আত্মজ উপাধ্যায়
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র (ইউডিএইচআর)Universal Declaration of Human Rights (UDHR) (অনুচ্ছেদ ২৩(Article 23.)) এ উল্লেখ করেছে যে
(1) প্রত্যেকেরই কাজ করার অধিকার রয়েছে, নিখরচায় কর্মসংস্থান বেছে নেওয়া, কাজের ন্যায়সঙ্গত ও অনুকূল অবস্থা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।
(২) প্রত্যেককে, কোনও বৈষম্য ছাড়াই সমান কাজের জন্য সমান বেতনের অধিকার রয়েছে।
(৩) যে কেউ কাজ করে তার নিজের এবং তার পরিবারের জন্য মানব মর্যাদার অধিকারী একটি অস্তিত্ব নিশ্চিত করার এবং প্রয়োজনে, সামাজিক সুরক্ষার অন্যান্য উপায়ে পরিপূরক, অধিকার এবং অনুকূল পারিশ্রমিকের অধিকার রয়েছে।
(৪) প্রত্যেকেরই তার স্বার্থরক্ষার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের এবং যোগদানের অধিকার রয়েছে।
এই অধিকারের ফলে বিশ্বের যে কোন ব্যক্তি টাকা রোজগার হয় ও রাস্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামোতে যোগান দিতে পারা সমস্ত ধরণের কাজ করতে পারে।
এবং২১শে জুন ২০১৯ সালে, জিনিভায় এক সম্মেলনে International Labour Organization (ILO) আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ঘোষণা করে"সহিংসতা ও হয়রানির শিকার থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে ও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখবে", আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন হল , রাষ্ট্রপুঞ্জ ( the United Nations) এর একটা শাখা যারা শ্রম সংক্রান্ত মানবাধিকার রক্ষণাবেক্ষণ করে।
যৌন কর্মকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ২০১০ সালের আগেই স্বীকৃতি দিয়েছিল, শুধু স্বীকৃতি নয় তাদের সুরক্ষার সকল দাবি নিশ্চিত করেছিল। তাদের কাজের সাথে যেসব দালাল আছে, রোগশোক স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি নজরদারি করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাস্ট্রকে দায়িত্ব দিয়েছে। ভারত রাস্ট্রপুঞ্জের সকল আদেশ মেনে চলবে বলে শপথ নিয়েছে বহুকাল আগেই।
(ভারত জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২৬ শে জুন, ১৯৪৫ সালে,আরো ৫০ টি দেশের মধ্যে জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষরকারী ভারত ছিল। ১৯৪৫সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের পরে ভারত জাতিসংঘে যোগ দেয়।)
ফলে ভারত যৌনকর্মীদের সাথে সুরক্ষার বদলে বদমায়েসী করছে । ভারতের সাংসদরা চোর ডাকাত গুন্ডা। জুলুমবাজ। তার প্রত্যেকনেতা, ৯০ শতাংশ ভারতের সংবিধান মান্য করেনা। সুতরাং এখানে সুবিচার পাওয়া অনিশ্চিত। এখানে সুপ্রীম কোর্টের রায় পালটে পালটে যায়। কোন একটি অপরাধের বিচার বহুরকমের আইনে দেখা হয় নিরপেক্ষা বিচার আশা করা যায়না।
৭৮০ কোটির পৃথিবীতে শুধু বেশ্যালয় বলে নির্দিষ্ট এলাকায় প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি মহিলা বেশ্যাবৃত্তি করে খায়। মানে দেখা যায়, প্রতি ৬৫জন মহিলার মধ্যে ১জন মহিলা বেশ্যা বৃত্তিকে পছন্দ করে নিয়েছে।
একটা মিথ আছে, পুরাণো গল্প। যে মেয়েদের জোর করে বেশ্যালয়ে বিক্রী করে দেয়, তারা সারাজীবন ক্রীতদাসের মত কষ্টে দিন কাটায়। গল্পটা আংশিক সত্য।এবং একসময়ে ছিল। এই ২০২০ সালে এই সত্য ঘটছে বিশ্বাস করা যাবেনা।
বেশ্যালয়ে জীবিকা করতে আসেঃ
১ঃ প্রথমজীবনে, প্রেম বিয়েতে ঠকে, কোন অপরিচিত পুরুষের মিষ্টি কথায় ভুলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া কিশোরি বা মহিলারা
২ঃ সাংসারিক অভাব অনটনে, দ্রুত আর্থিক সমস্যা সমাধানে পথ হিসাবে।
৩ঃ স্বাধীনতার স্বাদ কুড়াতে আসা মেয়েরা
এই তিনটে শ্রেণি সাধারনতঃ আর্থিক অস্বচ্ছল পরিবারের নিম বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের।
তাদের সুরক্ষা আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন বা International Labour Organization (ILO)
http://www.ilo.org/wcmsp5/groups/public/@ed_protect/@protrav/@ilo_aids/documents/genericdocument/wcms_185717.pdf
এই বেশ্যারা ও তাদের এজেন্ট বা দালালরা রাজপথ থেকে খদ্দের ধরে আনে। অধিকাংশই শ্রমজীবি মানুষ। ট্যাক্সী, বাস, লরীর ড্রাইভা্ লেদ কোম্পানীর শ্রমিক, মুটে মজুর, যাদের বাড়ি ও মহিলাসমস্যা আছে।

ভারতে বেশ্যাদের প্রথম শত্রু পুলিস। পুলিশ সপ্তাহে বা মাসোহারা না পেলেই বেশ্যাদের তুলে নিয়ে যায়। ২য় শত্রু গুন্ডা বদমায়েসরা। তারা পয়সা না দিয়ে সেক্স করে পালিয়ে যায়। ফলে বেশ্যারা অনেক বেসরকারির সংগঠনের মাধ্যমে বেশ্যা বৃত্তিকে বৈধ করতে চান।
ছবিগুলি বেশ্যা সংক্রান্ত দেশ বিদেশের মিডিয়া ইন্টারনেট থেকে নেওয়া। ছবিগুলি থেকে আপনার এই ধারণা জন্মাবে, যে মহিলাদের একটা জীবিকা যৌনকর্ম। যৌনকর্ম মোটেই কোনরকম শোষণ নয়। শ্রমিক হিসাবে, আপনার হাত পা মাথা পিঠ প্রভৃতি অংগ ব্যবহার বা শোষণ করতেই হয়। বেশ্যারা তাদের যোনি খাটিয়ে রোজগার করে। তারা যখন কোন অভিযোগ করেনা তখন আপনার মাথাব্যাথা বা সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ নেই।
আর যৌন সংসর্গ বা পুরুষের যৌনসংগমের পরিষেবা দিয়ে বিশাল অংকের মহিলারা জীবিকা করেছে। সুতরাং আপনি কি করে বলেন পুরুষ ধর্ষক? বা পুরুষের ধর্ষণে ক্ষতিকারক দিক আছে।
এতো গেল বেশ্যাদের কথা।
যৌনপরিষেবা আরো অনেকে দেয়
১ঃ হাইরোডে, দীর্ঘ লম্বা রাজপথে, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে উপজাতি শ্রেণির, কিছু মেয়ে, অল্প বয়েসী, তাদের সাথে যদিও বয়স্ক মহিলা কখনো পাহাড়াদার হিসাবে থাকে। তারা রাস্তার পাশে ধাবা জাতীয় হোটেলের কাছে, বা গ্যারেজের কাছে, লরী বিশ্রাম দেখলেই তাতে উঠে পড়ে। ড্রাইভারদের কেবিনে উঠে গান শোনায়। ড্রাইভার সেইসব মেয়েদের আদর করে, সারা অংগে আংগুল বুলায়। সেক্স করতে চাইলে, যদিও মেয়েরা দেয়না কিন্তু অনেক টাকার লোভ দেখালে যৌনকর্ম করে। পৃথিবীর সমস্ত মালবাহী লরীর পথে এগুলি থাকে।
২ঃ সাংসারিক অভাব অনটনে, অনেক যুবতী বৌ, টাকার জন্য পাড়ার কোন দেবরের সাথে লুকিয়ে যৌনকর্ম করে। নিশ্চিত হয়ে নেয় টাকা। এগুলি প্রত্যেক জায়গায় আছে।
৩ঃ সুগার ড্যাডি। অনেক যুবতী কিশোরি, জেঠু কাকুর সাথে গোপন সম্পর্ক তৈরি করে, উদ্দেশ্য, সে বিখ্যাত হতে চায়, পড়ার খরচ চালাতে চায়, বড়লোকি ভাব পোশাকে আশাকে আরামে প্রকাশ করতে চায়।
নীচে একটা কবিতার শেষ অংশ পড়লে বুঝবেন, বর্তমান সময় কেমন
একটি অসম পরকীয়া – মন্দাক্রান্তা সেন
......কাল যাব তোমার অফিসে
ঠিক ঠিক চারটে পঁচিশে
তারপর ভুল দিগ্বিদিক …
শহিদমিনারে উঠে গিয়ে
বলে দেব আকাশ ফাটিয়ে
ইন্দ্রকাকু আমার প্রেমিক।
৪ঃ হোটেলে রেস্তোঁরায়, বা পাড়াগায়ে কিছু মহিলা নাচ দেখাবার ছলে নিজেকে আস্তে আস্তে বিবস্ত্র করে মঞ্চে। এদের স্ট্রিপার বা পোল ড্যান্সার বলে। তারা রাতের মঞ্চ থেকে বিত্তশালী খদ্দের পেয়ে যায়। অনেকে শরীর দেয়না, নাচটুকুই করে। আর আমাদের পাড়া গায়ে যাত্রাপালার শেষে, একদল অল্পবয়েসী মহিলা আধা ন্যাংটো হয়ে দর্শককে যৌনকামুক করে তোলে । শেষে দেখা যায়, দর্শকেরা মঞ্চে উঠে সেই নাচনীদের ব্লাউজ টালছে, গোপন জায়গায় হাত দিচ্ছে। এক ভয়ঙ্কর কান্ড বেধে ফেলে।
৫ঃ সিনেমার অভিনেত্রী বা বিজ্ঞাপনের মডেল হবার উচ্চাশায় বহু কিশোরি, যুবতী দেহ দেয় পরিচালককে , ফটোগ্রাফারদের, আবার নিজের স্টাটাস উচ্চবিত্তের মত বজায় রাখতে লুকিয়ে বেশ্যা বৃত্তি করে, বা এসকর্ট সার্ভিসে নাম লেখায় তারা প্রতি রাতে বা যখন একটা পরিষেবা দেয় তার জন্য ২০ হাজার থেকে লাখ অবদি রোজগার করে। এই মহিলা সংখাটা বিশাল। এছাড়া আছে কলগার্ল। ম্যাসাজ পার্লার। ফিজিও থেরাপী। সবচেয়ে যোনি বিক্রী করে আয় করে উঠতি সিনেমার অভিনেত্রীরা ও মডেলরা।
ইউটিউবে প্রচুর এর প্রমাণ আছে।যেমন একটা লিংক https://youtu.be/sod8J_n049E
আমি এসব বলছি একটাই উদ্দেশ্যে। ধর্ষণ টা কি? ধর্ষণে কোন পুরুষ তার যৌনাংগ কোন মহিলার যোনিতে প্রবেশ করায়। কেউ অত্যন্ত ভালবাসা থেকে করে, কেউ প্রত্যাখ্যান হয়ে জোর করে করে, কেউ সংযম রাখতে পারেনা, বা নারী অংগ তার চোখে পড়ে মাথা ঘুরে গেছে। এর বাইরে কারুরই অন্য অভিপ্রায় থাকেনা। তো তার জন্য ধর্ষণ নিয়ে সারা পৃথিবী তোলপার করার কতটুকু যৌক্তিকতা আছে?
উপরে বেশ্যারা আধা বেশ্যারা পয়সার জন্য করে, জীবিকার জন্য করে, এবং যৌন সংগম একটা তুচ্ছ কাজ, ভেবে তারা পুরুষ টিকে ভালবাসায় ভরে দেয়।
আপনি দেখেছেন মেয়েরাও তাদের যোনিতে পুরুষাঙ্গ ভরার জন্য পাগল হয়?
কিন্তু তাদের আচরণ বা প্রক্রিয়া ছেলেদের মতো নয়।
মহিলারা যৌন সংগম করে মড়ার মত চিৎ হয়ে শুয়ে। তারা আক্রমণাত্মক খেলা খেলেনা। স্বামীকে সব সময় উপরে তুলে ধর্ষণ করতে বলে। তারা নেতিবাচক হয়ে উপভোগ করে।
বহু রাস্ট্র, তাদের আইনের বইয়ে লিখে রেখেছে, ধর্ষণ শুধু পুরুষেরাই করে মেয়েদের যোনি ভেদ করে। এবার মুশকিল হয়েছে মহিলা যদি কোন পুরুষকে ভয় দেখিয়ে তার সাথে সংগম করতে বাধ্য করে, তার ফল কি হবে?
অনেক মহিলা পুরুষকে ব্ল্যাক মেইল করে, ভয় দেখিয়ে, প্রলুব্ধ করে বাধ্য করে মহিলার সাথে সংগম করতে।তাদের যৌন পরিষেবা দিতে।

একটা মিথঃ পুরুষ সবসময় যৌনকর্মের জন্য প্রস্তুত থাকে।
এই মিথ বা প্রাচীন ধারণা ঠিক নয়।
পুরুষ তার যতই মনে হোক সে একটা মহিলার সাথে সেক্স করতে চায়, সে কিন্তু যার তার সাথে সেক্স করতে নারাজ। অন্তত, মহিলাকে দেখে তার সেক্স করার বাসনা জাগতে হবে। তার মনে বাসা বেধে থাকে একটা সুন্দরী যৌনবতী অল্পবয়েসী মহিলার কথা। ফলে মহিলা মাত্রেই সে তার সাথে যৌন কর্ম করেনা। তাহলে তো ৪০ এর উপর বয়েসি বেশ্যারাও খদ্দের পেত।
মোটামুটি চেহারা বাজে হলেও যুবতীকে বা বাজে শরীরের গঠন হলেও সুন্দরী মুখের যুবতীকে পুরুষ একদন্ডের সেক্সের জন্য নির্বাচন করতে পারে।
আমাদের সমাজে, ছোট থেকেই, পরাম্পরার একটা কথা আছে, কোন নারী তার কাছে যৌন কামনা করলে তাকে যৌন সংগমে সন্তোষ্ট করা পুরুষের কর্তব্য। সে রমণী সুন্দরী হোক বা না হোক। পুরুষ যদি সেই রমণীকে ফিরিয়ে দেয় তাহলে সে ক্লীব বলে পরিচিত হবে। সম্ভবত এই বার্তাটি সারা বিশ্বের পুরুষদের মধ্য ছড়িয়ে আছে। কোন মহিলাকে ফিরিয়ে দেওয়া মানে নপুংসকতা বা পুরুষত্বহীনতা প্রমাণ দেওয়া।
ফলে কিছু মহিলার মনে হতে পারে কোন পুরুষকে দিয়ে সে জোর করে সেক্স করতে পারে, এবং তা গ্রহণযোগ্য।এবং পুরুষরা এর জন্য তাদের ধন্যবাদ দেবে। পুরুষরাও এটা মনে করতে পারে, তাকে জোর করে সেক্স করালে মনে কিছু করার নেই কারণ সে একজন পুরুষ। বীর্যবান।
এখানে একটা কথা পরস্পর বিরোধী হয়ে যাচ্ছে।
(men who are victimized by rape or sexual assault contradict hegemonic definitions of male sexuality that require men to be sexually potent, dominant, and in control) চিরাচরিত ধারণা যা ছিল, যে, পুরুষ শক্তিশালী, আধিপত্যবাদী ও সব কিছুর নিয়ন্ত্রক, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মহিলারা পুরুষের সাথে জোর করে না পারলেও আবেগ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, বা অন্য কোন উপায়ে, পুরুষকে মহিলার ক্ষমতার অধীনে আনতে পারে। এবং মহিলার পুরুষাংগ না থাকলেও পুরুষের পুরুষাংগকে যোনিতে প্রবেশ করাতে পারে।
অনেক মহিলা ৩০ এর নীচে বয়েস যাদের তারা অবিবাহিত থাকা কালীন অল্পবয়েসী ছেলেদের দিয়ে সেক্স করে সুখ অর্জন করে।
এখানে মজা হল পুরুষকে কোন মহিলা একা ধর্ষণ করলে, সে এটাকে একটা সুযোগ ভাবে। সুখী ভাবে। যতক্ষণ না কোন মহিলা দল বেঁধে রেপ করছে। বা সে নিজেকে অসম্মানিত/ ঘৃণিত ভাবছে। (পুরুষের চোখ ও মন স্থির করে কোন মহিলার সাথে সে সহবাস করলে আনন্দিত হবে। যেকোন মহিলার সাথে সংগম ইচ্ছা জাগেনা)
ঠিক, একই কাজ কোন পুরুষ করলে কোন কিশোরীর সাথে, যুবতীর সাথে, সে রাস্ট্র করে দেবে। সে এটাকে আক্রমণ ভাববে। বা কোন বিনিময়ে গিফট বা উপহার খুঁজবে।না পেলে সে প্রতিশোধ নেবার জন্য জানাজানি করে শাস্তি দেবে। অনেক সময় করেনা যদি তার কাছে এটা সুযোগ মনে হয়।
দেখা যাচ্ছে একই কাজের দুই রকম ফল। তাহলে বিচার কি করা যাবে?
মহিলাদের ৫০ পেরিয়ে গেলে তাদের সেক্স করার বাসনা হারিয়ে ফেলে। তাদের মাসিক স্রাব বন্ধ হয়ে যায়। একবার স্রাব বন্ধ হলে সে আস্তে আস্তে নিজেকে যৌন সম্পর্শ থেকে , তার স্বামীর কাছ থেকে সরে আসবে। স্বামী সংগম চাইলে সে অশান্তি ও অপমান করবে। এই সময়টা পুরুষের পক্ষে ব্রম্মচারী হয়ে থাকা কষ্টের। মহিলার জন্য সে নিজের ইচ্ছাকে বন্দী কেন করবে? তত দিনে তার সন্তানেরা বড় হয়ে যায়। সমাজ তার ইচ্ছাকে নিন্দনীয় গণ্য করবে।
দেখা যাচ্ছে সমাজ তখন নারীর পক্ষে বা নারীবাদী হয়ে যাচ্ছে। পুরুষের তখন মৃত্যু অবধি যৌন ইচ্ছাকে দমিয়ে, বা স্নাঙ্ঘরে গিয়ে হস্তমৈথুন করে দিন কাটাতে হচ্ছে।
বিবাহিত মহিলারা আমাদের সমাজেপুরুষ নিগ্রহ করে নানা রকমে। খোলাখুলি অশ্রাব্য গালাগালি তো করেই। কখনো হাতাহাতি বা ঝাঁটা, খুন্তি নিয়ে আক্রমণ করে। তার মনের মতন না হলে, বা তার চাহিদার জিনিস না পেলে, তার উক্তি " টাকা রোজগার না করতে পারলে আমাকে বিয়ে করলি কেন? শুধু লাগাবার জন্য?"
রাতে ঘুমাতে গেলে সে পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে। তার সাথে তার স্বামীর যৌনসংগম হবেনা।। এভাবে চলবে দিনে পর দিন। পুরুষ তখন অন্য মহিলার খোঁজ করলে তখন হবে অশান্তি।
তো আমার শুরুতে যে কথা বলছিলাম। সহবাসের নাম ধর্ষণ। ধর্ষণ আশচর্য দুমুখো শব্দ।
বিবাহিত বৌ, যখন সে মর্জিমতো গ্রহন করে, তখন মধুচন্দ্রিমা, আর তার মর্জির উপর সে বলতে পারে, তার স্বামী তাকে ধর্ষণ করেছে।
তাহলে বুঝতে হবে, মহিলার মর্জি হল ধর্ষণ বা সহবাসের বিচারক। এই ব্যবস্থা একপেশে নারীর পক্ষে। অথচ পুরুষ তাকে বিয়ে করে আনে, তার যোনির উপর একচ্ছত্র অধিকার পাবার জন্য। তাকে খাওয়া পরা আশ্রয়, সখমেটানো ইত্যাদি তার ক্ষমতায় সবচেয়ে ভাল দেবে বলে।
দেখা যাচ্ছে। মহিলা বিয়ের চুক্তি মানছেনা। আইনত তাহলে কি করা যাবে?
এরকম অবস্থা থেকে পুরুষ চায় নারীকে ডিভোর্স দেওয়া। যে স্ত্রী তার স্বামীকে যৌনসংগম থেকে বঞ্চিত করে নানা অছিলায়, বা স্বামীর ইচ্ছার বিপরীতে সে অন্য কোথাও একদিন দুদিনের বেশি গিয়ে থাকে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার আবেদন আদালতকে গ্রাহ্য করতে হবে। কোন বিয়ে একবার ফাটল ধরলে সেখানে সুখ হয়না। এসব দেখার জন্য পুরুষ কমিশন চাই।
এই পৃথিবী পুরুষের কাঁধে বসে আছে। পুরুষ ক্লান্ত হয়ে গেলে, তার সবচেয়ে বিশ্রাম ও ক্লান্তি নাশক হল নারীর যোনি। আর এই যোনি যদি সে বৈধভাবে উপায় করে প্রতারিত হয়, তা হলে তার প্রতি সমাজ চরম অবিচার করবে।
সুত্রঃ
১।https://www.un.org/en/universal-declaration-human-rights/
২।http://www.ilo.org/wcmsp5/groups/public/@ed_protect/@protrav/@ilo_aids/documents/genericdocument/wcms_185717.pdf
৩। https://www.nswp.org/sites/nswp.org/files/policy_brief_sex_work_as_work_nswp_-_2017.pdf
৪। https://timesofindia.indiatimes.com/entertainment/tamil/movies/photo-features/tamil-actresses-involved-in-sex-scandals/photostory/42261755.cms
৫। https://www.spokesman.com/stories/1997/jan/23/man-tortured-for-weeks-by-two-women-girlfriend/