সার্থক হবে। কাজ করার বেলায় শাস্রিরীক  সুবিধা অনেকটা সাহায্য দায়ক। যেমন মহিলারা খাটো হয় বলে তারা শিশুদের লালন করতে অধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করে। পুরুষেরা অধিক লম্বা বলে তারা ছুটতে, বা কিছু নির্মাণ করতে- যেমন ঘর নির্মাণ- অধিক স্বচ্ছন্দে করে।

 এগুলি সবই ডাইমরফিজম বা প্রজাতির মধ্যেকার দ্বিরুপতা দায়ী।

রোজি দ্য রিভেটার, এই প্রতীকচিহ্নটি আসলে ভূয়ো, মহিলারা পুরুষের বিরুদ্ধে ঝগড়া করতে গিয়ে হাতের সামনে যা পায় তা দিয়েই নিজেদের সেরা বোঝাতে  ব্যর্থ চেষ্টা করে। 

রোজি দ্য রিভেটার (Rosie the Riveter),দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মহিলা প্রতিরক্ষা কর্মীদের সাথে যুক্ত প্রচার প্রতিকী-প্রতিমা (media icon)। ১৯৪০ সালের পর থেকে রোজি দ্য রিভেটার  মহিলা কর্মীদের শক্তি এবং মহিলাদের স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে প্রচার পেয়েছিল।১৯৪২ এর শুরুতে, যুদ্ধের জন্য আমেরিকার প্রচুর ছেলে/ পুরুষ যুদ্ধে নাম লিখিয়েছিল। ফলে কারখানা গুলি চালিয়ে যাবার মত মানুষের অভাব হয়েছিল। সেই সময় সরকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছিল, মহিলারা কারখানার কাজ গুলি চালিয়ে যাবার জন্য। এরকমই বিজ্ঞাপনের একটা পোস্টার ছিল, রোজি দ্য রিভেটার। মানে রোজি নামে একটি মহিলা কারখানায়  ধাতব বস্তুর উপর রিভেট বসানোর কাজ করছিল। এবং সে এই কাজ করতে পারে। পোস্টারটা মহিলাদের উৎসাহ দেবার জন্য ব্যবহার করেছিল। মহিলারা যদি সব পারত, তাহলে তারা যুদ্ধে বন্দুক কাঁধে লড়াইয়ে নামত। রিভেট মারার মত ফালতু কাজে বা অগুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতনা।

১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে জেরাল্ডাইন ডয়েল Geraldine Doyle বুঝতে পারেননি যে তিনি  একটি ম্যাগাজিনে তার নিজের ছবি দেখছেন। সেখানে 'রোজি দ্য রিভেটার'  Rosie the Riveter, এর ছবি ছাপা হয়েছিল। তিনি এই ছবি তোলার জন্য কখনোই নিজের হাতের মাংসপেশী ফুলাননি। তার বয়েস তখন ১৭ বছর, ১৯৪২ সালে, মিশিগান ধাতব স্ট্যাম্পিং কারখানায় Michigan metal-stamping factory তিনি কাজ করছিলেন। এক সাংবাদিক ছবিটা তুলেছিল। একজন চিত্রকর্‌ জে হাওয়ার্ড মিলার J. Howard Miller, সেই ছবিটা দেখে সরকারের কমিশন করা একটা পোস্টার বানিয়েছিলেন ( used Doyle’s image as a model for the now-iconic “We Can Do It!” poster,), আর সেই পোস্টার নারীবাদী মহিলারা দখল করে নিয়েছেন ।
 ঘটনার , মানে ছবি তোলার দ' সপ্তাহ পরে , জেরাল্ডাইন ডয়েল কাজ টি ছেড়ে চলে যান, কারণ তিনি ঐ কাজে চোট পেয়েছিলেন, আর তার আশঙ্কা হচ্ছিল চোটের জন্য তিনি বাজনা বাজাতে পারবেননা।

পোস্টারটা ততদিন অবদি জনপ্রিয় হয়নি, ১৯৮০ সালে ডয়েল ম্যাগাজিনে তার ছবি চিনতে পারেন। আর ততদিনে নতুন প্রজন্মের মেয়েরা পুরাণো মহিলা ক্ষমতায়নের পোস্টার ব্যবহার করছিলেন।

 যুদ্ধের সময়, মহিলাদের কর্মী বাহিনীতে যোগদানের জন্য উত্সাহ দেওয়া হচ্ছিল,এরকম একটা শর্তাধীনে যে, সৈন্যরা ফিরে আসার সাথে সাথে তারা তাদের পদ ত্যাগ করবে । এটা তাদের দায়িত্ব ছিল।  কিছু মহিলা এই শর্তের বিপক্ষে বিতর্ক জুড়লেও বুঝেছিল , এবং হতাশ হয়েছিল এই ভেবে যে এটা একটা সাময়িক মেয়াদী কাজ । এর পরবর্তীকালের নারীবাদীরা রোজীকে পূর্বের মহিলাদের সম্পর্কে কিছু না জেনেই,যাদের কাজ সামাজিক এক গুরুতর দায়িত্বের জন্য এসেছিল তাদের সম্পর্কে না জেনে বাণিজ্যিক টোটেম হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন।

কিন্তু প্রচারের দুনিয়াতে, মহিলারা এটাকেই তাদের লড়াই করার হাতিয়ার ভেবেছে। রিভেট মারা আর একটা যন্ত্র পুরো বানানো, বা তার নক্সা বানানো এক নয়। মহিলারা রিভেট মারা অব্দি করতে পারবে, এর বেশি করার যোগ্যতা নেই। যেটা ছেলেদের থাকে।




মহিলারা একচেটিয়া প্রচার চালাচ্ছে, আর সরকার তাদের সমর্থন দিচ্ছে তারা নাকি পুরুষের সমান বা  পুরুষের মত কাজ করতে পারে, ফলে তারা পুরুষের সমান টাকা মাইনে চায়। তারা এই কথা বলেনা, আমাদের মাইনে বাড়াও।

আচ্ছা, মাইনে কি এইভাবে দেওয়া হয়, রাম কেন বেশি পেল, আমি কেন কম পেলাম? সবাই জানে কাজের নানা পরিপ্রেক্ষিত থাকে, সেই অনুযায়ী মাইনে বা মজুরী দেওয়া হয়। মহিলারা আবার এখানে তর্ক করবেন যে একই কাজের জন্য মহিলারা কম পান। আসলে মহিলারা এরকম কিছু দ্বিমূখী কথা বলে প্রচার চালিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চান।

এগুলি একধরণেররাজনীতি। খল রাজনীতি। অন্যকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করার কৌশল। একই কাজ দুটি পুরুষ মানুষকে দিলেও কি একই ফলাফল আসে নাকি? প্রতিটা ব্যক্তি যন্ত্র বা রোবট নন যে একই ফল উৎপাদন করবেন, আলাদা আলাদা মানুষের বোধ বুদ্ধি আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা থেকে হয়। এখানে নারী পুরুষ বলে লিংগ বৈষম্য নেই। যার যেখানে কাজের  নিরিখে সাফল্য আসে, সেখানে তার মূল্য। প্রসংগত বলে রাখা ভাল, পুরুষের কাজে পুরুষরাই যোগ্য হয়, খানিক তারতম্য ঘটলেও, কাজটি সুসম্পন্ন হয়। যেমন মহিলাদের কাজ মহিলারাই সুসম্পন্ন করে। ভারতে, মহিলারা পুরুষের চেয়ে বেশি রাজ করছে। তারা শুধু টাকাই চায়, কাজের  দক্ষতা কত, এটা পুনরায় বিবেচনা করা দরকার। বা প্রতি বছর তাদের কাজের সমীক্ষা হওয়া দরকার। দক্ষতা ও উন্নতি হলে আরো বেশি মাইনে হবে। উলটো হলে নীচে নামিয়ে দেবে।  ১৩৫ কোটি ভারত বাসীর কর্মস্থল কিন্তু অধিকাংশই ছোটখাট কারখানা ও ব্যবসা। সেখানে মালিক কারুর মুখ দেখে পয়সা দেয়না। 

ভারতের পুরুষদের দুর্ভাগ্য, তারা যোগ্য হয়েও মহিলা সংরক্ষণের কাছে হেরে যায়। এ কতবড় অবিচার ও অন্যায় তা বিচার করার মত ক্ষমতা ভারতের বিচার ব্যবস্থায় নেই। অযোগ্য মহিলাকে কাজ দিয়ে কাজের মূল্যায়ন খারাপ হচ্ছে, এ নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করেনা।

এটা একেবারে মূর্খামী। রাস্ট্রপতি, প্রধান মন্ত্রী, শিল্পপতি, কর্পোরেট হাউসের উচ্চপদস্থ অফিসার তাদের মাইনে কি সমান? নানা পরিপ্রেক্ষিত আছে, নানা শ্রেণি আছে। সরকারি রাস্ট্রপতি থেকে বেসরকারি কোম্পানীর অনেক বেশি মাইনে। আমরা জানি নারী পুরুষ যে যার যতখানি মেরিট, যোগ্যতা, দক্ষতা ও শ্রম দেবার ক্ষমতা তার উপর দাঁড়িয়ে মজুরী ভাবা হয়। টাকা পয়সা জলে ভেসে আসেনা, ফলে কোম্পানী দান ছত্র খুলে রাখেনি, মহিলাদের দুর্বল মনে করে কোম্পানীর ক্ষতি করে মহিলাদের অযোগ্যতায়ও বেশি মাইনে দেবে। এটা ভন্ড রাজনীতিক ও রাস্ট্রের সরকার করতে পারে। 


যারা যোগ্যই নয় পুরুষের কাছে, তাদের জন্য ৩৩% চাকরি। দেশে ভন্ডামি ও অধঃপতন বাড়বে না কমবে?




ভারত বর্ষ এমন এক রাস্ট্র, যেখানে ভন্ডামী বেশি চলে, এবং ভোটে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী হয় অধিকাংশ অপরাধীরা। এখানে যোগ্যতার দাম নেই, আছে অযোগ্যতার দাম। এখানে সংরক্ষণ করে পরিচালকের আসন তৈরি হয়। ফলে দেশের উন্নতি ধ্বংস হচ্ছে। দেশ পিছিয়ে পড়ছে।

প্রয়োজন হল, মহিলারা যে সব কাজে পারদর্শী, তাদের সহজাত, অনায়াসে করতে পারে সেসব দিকে প্রশাসনের নজর দিয়ে তাদের জীবন উন্নত করা। পুরুষের জগতে এসে, কাজ করা মানে ১) পুরুষকে তার জায়গা থেকে বঞ্চিত করা ও ২) কাজের গুণ খারাপ করা।

দেখতে হবে বাস্তবিক নরনারীর জৈবিক বিজ্ঞান কি বলে। পিটিয়ে নারীকে পুরুষ বানানো বা  পুরুষকে পিটিয়ে নারী বানানো মহা সামাজিক অপরাধ। যতদিন রাজনৈতিক ভন্ডামী উচ্ছেদ না হবে, সম্ভবত, সমাজ দিন দিন অধঃপতনেই যাবে।


কর্মক্ষেত্রগুলি তৈরি করেছে পুরুষ। অধিকাংশই বেসরকারি। মহিলারা কিছু কর্মক্ষেত্র তৈরি করুক ও সেখানে মহিলা কর্মচারী রাখুক। নারী স্বাধীনতার ১০০ বছর পরও মহিলারা এমন করে কাঁদে কেন?

১৯২০ সালের ভোটের অধিকার পাওয়ার পর থেকে আমেরিকায় পৃথিবীর সবচেয়ে   বেশি স্বাধীনতা নারী পেয়েছে , কর্ম ক্ষত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে শুধু নারী মুখ। বিজ্ঞাপন টিভি, সিনেমাতে মহিলারা এতই স্বাধীনতা পেয়েছে তারা প্রায় উলংগ হয়ে দর্শক কেনার ক্ষমতা অর্জন করেছে। আজ নারী স্বাধীনতার ১০০ বছর পরও আমেরিকার রাস্ট্রপতি একজনও মহিলা হতে পেরেছে? সম্ভবত কমলা হারিস ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন। প্রেসিডেন্ট নন।

 এছাড়াও পৃথিবীতে ১৯৫ টি রাস্ট্র আছে, তার মধ্য গত ১০০ বছরের ইতিহাসে ক'জন মহিলা শাসকের পদমর্যাদায় এসেছে?পুরুষের তুলনায় তাদের অনুপাত কত?

কেন হয়নি? মহিলা ভোটার সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি পেয়েও। 

পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে "In 2016, 63% of women who were eligible to vote said they cast ballots in the presidential election, compared with 59% of men."

তাহলে ভাবুন, আমেরিকাতে মহিলারাজ চলছে। আর এদের মধ্যে মহিলা রাস্ট্রপতি পদে অনেকেই দাড়িয়েছিল, (Victoria Woodhull, March 1873,  Lucretia Coffin Mott,1848, Margaret Chase Smith, 1964, Charlene Mitchell,1968, Shirley Chisholm, 1972, Tonie Nathan-1972, Lenora Fulani-1988,  Hillary Clinton-2008,  Cynthia McKinney -2008, Shirley Chisholm (in 1972), Carol Moseley Braun (in 2004), and  Michele Bachmann (in 2012) and Carly Fiorina (in 2016))

 মহিলারাও জানে, তাদের অক্ষমতা।

প্রজাতিদের মধ্যেকার যে পার্থক্যঃ দেহের উপর বা বাইরের আকৃতি, দেহের ভিতরকার সংগঠন, ও দেহের আভ্যন্তরীন কাজ করার ক্ষমতা- হরমোন নিঃসরণ থেকে রক্তের শ্বেতকণিকা, লোহিত কণিকা সংখ্যা, হাড়ের গঠন। জন্মের পর থেকে এই  দ্বিরুপের কারণ নরনারীর বেড়ে উঠা সবই বিশাল পার্থক্য সৃষ্টি করে।

ছোট বেলা থেকেই আগ্রাসী কাজ - শক্ত কাজ, জীবন ঝুঁকি কাজ, পরিবারের বোঝা তোলার কাজ, হেরে বা হতাশ হলে, বঞ্চিত হলে না কান্নার সাহস, ইত্যাদি ছেলেদেরই শেখানো হয়।
আর পুতুল খেলা রান্নাবাটি ও যত্ন আত্তি নেওয়া, বায়না ও কান্না (ছিঁচকাঁদুনি) ভয় পাওয়া, শরীর ঢেকে লজ্জা পাওয়া, পুরুষের কাছে আত্মসমর্পন, বিছানা করে দেওয়া,  ইত্যাদি মেয়েদের শেখানো হয়।
কারণ মা বাবা জানে, মেয়ে র শক্তি cছেলের শক্তির চেয়ে অনেক কম। মেয়েদের রক্ষা ছেলেদের করতে হয়, মেয়েরা নিজের রক্ষা করতে পারেনা। এখানে লিংগ বৈষম্য কাজ করেনি। বাবা মা ছেলে মেয়ের যোগ্যতা অনুযায়ী লালন করে বড় করে তোলে।

একটা মেয়ে বসে প্রস্রাব করে, এটাই তার  কাছে স্বাচ্ছন্দ। ছেলেরা দাঁড়িয়ে নিজেকে উপশম করে। ফলে দুজনের পোশাক পরা দুই রকমের। এই দুই রকমের পোশাক  কাজের কায়দা কানুন পালটে দেয়। যেমন ধরুন একটা ছেলে তার পোশাকে যত গতি নিয়ে দৌড়াবে, একটা মেয়ে কি তার পোশাকে তত গতি নিয়ে দৌড়াতে পারবে? কখনোই নয়। তা হলে নারী পুরুষ কাজেতে সমান নয়।
একজন হিসাব রক্ষক অফিসে বসে যেভাবে কাজ করে, বুদ্ধি খেলায়, একজন মহিলারা কোনমতেই সম্ভব নয় পুরুষের সাথে সমান কাজ করার।
সূত্রঃ

গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে নরনারীর মস্তিষ্কের গঠন এমন দৃঢ় ও নিশ্চিতকরণে তৈরি,মানে কোন বিশেষ কাজের জন্য তৈরি তা আর নাড়ানো যাবেনা (hardwired)।  ফলে মস্তিষ্ক থেকে বোঝা যায়, দুই ভিন্ন লিঙ্গের মধ্যে শারীরিক পার্থক্য কি ও তারা কি কি করতে সক্ষম। পুরুষরা পেশী নিয়ন্ত্রণের সাথে জড়িত এবং কোন বিষয় বস্তুর সামগ্রিক উপলব্ধিতে  সক্ষম (men are in general better at spatial tasks involving muscle control)।আর মহিলারা খুব কথা বলতে এবং স্মৃতিচারণায় এবং অন্তর্জ্ঞানে কোন কিছু বুঝে নেওয়াতে সক্ষম ( women are better at verbal tasks involving memory and intuition)।

Inferior parietal lobule  মুখের উদ্দীপনা অনুভূতির উপলব্ধিতে,সংবেদনশীল তথ্য ব্যাখ্যা, ইত্যাদিতে জড়িত।এছাড়া ভাষা, গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ এবং শরীরের চিত্রের সাথে সম্পর্কিত, বিশেষত সুপ্রামারজিনাল জাইরাস (supramarginal gyrus )এবং কৌণিক জাইরাসের (angular gyrus) সাথে সম্পর্কিত।
পুরুষ কাজে বিশ্বাসী, কাজ করেই খুশি, 
নারী কথায় বিশ্বাসী, অনর্গল কথা বলে সুখী।

দেহ আকৃতির পার্থক্য ছাড়া মস্তিষ্কের পার্থক্য  নরনারীকে আলাদা করে দিয়েছে। এই মস্তিষ্কের পার্থক্যের জন্য নরনারীর  সমান বলে গণ্য হবেনা।



নরনারী র মস্তিষ্কের চিত্র দুটি দেখুন । দুজনের  দুরকম।

সংযোগ-ভিত্তিক বিশ্লেষণ Connection-wise analysis.।
(ক) মস্তিষ্কের জাল Brain networks  দেখানো হচ্ছে, পুরুষদের (উপরের ছবি) এবং মহিলা (নীচের ছবি) মধ্যে সংযোগ ক্রমবৃদ্ধি করে।
ইন্ট্রাহেমিস্ফিয়ারিক Intrahemispheric সংযোগ নীল রঙে এবং আন্তঃহেমিস্ফিয়ারিক  interhemispheric সংযোগ কমলা রঙে দেখানো হয়েছে।।The depicted edges are those that survived permutation testing at P=0.05. Node color representations are as follows: light blue, frontal; cyan, temporal; green, parietal; red, occipital; white, subcortical. GM, gray matter 
নরনারীর মস্তিষ্কের গঠনে পার্থক্য

এমআরআই ( MRI) গুলির বিষয় বিশ্লেষণ করে, ছড়িয়ে পড়া অনেক ছবি (diffusion imaging) ব্যবহার করে,বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের ফাইবারের পথগুলি( fiber pathways,)অনুসন্ধান করে দেখেছেন,  অ্যাক্সনগুলির * axons  বান্ডিলগুলি যা মনের এক অংশ থেকে অন্য অংশে তথ্যপ্রকাশের প্রধান সড়ক হিসাবে কাজ করে।


"পুরুষ" এবং "মহিলা" দের অনেক ছবি তুলে গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে পুরুষদের মধ্যে, প্রতিটি গোলার্ধের মধ্যে ফাইবারের পথগুলি সামনে পিছনে চলে (fiber pathways run back and forth within each hemisphere), মহিলাদের মধ্যে ফাইবারের পথগুলি দুইপাশে, ডান ও বাম গোলার্ধ অতিক্রম করে, বাম, বা "যৌক্তিক," এবং ডান, বা মস্তিষ্কের "সৃজনশীল" গোলার্ধের  মধ্যে কেটে কেটে চলে।( in women they tend to zig-zag between the left, or “logical,” and right, or “creative,” sides of the brain).

*অ্যাক্সনগুলির * axons মানেঃ
স্নায়ুকোষের লম্বা সুতোর মতো যে অঙ্গের মাধ্যমে কোষ থেকে স্পন্দন পরিবাহিত হয়

 পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজির সহযোগী অধ্যাপক এবং এই প্রতিবেদনের (Sex differences in the structural connectome of the human brain) অন্যতম লেখক রাগিনী ভার্মা বলেছেন (-Madhura Ingalhalikar, Alex Smith, Drew Parker, Theodore D. Satterthwaite, Mark A. Elliott, Kosha Ruparel, Hakon Hakonarson, Raquel E. Gur, Ruben C. Gur, and Ragini Verma. Proceedings of the National Academy of Sciences.USA. January 14, 2014 -- Edited by Charles Gross, Princeton University, Princeton, NJ,), মহিলা মস্তিষ্কে, তাদের যৌক্তিক (logical part) এবং স্বজ্ঞাত (intuitive part) অংশগুলির মধ্যে বেশি শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে,ফলে, "যখন মহিলাদের বিশেষ করে কঠোর কাজ করতে বলা হয়, তখন তাদের মস্তিষ্কের খুব আলাদা বা ভিন্ন অংশের সাথে ব্যস্ত হয়ে যায়" কিন্তু "পুরুষেরা মস্তিষ্কের কেবলমাত্র একটি অংশকে অতিরিক্ত ব্যস্ত করতে পারে।" 
উদাহরণস্বরূপ, বলা যায় যে পুরুষরা সমস্যাগুলি দেখে এবং সরাসরি তাদের সমাধান করে দিতে পারে, কারণ তাদের মস্তিষ্কের "উপলব্ধি"“perception”  এবং "ক্রিয়া"“action” অঞ্চলের মধ্যে দৃড় সংযোগ রয়েছে। অন্যদিকে মহিলারা কোনও সমস্যা সমাধানের সময় যুক্তি (logic) এবং স্বজ্ঞাত (intuition*) বিষয়গুলি ( যুক্তি বা প্রমাণ ছাড়াই কিছু জেনে বা বোঝার ধীশক্তি।) সংমিশ্রণ করার চেষ্টা চালায়।।

সম্ভবত, পুরুষের দুটি গোলার্ধে অ্যাক্সনগুলির ছোটাছুটি করতে হয়না বলে তারা অনায়াসেই কাজ সম্পাদন করে। এবং ভাবেনা অন্যকেউ করতে পারেনি তাদের সময় বাজে যাচ্ছে।

 বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য বেশি হয়না।

 গবেষকরা দেখেছেন, পুরুষের শরীর বড়, মগজও বড় মহিলাদের তুলনায়।
মহিলাদের এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের (estrogen and progesterone)মাত্রা এর কারণ,  জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণও তাদের এইসবের মাত্রা পরিবর্তন করে দেয়।

মাইগ্রেন(মাথার একপাশের  ত্বকের এবং মস্তিষ্কের কিছু ধমনীর প্রচন্ড যন্ত্রনা) কেবল মহিলাদেরকে  ঘন ঘন আঘাত করে না, তারা তাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশেও প্রভাব ফেলে।
এটি মোটামুটি সুপরিচিত পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি মাইগ্রেনে ভোগেন। চারজন মাইগ্রেনের আক্রান্ত মানুষের মধ্যে তিনজনই নারী। প্রতি চার জন মহিলার মধ্যে একজন মাইগ্রেন রোগী। গবেষণা অনুসারে, যদিও, এটি যৌনতায় প্রভাবিত নয়।
মহিলাদের মাইগ্রেনের লক্ষণ মূলত পুরুষদের থেকে পৃথক।একজন মহিলা মাইগ্রেনারের মস্তিষ্ক পুরুষ মাইগ্রেনারের মস্তিষ্কের তুলনায় এতটাই অন্যরকম দেখায়।

* The faculty of knowing or understanding something without reasoning or proof.

স্পষ্টতই, প্রতিটি ব্যক্তির শেখার, চিন্তাভাবনা এবং প্রক্রিয়াকরণের তথ্যগুলির সম্পূর্ণ আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। যাইহোক, কিছু নিদর্শনগুলি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে - বিশেষত দুটি লিংগের মধ্যে।
 
সাধারণভাবে, মহিলাদের বাম মস্তিষ্ক হয় left-brained-। - তাদের মধ্যে প্রচুর কথা বলার প্রবণতা থাকে।এবং কোনকিছু পদ্ধতিগতভাবে  methodically শেখে।  মানসিক গণিতে ভাল। এছাড়াও, মহিলারা কোন কাজ সঠিক ও  নির্ভুলভাবে সম্পাদন করে। 

অন্যদিকে পুরুষরা প্রায়শই ডান মস্তিষ্কে্র হয়।তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ, কোন ভাবনাকে সুন্দর করে দেখা বোঝা, এবং কোন  কিছুকে উপলব্ধি করা, তদুপরি, পুরুষরা গাণিতিক যুক্তি ভাল বুঝতে পারে (good at targeting, visualizing ideas, and spatial perception. Furthermore, men have good mathematical reasoning.)।

সাধারণ পার্থক্যগুলি

পুরুষ মস্তিষ্ক মহিলা মস্তিষ্কের তুলনায় ১০ শতাংশ বড় হলেও এটি  নরনারীর বুদ্ধিমত্তাকে প্রভাবিত করে না। আকারের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, পুরুষদের এবং মহিলাদের মস্তিষ্কের তুলনায় সাদৃশ্য আছে। একটি ক্ষেত্রের মধ্যে যা তারা পৃথক হয় তা হ'ল  inferior parietal lobule,  যা পুরুষদের মধ্যে অনেক বড় হয়।। মস্তিষ্কের এই অংশটি গাণিতিক সমস্যা, সময় নির্ধারণ এবং গতির বিচারের জন্য কাজ করে (This part of the brain is linked with mathematical problems, estimating time and judging speed.)। 




সেক্স বা যৌনতা মগজে থাকে , কিন্তু কোথায়? 
মস্তিস্কে যৌনতা কোথায়? আপনার যৌন কেন্দ্রটি হাইপোথ্যালামাসে (hypothalamus )অবস্থিত যা মস্তিষ্কের এমন একটি অংশ আবেগ, হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপকে (emotions, heart rate and blood pressure) নিয়ন্ত্রণ করে। এটি প্রায় এক চেরির আকার এবং ওজন প্রায় 4.5 গ্রাম (cherry and weighs around 4.5 grams) এবং হাইপোথ্যালামাস পুরুষদের বড় হয় তুলনায় মহিলা, সমকামী এবং ট্রান্সসেক্সুয়ালসদের ছোট হয়, এই হাইপোথালামাসেই হরমোনগুলি, বিশেষত টেস্টোস্টেরন (testosterone) যৌনতার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে। ফলে নরনারীর যৌনতাও ভিন্ন রকমের হয়। সেই ভিন্নতার সাথে বর্তমান সমাজের যৌন অপরাধ বলে যা চিহ্নিত হয়, তা ঘটে।

মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি টেস্টোস্টেরন এবং বৃহত্তর হাইপোথ্যালামাস রয়েছে ফলে, পুরুষের যৌনচারণের ক্ষমতা (male sex drive )এত শক্তিশালী ও বেশি, এটা স্পষ্ট। এই কারণেই পুরুষরা যেকোন সময় এবং প্রায় যেকোনও স্থানে যৌন সঙ্গম করতে পারে। তাদের ইচ্ছা জাগে। পুরুষেরা বহু প্রজন্ম ধরে উৎসাহ পেয়েছে "আগাছা চাষ"( *'sow their oats) করার। এবং  মহিলাদেরকে সমাজ যৌন সক্রিয় থাকতে বারণ করেছে, যৌনতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য সর্বদা পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে নানা ধ্যান ধারণা জন্মেছে।

বুঝতে হবে, শরীর যেভাবে কথা বলে, মানুষ নিমিত্ত মাত্র, সেইভাবে চলতে না দেওয়া, একপ্রকার অবিচার। বাঁদরের লেজ সুন্দর নয় বলে আপনি বাঁদরের লেজ কেটে দিতে পারেননা।পুরুষদের থেকে যৌনতা বিচ্ছিন্ন করার নয়।
--------------------💬-----------------------
 

'sow their oats' প্রকৃত পক্ষে বাংলা করলে দাঁড়ায় "আগাছা চাষ করা"। কিন্তু এই ইডিওম বা বাক্যাংশের ইংরেজি ইতিহাস আছে।
কাউকে sow one's (wild) oats সংজ্ঞা
কিশোর থেকে তরুণ বয়সে সময়টায় ছেলেরা পরিণতি জানেনা কোন কাজের, তারা বহু মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই অপরিণিত মনের কাজের জন্য তাদের অনেক দুঃখ আসে, আক্ষেপ হয় জীবনে। শুধু বিবাহিত জীবনে নয় আরো নানা ভাবে।
etymonline.com এর সূত্র অনুযায়ী, 
বন্য ওটস,মানে একরকম আগাছার ফসল যা দেখতে ওটের (scientifically as Avena sativa) মতই,  প্রথমে ১৫৬০ সালে ভাল শস্যের পরিবর্তে এগুলি বপন করার বোকামির প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছিল।কারু মতে ১৫৪২ সালে এইবাক্যাংশের ব্যবহার হয়েছিল প্রথম। খাদ্য শষ্যের সাথে  এরকম আগাছা র শষ্য পৃথক করা খুব কঠিন ফলে আক্ষেপ করতে হয়। এই বাক্যাংশটি কি করে প্রবাদের মত হয়ে উঠল, বা কবে থেকে তা জানা মুশকিল।বর্তমানে এর অর্থ হল যুবসমাজের (একজন কিশোর-তরুণ পুরুষের পক্ষে)  পরিণত চিন্তা ভাবনা ছাড়া যতটা সম্ভব মহিলার সাথে সহবাস করে আনন্দ স্ফুর্তি করতে চাওয়া।।যা আক্ষেপ করার মত।কারণ যৌনসহবাসে সন্তান এসে গেলে সমস্যা অনেক।
-----------------------------------------------------------------------------------✋

কেন পুরুষরা নিজেদের  যৌনতা থেকে সামলে রাখতে পারে না?

পুরুষদের উৎসাহী এবং প্ররোচিত/তাড়িত যৌনচারণার একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। এটি বিবর্তনের লক্ষ লক্ষ বছরের ফসল। যেমনটি যেকোন স্তন্যপায়ী জীবের আছে। - প্রজাতি চায় তার বংশ ধারা অব্যাহত থাকুক, এবং সবচেয়ে জরুরী তার কাছে এই উদ্দেশ্যটি।
এবং বেশিরভাগ পুরুষ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো, এই বংশধারা নিশ্চিত করতে গিয়ে,সেখানে সাফল্যতা আনার জন্য তাকে বেশ কয়েকটি উপাদান নিয়ে বিকাশ (he had to evolve)করতে হয়েছিল। প্রথমত, তার যৌনচারণায় নিবিড়ভাবে মনোনিবেশ করতে হয়েছিল এবং সহজেই যাতে মনোযোগ না ভাঙ্গে ( Firstly, his sex drive had to be intensely focused and not easily distracted.)। এই প্রক্রিয়াটি সে এমন ভাবে গড়ে ছিল যেকোন অবস্থায় যাতে সে যৌন চারণা করতে পারে। যেমন সম্ভাব্য কোন ভয়/হুমকী/ শত্রুদের উপস্থিতিতে, বা যে কোনও জায়গায়  যৌনচারণার সুযোগ উপস্থাপিত হলে সে অনায়াসে করতে পারে।
শিকারি বা শত্রুদের দ্বারা যাতে ধরা পড়তে না পারার জন্য একজন পুরুষ  স্বল্পতম সময়ে ও যেকোন স্থানে যত দ্রুত সম্ভব নারীর যোনিতে বীর্যপাত করা সম্ভব সে ব্যবস্থা করেছিল।। তাঁর বীজ/বীর্য যতদূর সম্ভব ও যতবার সম্ভব ছড়িয়ে দেওয়া দরকার  মনে করেছিল।

 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিনসে ইনস্টিটিউট, মানব লিঙ্গের গবেষণার বিশ্বজ্ঞানীরা (The Kinsey Institute in the US, world leaders in human sex research, ) জানিয়েছেন যে,  সমাজের সামাজিক বিধিবিহীন,তারা বিশ্বাস করে যে সমস্ত পুরুষ সমাজের ৮০%বহুগামী। বহু মহিলারা সাথে যৌন সম্পর্ক করে।এবং এটাই সহজাত বিবর্তনের ফল। সমাজে বিয়ে একজনের মধ্যেই সীমিত রাখার ফলে,পুরুষের প্রতি সঠিক আচরণ প্রতিফলিত হলনা। যৌন অপরাধের সৃষ্টি হল।

সূত্রঃ https://nguyenthanhmy.com/courses/2013/WhyMen.pdf 

ডাঃ লুয়ান ব্রিজেন্ডাইন, জন্ম: ৩০ শে ডিসেম্বর, ১৯৫২ (Dr. Louann Brizendine) একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী, নিউরোসাইকিয়াট্রিস্ট  a neuropsychiatrist যিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ফ্রান্সিসকো (University of California, San Francisco (UCSF)) এর একজন গবেষক এবং ক্লিনিশিয়ান (clinician) এবং অধ্যাপক উভয়ই। তিনি দুটি বইয়ের লেখক: দ্য ফিমেল ব্রেন এবং দ্য মেল ব্রেন ( The Female Brain, and The Male Brain ২০১০ সালে প্রকাশিত)। মস্তিষ্ক এবং মানুষের আচরণের উপর প্রজনন হরমোনের প্রভাব নিয়ে  তার গবেষণা।

তিনি দেখেছেন কীভাবে জীবনের প্রতিটি পর্বে, "পুরুষ বাস্তবতা" মহিলাদের থেকে মৌলিকভাবে আলাদা। পুরুষ মনোবিজ্ঞান এবং স্নায়ুবিদ্যার সর্বশেষ যুগান্তকারীগুলি অন্বেষণ করে তিনি প্রকাশ করেছেন যে পুরুষ মস্তিষ্ক: 

- হালকা বা পাতলা, মাঝারি, সমস্যা সমাধানের মেশিন(is a lean, mean, problem-solving machine )।  ব্যক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি, সমাধান খুঁজে বের করতে  তার বিশ্লেষণাত্মক মস্তিষ্কের কাঠামোগুলি ব্যবহার করে, তার আবেগ বা সংবেদনশীলতা দিয়ে নয়।

-প্রতিযোগিতা করে বেড়ে উঠে, সহজাতভাবে কঠিন ভাবে দেখায় নিজেকে, পদ মর্যাদা এবং শ্রেণিবিন্যাসে আধিপত্য বিস্তারে আচ্ছন্ন থাকে(obsessed with rank and hierarchy)।

- যৌন  সংগমের জন্য সবসময় ছোটে, মস্তিষ্কের যৌন সংগমের এলাকাটা মহিলা মস্তিষ্কের তুলনায় আড়াই গুণ (2.5 গুণ) বড়, যা পুরুষকে মহিলা দেহের অঙ্গগুলি নিয়ে সদা যৌন কল্পনা দিয়ে গ্রাস করে রাখে।

- বয়ঃসন্ধিতে টেস্টোস্টেরনের বিশাল বৃদ্ধিকে  উপভোগ করে,ফলে সে অন্যের মুখকে আরও আক্রমণাত্মক বলে মনে করে।

 
লেখিকা তার দ্য ফিমেল ব্রেন বইয়ে একটা উল্লেখযোগ্য কথা  বলেছেন, মহিলারা অত্যুধিক কথা বলেন, প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার শব্দ যেখানে পুরুষ রা ৫ থেকে ৭ হাজার বলে। যেটা তাদের ব্রেণ বা মস্তিষ্কের ফসল। 




১৯৬০ (?) সালের পর থেকে, নারীবাদের ২য় তরংগ থেকে, আজ প্রায় ৬০ বছর পেরিয়ে এসেছি, এটা ২০২১ সাল; স্ত্রীতন্ত্র, ইংরেজী শব্দ Feminisation, সমাজের প্রতিটি স্তরে চুপিসারে প্রবেশ করেছে, যে আজ পুরুষকে মেয়েদের মানসিকতা নিয়ে থাকতে হচ্ছে ফলে নানা রকম ব্যর্থতা ও ভন্ডামী সমাজকে পংগু করে দিচ্ছে।
 একটা ছোট উদাহরণ দিয়ে এই অধ্যায় এখানেই শেষ করব।

বলা হচ্ছে মহিলারা বিয়ের পর, বিনে পয়সায় ঘরের কাজ করে। তাদের সারাদিন খাটা খাটুনির মূল্য পিতৃতান্ত্রিক সমাজ দেয়না। প্রশ্ন হল সত্যিই কি তাই?

১- মহিলা বিয়ের পর, কোথায় খায়, বিলাস ব্যসন করে, গয়না পায়, সর্বোপরি পুরুষের ঘাম ঝরানো উপার্জনের অর্ধেক অংশীদার কি করে হয়?

২- নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত ঘরের মহিলারা কাজের লোক রাখে। পরিচারিকা। একটা পরিবার, সবচেয়ে ছোট ৩ সদস্যের, আর সবচেয়ে বড় ৬ সদস্যের হয়। আজকাল মহিলারা বিয়ের পর অধিকাংশ আলাদা, মানে ৩ সদস্যের। এই ছোট পরিবারের কাজ কতটুকু? মুখে অনেক বড় ফর্দ বলা যায়, বাস্তবিক কত ঘন্টার?

৩- একজন পুরুষ, আজকের ভারতের যে অর্থনৈতিক কঠিন অবস্থা যাচ্ছে, সেখানে বেকারত্ব অনেক। প্রতিযোগিতা অনেক, অধিকাংশ নিজের রোজগার ছোট খাট অস্থায়ী অবস্থায় ব্যবসা করে খায়। সরকারী চাকরি বা বেসরকারী চাকরি খুবই ছোট সংখ্যার। পুরুষরা নানা উপায়ে, বহুরূপী সেজে রোজগার করে। মহিলাদের এই রোজগারের চিন্তা করতে হয়না।
৪- তার উপর পুরুষ যখন ঘরে ফেরে কাজ থেকে, মহিলাকে ঘরের কাজে যোগান দিতে বাধ্য করা হয়। মহিলারা নতুন শ্লোগান তুলেছে, যে পুরুষ ঘরের মহিলাদের ঘরের কাজে সাহায্য করে সেই আসল পুরুষ। 

এসব ভাবনা সমাজে চুপিসারে মহিলারা এনেছে, যা সমাজের কাছে , ভবিষ্যতের কাছে, নতুন প্রজন্মের কাছে অমংগলকর। কারণ পুরুষের মস্তিষ্ক স্ত্রীতন্ত্রের/ নারীর মানসিকতায় গঠিত নয়। এগুলি মহিলা সংস্কৃতি র ফল।


আশা করি, আমি অনেক দিক দিয়ে বুঝাতে পেরেছি ও আপনি বুঝতে পারছেন নরনারীর "মানসিকতাঃ  দ্বিরুপ (dimorphism)" নরনারী অসমান  কাজে কর্মে মেধায় বা যেকোন চারিত্রিক বৈশিষ্টে, এটা প্রাকৃতিক , আপনাকে মেনে নিতে হবে।

চলবে

পুরুষ প্রলোভিত পোশাকে মহিলারা অন্য মহিলাদের ধর্ষণের শিকার বানানঃ একটা সমীক্ষা 'মহিলা সংস্কৃতি'

  আত্মজ উপাধ্যায়   ( ধর্ষণ সামাজিক অপরাধ, আরো অধিক অপরাধ তাদের যারা এই ধর্ষণে ইন্ধন যোগায়। 'ধর্ষণ'- এ পুরুষ যতটুকু না দোষী, তার বহুগ...